আসছে সোমবার লালন মেলা, সব তথ্য জেনে নিন

S M Ashraful Azom
0
আসছে সোমবার লালন মেলা, সব তথ্য জেনে নিন
সেবা ডেস্ক: তিনি একাধারে একজন আধ্যাত্মিক বাউল সাধক, সমাজ সংস্কারক এবং দার্শনিক। তিনি অসংখ্য গানের গীতিকার, সুরকার ও গায়ক ছিলেন। বলছি, ফকির লালন শাহের কথা। ফকির লালন শাহের মাজার কুষ্টিয়া জেলার কুমারখালী উপজেলায় অবস্থিত। লালন সাঁইজির শিষ্য এবং দেশ বিদেশের অসংখ্য বাউলকুল এই আখড়াতেই বিশেষ তিথিতে সমবেত হয়ে উৎসবে মেতে ওঠে। প্রতিবছর দুইবার লালন মেলা অনুষ্ঠিত হয়। আগামী ১৬ থেকে ১৮ অক্টোবর লালন আখড়ায় অনুষ্ঠিত হবে এ বছরের সর্বশেষ লালন মেলা।

লালন মেলায় রাতভর চলবে বাউল গানের উৎসব। এই উপলক্ষে লালন মাজারকে সাজানো হচ্ছে নানা সাজে। প্রধান ফটক আর মূল মাজারে সাদা, লাল, নীল আলোকসজ্জা, বিশাল তোরণ নির্মাণ ও মাজারের বাইরে কালী নদীর ভরাটকৃত জায়গায় স্থাপিত লালন মঞ্চের সামনে বিশাল ছামিয়ানা টাঙানো হয়।

আলোচনা মঞ্চের চারপাশ লালন মাজারের প্রধান রাস্তাজুড়ে বসবে গ্রামীণমেলা। মেলায় নানা রকম গৃহসামগ্রী, কাঠের তৈরি সাংসারিক নানা জিনিসপত্র, গরম জিলাপি, পাঁপড় ভাজা, লালনের গানের সিডি, গেঞ্জি, শন পাঁপড়ি, আখের শরবত, হোটেল, খই-বাতাসাসহ হরেক রকম পসরা বসে।

যেভাবে যাবেন?

ঢাকা থেকে যেতে চাইলে বাস বা ট্রেনে দু’ভাবেই যাওয়া যায়। বাসে গেলে কল্যাণপুর বাস স্ট্যান্ড থেকে নিউ এসবি সুপার ডিলাস্ক, শ্যামলী, হানিফ বাসে কুষ্টিয়ার মজমপুর গেট এ নেমে যেতে হবে। সেখান থেকে যে কোনো রিকশা বা অটো নিয়ে লালন মাজারে যাওয়া যায়। বাসের ভাড়া নন এসি ৪৫০-৫০০ টাকা এবং এসি ৬০০-৬৫০ টাকা।

ট্রেনে যেতে চাইলে সুন্দরবন এক্সপ্রেস অথবা চিত্রা এক্সপ্রেসে যেতে পারবেন। সুন্দরবন এক্সপ্রেস সকালে ও চিত্রা এক্সপ্রেস সন্ধ্যায় কমলাপুর রেল স্টেশন থেকে ছেড়ে যায়। ট্রেনে গেলে আপনাকে পোড়াদহ বা ভেড়ামারা স্টেশনে নামতে হবে। ভেড়ামারা বা পোড়াদহ থেকে বাস বা সিএনজি তে করে কুষ্টিয়া শহরে এসে রিকশা অথবা অটো যেতে পারেন উৎসবে।

কোথায় থাকবেন? 

মজমপুর গেট, শাপলা চত্বর, এন এস রোড, বড় বাজার এ বিভিন্ন হোটেল আছে। এরমধ্যে হোটেল আজমীরি, প্রীতম হোটেল (মজমপুর গেট), নূর ইন্টারন্যাশনাল, বড়বাজারের জুবলি হোটেল, হোটেল লিবার্টি অন্যতম। এছাড়া থাকার জন্যে শহরেই মানসম্মত অনেক হোটেল পাবেন। এরমধ্যে পদ্মা, হোটেল রিভার ভিউ, গোল্ড স্টার, সানমুন অন্যতম।

যেখানে খাবেন!

খাওয়ার জন্য রয়েছে অসংখ্য রেস্টুরেন্ট। তার মধ্যে জাহাঙ্গীর হোটেল, শিল্পী হোটেল, শফি হোটেল, হোটেল খাওয়া-দাওয়া, মৌবন রেস্টুরেন্টসহ ৩টি চাইনিজ রেস্টুরেন্ট পাবেন। এন.এস. রোডের মৌবন মাসালা তে আলু পরাটা খেতে পারেন। একই রোডের শিশির বেকারিতে ভালো নাস্তা পাওয়া যায়। চৌড়হাস মোড়ে রান্নাঘর হোটেলও ভাল। মজমপুরের জাহাঙ্গীর হোটেল। বাজেট ট্রাভেলারদের জন্য আছে বড় বাজারের গান্ধী হোটেল, মৌবন। শেষ কথা, লালন কুলফি খেতে ভুলবেন না!

 -সেবা হট নিউজ: সত্য প্রকাশে আপোষহীন

ট্যাগস

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0মন্তব্যসমূহ

খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন (0)

#buttons=(Ok, Go it!) #days=(20)

Our website uses cookies to enhance your experience. Know about Cookies
Ok, Go it!
To Top