গাইবান্ধা জেলা প্রতিনিধি: গাইবান্ধার চাঞ্চলক্যকর তৃষা হত্যা মামলায় ১৪ বছর কারাভোগকারি মেহেদী হাসান মডার্ন এক স্কুলছাত্রীকে অপহরণ করে জোড়পুর্বক ধর্ষণের মামলায় ৫ দিনের রিমান্ডে। সোমবার দুপুরে গাইবান্ধার অতিরিক্ত চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট নজরুল ইসলাম পুলিশের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আটক মর্ডানের ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। মামলাটির তদন্তকারী কর্মকর্তা এস আই নওশাদ আলী দশ দিনের রিমান্ড আবেদন করলে বিচারক ওই ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। মর্ডান শহরের খাঁ পাড়া মাতৃসদন এলাকার আজাদ আলীর ছেলে।
মেহেদী হাসান মর্ডাণ ২০০২ সালে দেশ-বিদেশে আলোচিত চতুর্থ শ্রেণীর মেধাবী ছাত্রী তৃষা হত্যা মামলার প্রধান আসামী ছিল। এ মামলায় বিচারিক আদালত তার মৃত্যুদন্ডাদেশ দেন। পরে আপীল বিভাগ সেই দন্ডাদেশ রহিত করে ১৪ বছর সশ্রম কারাদন্ডের রায় প্রদান করেন।
ধর্ষিত ছাত্রীটির মা ও পুলিশ জানায়, চলতি বছরের 'গত ১১ই সেপ্টেম্বর ওই ছাত্রী গাইবান্ধা শহরের এক শিক্ষকের কাছে প্রাইভেট পড়ে বাড়ি ফেরার পথে মর্ডাণ ও তার সহযোগী সাব্বির হোসেন বাপ্পী জোড় করে তাকে মটরসাইকেলে তুলে শহরের অদ‚রে বোয়ালী বাজারে এক মোবাইল সার্ভিসিংয়ের দোকানে নিয়ে তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোড় করে ধর্ষণ করে মর্ডান। এঘটনায় পরদিন নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে সদর থানায় মামলা দায়ের করা হয়। গত শুক্রবার রাতে ঢাকার কেরানীগঞ্জ থানার গোদারহাটস্থ ইসলাম প্লাজার সামনে অভিযান চালিয়ে পুলিশ মডার্নকে গ্রেফতার করা হয়। পরে পুলিশ গত শনিবার দুপুরে তাকে গাইবান্ধা থানায় নিয়ে আসে।
উল্লেখ্য,২০০২ সালের ১৭ই জুলাই গাইবান্ধা শহরের মধ্যপাড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণীর ছাত্রী সাদিয়া সুলতানা তৃষা স্কুল থেকে বাড়ি ফেরার পথে মর্ডাণসহ তিন বখাটে তাকে ধাওয়া করে। এসময় পুকুরে পড়ে তৃষা মারা যায়। এঘটনার মামলায় মডানসহ অভিযুক্তরা বিচারিক আদালতে মৃত্যুদন্ড প্রাপ্ত হলেও পরে আবেদনের পরিেেপ্রক্ষিতে আপিল বিভাগ তাদের ১৪ বছরের সশ্রম কারাদন্ড দেন। এই সাজাভোগ করে জেলহাজত হতে বের হয়ে আবারো একই ধরণের অপরাধে যুক্ত হন।
-সেবা হট নিউজ: সত্য প্রকাশে আপোষহীন
খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।