
সেবা ডেস্ক: ৭১ এর মুক্তিযুদ্ধের সময়ে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর হাতে নির্যাতিত হয়েছিলেন কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামের আফিয়া খাতুন চৌধুরী ওরফে খঞ্জনী। সেই সময়ে নিজের সম্ভ্রমের বিনিময়ে রক্ষা করেন চৌদ্দগ্রামের সোনাপুর গ্রামের অসংখ্য মা বোনদের। কিন্তু দেশ স্বাধীন হওয়ার পর পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর ক্যাম্প থেকে মুক্তি পাওয়ার পর এলাকার জনগণ গ্রহণ করেননি এই বীর নারীকে। বিভিন্ন অপবাদ দিয়ে এলাকা থেকে তাড়িয়ে দেন গ্রামবাসী। ফলে রাস্তায় রাস্তায় ঘুরে পথে ঘাটে ভিক্ষাবৃত্তি করে মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে ফেলেন খঞ্জনী। বর্তমানে চলাফেরাই করতে পারেন না তিনি। থাকেন একমাত্র মেয়ে রোকসানার বস্তি ঘরে। সম্প্রতি সরকার তাকে বীর নারী মুক্তিযোদ্ধা বলে স্বীকৃতি দিয়েছে।
শুক্রবার দুপুরে কুমিল্লার শহরতলির রঘুপুরের এইড কুমিল্লা কার্যালয়ে এপেক্স ক্লাব অব কুমিল্লার পক্ষ থেকে আফিয়া খাতুন চৌধুরী ওরফে খঞ্জনী বেগমকে সংবর্ধনা দেয়া হয়েছে।
এপেক্স ক্লাব অব কুমিল্লার প্রেসিডেন্ট এপে.শাহাজাদা এমরানের সভাপতিত্বে এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন এপেক্স বাংলাদেশের জাতীয় সভাপতি এপে.এম এ কাইয়ুম চৌধুরী।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন এপেক্স বাংলাদেশের অতীত জাতীয় সভাপতি এপে.এড.সৈয়দ নুরুর রহমান, জেলা ৮ এর গর্ভনর এপে.মো. কাইমুল হক,জেলা ৩ এর গর্ভনর এপে.এড.আরশাদুর রহমান রিটু।
এ সময় এপেক্স ক্লাব অব কুমিল্লার সদস্যরাসহ এপেক্স বাংলাদেশের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে এপেক্স ক্লাব অব কুমিল্লার পক্ষ থেকে আফিয়া খাতুন চৌধুরী ওরফে খঞ্জনী বেগমকে শাড়ি, চাদর, খাদ্য সামগ্রীসহ নগদ অর্থ দেয়া হয়।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে এপেক্স বাংলাদেশের জাতীয় সভাপতি এপে.এম এ কাইয়ুম চৌধুরী আফিয়া খাতুন চৌধুরীর প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করে বলেন, আমাদের মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে আফিয়া খাতুনদের মতো মায়ের ভূমিকা ছিল অপরিসীম। তাদের আত্মত্যাগ, ইজ্জত ও রক্তের বিনিময়েই অর্জিত হয়েছে আমাদে প্রিয় স্বাধীনতা। এই বীর নারীকে সংবর্ধিত করতে পেরে একজন এপেক্সিয়ান হিসেবে নিজকে ধন্য মনে করছি।
-সেবা হট নিউজ: সত্য প্রকাশে আপোষহীন
খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।