সেবা ডেস্ক: খুব সুন্দর সাজে সেজেছে বিয়ে বাড়ি। আয়োজন প্রায় শেষের দিকে। উভয় পক্ষের খাওয়া দাওয়া শেষ। এবার কবুল পড়ার পালা। ঠিক সেই মুহূর্তে বিয়ে বাড়িতে হাজির হলেন নাটোরের গুরুদাসপুরের ভারপ্রাপ্ত ইউএনও মোহাম্মদ নাহিদ হাসান খান।
প্রশাসনের গাড়ি দেখে মুহূর্তের মধ্যেই বদলে গেল কনে। শুধু তাই নয় যে ইমাম কবুল পড়াবেন তিনিও পালালেন দৌড়ে। কনের আসনে কনের ভাবিকে রেখে শুরু হয় নাটকীয় অভিনয়। কিন্তু কিছুক্ষণ পরেই ধরা পড়ে যায় কনের বাড়ির লোকজনের নাটকীয়তা। কনের ভাবিকে ও তার ভাইকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিয়ে আসা হয় উপজেলায়।
শুক্রবার দুপুরে উপজেলার বিয়াঘাট ইউপির যোগেন্দ্রনগর গ্রামে দশম শ্রেণিতে পড়ুয়া ১৬ বছরের এক ছাত্রীর বাল্যবিয়ে হচ্ছে জানিয়ে ফোন করা হয় ইউএনও মো. তমাল হোসেনের কাছে। পরে তার খবরে ভারপ্রাপ্ত ইউএনও মোহাম্মদ নাহিদ হাসান খান ওই বাল্যবিয়ের অনুষ্ঠানে গিয়ে কনেকে না পেয়ে কনে সেজে বসে থাকা কনের ভাবি ও তার ভাইকে আটক করে নিয়ে আসে।
পরে বাল্যবিয়ে দেয়ার চেষ্টা করায় কনের ভাইকে পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা ও ১৮ বছর না হওয়া পর্যন্ত বিয়ে দেবে না মর্মে মুচলেকা নিয়ে তাকে ছাড়া হয়।
-সেবা হট নিউজ: সত্য প্রকাশে আপোষহীন
খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।