
জামালপুর সংবাদদাতা : জামালপুরের মেলান্দহের সাদিপাটি-পচাবহেলা ও বল্লভপুর গ্রাম নদী ভাঙ্গনের কবলে পড়েছে। এলাকাবাসি জানিয়েছেন-গত তিন বছর যাবৎ বলিদাখালি নদী ভাঙ্গনে হাই স্কুল, বাজার এবং মসজিদসহ বহু ঘরবাড়ি বিলীন হয়েছে। বাস্তুহারা হবার আতংকে আছেন কয়েক হাজার মানুষ।
একদিকে যমুনার ভাঙ্গন, অপরদিকে উজানে বাঁধ-রাস্তা নির্মাণের ফলে নদীর গতিপথ পরিবর্তন হয়েছে। ফলে বন্যার শুরুতেই বলিদাখালি নদীতে প্রবল ¯্রােত পড়ে গভীরতাও বেড়ে গেছে বহুগুনে। মেলান্দহ-ইসলামপুরের সীমান্তবর্তী এই বলিদাখালি নদী দিয়ে ব্রহ্মপুত্র-ঝিনাই-মাদারদহ হয়ে বন্যার পানি সরিষাবাড়ি ও সিরাজগঞ্জের যমুনায় নেমে যায়। পানি বৃদ্ধির সাথেই নদী ভাঙ্গনও শুরু হয়। তাই শুস্ক মৌসুমে পাইলিংয়ের কাজ শুরুর দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসি।
সাদিপাটি গ্রামের সোহেল রানা (৪২) জানান-নদী ভাঙ্গনের ফলে সাদিপাটি হাই স্কুল নদীতে চলে গেছে। যেকোন সময় প্রাইমারি স্কুল, মাদ্রাসাসহ বসতবাড়িও নদীতে চলে যাবে। এই এলাকাটি রক্ষার জন্য পাইলিং দরকার।
যুবলীগ নেতা আবুল কালাম আজাদ জানান-সাদিপাটি ব্রিজটিও ধ্বসে গেছে। হাট-বাজার নদীতে বিলীন হয়েছে। মসজিদ-মাদ্রাসা-প্রাইমারি স্কুলসহ বসতবাড়ি হুমকীতে আছে। এখন বসতবাড়ি হারানোর আতংকে আছি।
পচাবহেলার আ: খালেক মেম্বার জানান-গত দুই বছরে এপার-ওপারের বহু বাড়ি-ঘর নদীতে চলে গেছে। গ্রাম ৩টি রক্ষায় পাইলিং দরকার। স্থানীয়রাই বাঁশের বেড়া দিয়ে নদী ভাঙ্গন ঠেকানোর প্রাণান্তর চেষ্টা করলেও; শেষরক্ষা হচ্ছে না।
উপজেলা প্রকৌশলী মো. শফিকুল ইসলাম তালুকদার জানান-এলাকাকে রক্ষা এবং ব্রিজটি সচল করার জন্য বন্যা পূণর্বাসন প্রকল্পের আওতায় প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। আশা করছি অচিরেই ফল পাব।
-সেবা হট নিউজ: সত্য প্রকাশে আপোষহীন
খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।