
সেবা ডেস্ক: টাঙ্গাইলের ঘাটাইল উপজেলার রসুলপুর ইউনিয়নের মোমিনপুর গ্রামের শ্রী অমল চন্দ্রের একমাত্র মেয়ে উর্মিলা রানী হিন্দু ধর্ম থেকে ইসলাম ধর্ম গ্রহন করেছেন ৷ উর্মিলা রানীর নতুন নাম এখনও জানা যায়নি।
গত ২৩ সেপ্টেম্বর একই এলাকার সামাদ আলীর সাথে পালিয়ে যায়। দুজনেই একই ক্লাসে পড়ালেখা করত। গতবছর দুজনেই এইচএসসি পরীক্ষায় অংশ গ্রহণ করে।
সামাদ আলী পড়ালেখার পাশাপাশি বাবাকে কৃষিকাজে হেল্প করত এবং রসুলপুরের এক ইটের ভাটায় ইটের সিজনে নিয়মিত কাজ করত সে। অমল চন্দ্র সরকারের একমাত্র মেয়ে উর্মিলা দেখতে খুবই সুন্দরী ছিলেন।
ছোট বেলা থেকেই দুজনে একই প্রাইমারী স্কুল ও হাইস্কুলে পড়ালেখা করতো। এমনকি দুজনে সবসময় একই স্যারের কাছে প্রাইভেট পড়ত। কোচিং করতো দুজনে অভিন্ন কোচিং-এ।
আশকর আলী খুব কষ্ট করে কৃষি কাজ করে দুই মেয়ে ও এক ছেলেকে মানুষ করে। সে অর্থনৈতিক ভাবে অস্বচ্ছল হলেও ছেলেকে মানুষ করার প্রানান্ত চেষ্টা করেছিল।
শ্রী অমল চন্দ্র সরকার খুব সাদাসাদি একজন মানুষ। কখনো কারো সাথে কোন ঝগড়া ফ্যাসাদে তিনি যুক্ত হয়েছেন এমনটা জানা যায়নি। খুব খাটতে পারেন। প্রচুর পরিশ্রম করে স্ত্রী ও একমাত্র মেয়েকে নিয়ে তিনি সুন্দরভাবেই দিন কাটাচ্ছিলেন। একমাত্র মেয়ে উর্মিলা হওয়ায় মা -বাবার কাছে যখন যেমন আবদার করত ঠিক তেমনটাই মা-বাবা দিতেন।
উর্মিলা রানী সরকার প্রাইমারীতে পড়ার সময় থেকেই সামাদ আলীর সাথে প্রেম ভালোবাসায় লিপ্ত হয়। তারা বড় হতে থাকে। বুদ্ধি-ও বৃদ্ধি পায়। অনেকের কাছেই তাদের মেলামেশা দৃষ্টিকটু লাগলেও সেটা যে এতোবধি গিয়ে গড়াবে কেউ চিন্তাও করতে পারেনি।
অত্র এলাকার এই প্রথম এমন ঘটনা ঘটায় এলাকায় চাঞ্চল্যর সৃষ্টি হয়েছে। আলোড়ণ সৃষ্টিকারী এই ঘটনায় এলাকায় এক ধরণের থমথমে পরিবেশের সৃষ্টি হয়েছে।
মেয়েকে খুঁজে না পেয়ে তাৎক্ষণিক ঘাটাইল থানায় সাধারণ ডায়রী (জিডি) করা হলেও ৩রা অক্টোবর অমূল্য চন্দ্র সরকার বাদি হয়ে মেয়ের জামাই ও তার পরিবারের সকল সদস্যকে জড়িয়ে মামলা দায়ের করেন। অপহরণ ও ধর্ষণ মামলা সাজানো হয়েছে।
উর্মিলা রানী সরকার টাঙ্গাইল জজ কোর্টে এফিডেবিট করার কাগজে জন্ম সাল ১৯৯৯ বলেছেন। আদালত কর্তৃক স্বিকৃত সে সাবালিকা। অমূল্য চন্দ্র সরকার ও তার অভিভাবক গণ আইনিভাবে চেষ্টা করছেন সামাদ আলী ও তার পরিবারকে নিগৃহিত করার।
ধর্মান্তরিত হওয়ায় হিন্দু ধর্মের অনুসারীরা ক্ষেপেছেন। তারা মেয়ে ও ছেলের পরিবারকে গালমন্দ করছেন, অভিশাপ দিচ্ছেন। ফেসবুকে দেখা যায় এসব নিয়ে হিন্দু ধর্মালম্বী অনেকেই পোষ্ট দিয়েছেন অপরদিকে মুসলমান লোকজন তাদের স্বাধীন চিন্তা ভাবনাকে সমর্থন যুগিয়েছেন। কোন বিরূপ মন্তব্য করতে দেখা যায়নি।
মুসলমানদের এবং সু-শিক্ষিত লোকদের অভিমত কোন জাতি -ধর্ম- বর্ণ- গোত্র ভালোবাসার মধ্যে বিবেদ তৈরি করতে পারে না।ওরা সাবালক-সাবালিকা। ওরা নিজেদের সিদ্ধান্ত নিজেরা নিতে পারে। ওদের বয়স হয়েছে নিজেদের ভাল মন্দ বোঝার। ওদের স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ না করে উভয় পরিবারের উচিত ওদের পরবর্তী জীবনে চলার পথে সহযোগিতা করা।
সামাদ আলী ও উর্মিলা কোথায় পালিয়ে আছেন এখন-ও জানা যায়নি। তবে অনেকের অনুমান উভয়েই ঢাকাতে কোথাও চলে গিয়েছেন। সেখানেই হয়ত বাস করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
ঘাটাইল থানা পুলিশ মামলাটি আমলে নিয়েছে। এখন দেখার অপেক্ষা উর্মিলা মুসলমান হওয়ায় এবং মুসলমান ছেলেকে ভালোবেসে বিয়ে করায় কি রয়েছে তার ভাগ্যে?
-সেবা হট নিউজ: সত্য প্রকাশে আপোষহীন
খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।