সেবা ডেস্ক: শ্রী মদন লাল, আমার বাবা। তিনি ১৯৯৯ সালে মারা যান। সমাধির স্থান না থাকায় সমস্যায় পড়ি আমরা। পরে মুসলমান সম্প্রদায়ের কেন্দ্রীয় কবর স্থানে তাকে সমাহিত করা হয়। কিন্তু এ নিয়ে শুরু হয় সমোলচনা। তাই সমাহিতের তিন দিন পর আবার আমার বাবার মরদেহ মুসলমানদের কেন্দ্রীয় কবর স্থান থেকে তুলে আনতে হয়। এরপর বাড়ির পাশের রেল লাইনের কাছে নোংরা ডোবার পাশে আবারও তাকে সমাহিত কর হয়। এখানে মৃত্যু মানেই মরদেহ নিয়ে সমাহিতের জন্য এখানে ওখানে ঘোরাঘুরি। এই কথাগুলো বলছিলেন লালমনিরহাট জেলার হাতীবান্ধার হরিজন সম্প্রদায়ের উজ্জল বাসঁফোর।
উজ্জল বাসঁফোর আরো বলেন, পরবর্তীতে আমাদের সম্প্রদায়ের শংকর বাসঁফোরকে নদীর বালুচরে এবং শান্তি রাণী বাসঁফোরকে পুকুরের পাশে সমাহিত করা হয়েছিল। তিনি লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলার দক্ষিন গড্ডিমারী গ্রামের বাসিন্দা।
দীর্ঘদিন ধরে এই গ্রামে হরিজন জনগোষ্ঠীর বংশধররা বসবাস করে আসছেন। বর্তমানে ১৮টি পরিবারের মোট ৮৭ জন মানুষ এখানে বসবাস করেন। এ সম্প্রদায়ের মানুষজন মারা গেলে নির্দিষ্ট স্থানে সমাহিত করার জন্য নেই কোনো সমাধিস্থান। তাই হরিজন সম্প্রদায়ের মানুষরা মৃতদেহ নিয়ে দুর্ভোগ পড়েন। সমাধিস্থান না থাকার কারণে বিভিন্ন জায়গায় বা নদীর পাশে অনেক সমস্যার মধ্য দিয়ে মরদেহ সমাহিত করতে হচ্ছে হরিজন সম্প্রদায়ের লোকজনদের।
এ সমস্যা দূর করতে হরিজন সম্প্রদায়ের সব সদস্যদের প্রতিনিধি হিসেবে জুয়েল কুমার হাতীবান্ধার ইউএনও বরাবর সরকারি খাস জমিতে সমাধিস্থান বরাদ্দের আবেদন করেছেন। কিন্তু এখন পর্যন্ত এ সমস্যার সমাধান হয়নি।
জুয়েল কুমার বলেন, ‘আমাদের মৃত্যু আছে কিন্তু সমাধিস্থান নেই। তাই এ বিষয়ে ইউএনও স্যারের কাছে একটি আবেদনপত্র দেয়া হয়েছে। আশা করছি আমাদের দীর্ঘদিনের সমস্যাটি সমাধান হবে।’
হাতীবান্ধার ইউএনও সামিউল আমিন বলেন, ‘আমাকে লিখিত ও মৌখিকভাবে বিষয়টি জানানো হয়েছে। আমি বিষয়টি ডিসি স্যারকে জানিয়েছি। তিনি অশ্বাস দিয়েছেন দ্রুত এই সমস্যার সমাধান করা হবে।
-সেবা হট নিউজ: সত্য প্রকাশে আপোষহীন
খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।