সবচেয়ে বেশি প্রবৃদ্ধি অর্জনকারী দেশের তালিকার পথে বাংলাদেশ

S M Ashraful Azom
0
সবচেয়ে বেশি প্রবৃদ্ধি অর্জনকারী দেশের তালিকার পথে বাংলাদেশ
সেবা ডেস্ক: ২০১৯-২০অর্থ বছরে বিশ্বের অধিকাংশ দেশের প্রবৃদ্ধির হার আগের বছরের তুলনায় হ্রাস পেলেও বাংলাদেশ বিস্ময়করভাবে উচ্চ প্রবৃদ্ধি অর্জন করবে বলে আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলো পূর্বাভাস দিচ্ছে। তারা বলছে, বাংলাদেশের অর্থনীতি সঠিক এবং গতিশীল ধারায় প্রবহমান রয়েছে। এই অবস্থা অব্যাহত থাকলে চলতি অর্থবছরে বাংলাদেশ বিশ্বের সবচেয়ে বেশি প্রবৃদ্ধি অর্জনকারী দেশের মর্যাদা লাভ করবে। বাংলাদেশের অন্যতম উন্নয়ন সহযোগী এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি) অতি সম্প্রতি প্রকাশিত তাদের এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট আউটলুকের সম্পূরক প্রতিবেদনে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অগ্রযাত্রার ভূয়সী প্রশংসা করেছে। এডিবি বলেছে, সদ্যসমাপ্ত অর্থ বছরে (২০১৮-১৯) প্রথমবারের মতো বাংলাদেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধির হার ৮ দশমিক ১ শতাংশ অতিক্রম করেছে।

এই উচ্চ মাত্রায় জিডিপি প্রবৃদ্ধি অর্জনের পেছনে মূলত শিল্প ও সেবা খাতই মূল ভূমিকা পালন করেছে। এই দুটি খাতের গতিশীলতার কারণেই সার্বিকভাবে জিডিপি প্রবৃদ্ধি এতটা বৃদ্ধি পেয়েছে। আগের বছর বাংলাদেশ ৭ দশমিক ৯ শতাংশ হারে জিডিপি প্রবৃদ্ধি অর্জন করেছিল।

বাংলাদেশের ১ কোটিরও বেশি শ্রমিক বিদেশে কর্মসংস্থান করছে। তারা বছরে প্রচুর পরিমাণ রেমিট্যান্স প্রেরণ করছে। ২০১৮-১৯ অর্থবছরে প্রবাসী বাংলাদেশিরা ১ হাজার ৬৪২ কোটি মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স প্রেরণ করেছে। এটা এ যাবৎকালের মধ্যে সবচেয়ে বেশি পরিমাণ রেমিট্যান্স। চলতি অর্থবছর থেকে কারিগরি শিক্ষার ওপর ব্যাপকভাবে গুরুত্বারোপ করা হচ্ছে। এ ছাড়া আত্মকর্মসংস্থানের মাধ্যমে বেকার সমস্যা দূরীকরণের জন্য কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। যেসব তরুণ-তরুণী উদ্যোক্তা হিসেবে নিজেদের গড়ে তুলতে চান তাদের স্টার্ট আপের জন্য ১০০ কেটি টাকা বরাদ্দ রাখা হয়েছে। দক্ষ মানব সম্পদ গড়ে তোলার জন্য বাজেটে গবেষণার জন্য ৫০ কোটি টাকা বরাদ্দ রাখা হয়েছে। চাকরিজীবী নয়, উদ্যোক্তা সৃষ্টির ওপর জোর দিয়েছেন। কয়েক বছর ধরে কৃষি ও পল্লি ঋণ নামে এক বিশেষ ধরনের ঋণকার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে। যার উদ্দেশ্য হচ্ছে—পল্লি এলাকায় কৃষিনির্ভর ছোটো ছোটো শিল্প গড়ে তোলা।

বাংলাদেশ ঈর্ষণীয় মাত্রায় জিডিপি প্রবৃদ্ধি অর্জন করছে সত্য, কিন্তু এই জিডিপি প্রবৃদ্ধি কতটা মানসম্পন্ন, টেকসই এবং উত্পাদনশীল খাত থেকে আসছে তা নিয়ে আমাদের ভাবতে হবে। বাংলাদেশ ২০১৫ সালে বিশ্বব্যাংকের রেটিং অনুযায়ী নিম্ন-মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত হয়েছে। ২০৩০ সালের মধ্যে বাংলাদেশ উচ্চ-মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত হতে রাষ্ট্রীয়ভাবে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। এ লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করতে হলে আগামী ১১ বছরে আমাদের মাথাপিছু জাতীয় আয় দ্বিগুণ করতে হবে। ২০১৮ সালে বাংলাদেশের জনগণের মাথাপিছু জাতীয় আয় ছিল ১ হাজার ৭৫০ মার্কিন ডলার। উচ্চ আয়ের দেশ হতে হলে এই মাথাপিছু জাতীয় আয়কে অন্তত পক্ষে ৩ হাজার ৯৯৬ মার্কিন ডলারে উন্নীত করতে হবে। একই সঙ্গে জিডিপি প্রবৃদ্ধির হার ১০ থেকে ১১ শতাংশে উন্নীত করতে হবে।

 -সেবা হট নিউজ: সত্য প্রকাশে আপোষহীন

ট্যাগস

Post a Comment

0Comments

খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।

Post a Comment (0)

#buttons=(Ok, Go it!) #days=(20)

Our website uses cookies to enhance your experience. Know about Cookies
Ok, Go it!
To Top