ধুনটে পাকা সড়ক ভেঙে নদীতে বিলীন

S M Ashraful Azom
0
ধুনটে পাকা সড়ক ভেঙে নদীতে বিলীন
রফিকুল আলম,ধুনট (বগুড়া): বগুড়ার ধুনট উপজেলার চিকাশি ইউনিয়নের সোনারগাঁ-গজারিয়া পাকা সড়কের প্রায় ১০০ মিটার অংশ ভেঙে মানাস নদীতে বিলীন হয়েছে। ফলে জনগুরুত্বপূর্ণ এই সড়কে যোগাযোগ ব্যবস্থার চরম বিপর্যয় ঘটেছে। 

উপজেলা প্রকৌশলীর কার্যালয় সুত্রে জানা যায়, উপজেলার চিকাশি ইউনিয়নের সোনারগাঁ তিন মাথা মোড় থেকে গজারিয়া গ্রামের মাঝপথ দিয়ে একটি সড়ক রয়েছে। জনগুরুত্বপূর্ণ সড়কটির পাশ দিয়ে বহমান মানাস নদী। এই সড়কের ৫০০ মিটার অংশ স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) অর্থায়নে ২০১৮ সালের ৩০ মার্চ পাকা করণের কাজ শেষ হয়েছে। এই সড়কটি নির্মান করতে ব্যয় হয়েছে ২৪ লাখ টাকা।

সোমবার সরেজমিন দেখা যায়, সড়কটির পূর্বপাশে মানাস নদী। পশ্চিম পাশে পুকুর। এ কারণে পাকা সড়ক নির্মাণের সময় ভাঙনরোধে দুই পাশেই প্যালাসাইটিং নির্মান করেছিল। কিন্ত কয়েক দিন আগে অতি বৃষ্টিপাতের ফলে নদী ও পুকুর পানিতে ভরে গিয়ে প্যালাসাইটিং ডেবে গেছে। ফলে দুই পাশের মাটি ধ্বসে পাকা সড়কটি ভেঙে গিয়ে যোগাযোগ বিপর্যয় ঘটেছে।

এই সড়কটি নদীগর্ভে বিলীন হওয়ায় যোগাযোগ চরমভাবে বিঘিœত হচ্ছে। বিশেষ করে এলাকার অন্তত্য ১৫টি গ্রামের মানুষ যাতায়াতে চরম দূর্ভোগে পড়েছে। স্কুলগামী শিক্ষার্থী, শিক্ষকসহ সকলেই অনেক কষ্ট করে হেঁটে কোনোরকমে গন্তব্যে যাচ্ছে। যেখানে রাস্তাটি ভেঙেছে সেখানে মেরামতের কোনো উদ্যোগ নেই। ফলে এখানকার মানুষদের জন্য এটা স্থায়ী সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে।

স্থানীয় বিদ্যালয়ের শিক্ষক আব্দুল করিম জানান, নদীর পাড় দিয়ে রাস্তা হওয়ায় এমনিতেই অনেক ঝুঁকি নিয়ে যাওয়া-আসা করতে হয়। এরপর রাস্তাটি ভেঙে যাওয়ায় অনেক কষ্ট করে আমাদের স্কুলে যেতে হচ্ছে। আমাদের ছাত্র-ছাত্রীরাও অনেক কষ্টে স্কুলে আসছে। রাস্তাটি দ্রæত মেরামত না হলে এলাকার ছাত্র-ছাত্রীরা স্কুলে আসা বন্ধ করে দেবে। ফলে তাদের লেখাপড়ার অনেক ক্ষতি হবে। এর একটা স্থায়ী ব্যবস্থা করা দরকার।

গজারিয়া গ্রামের অটোভ্যান চালক আব্দুল মজিদ বলেন, উপজেলা সদরের সাথে যোগাযোগ করতে বিকল্প কোন সড়ক নেই। তাই বাধ্য হয়ে এই ভাঙ্গা সড়ক দিয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে যাত্রী পরিবহন করছি। তবে সড়কের ভাঙা স্থানে যাত্রী নেমে দিয়ে কষ্ট করে পার হয়ে আবারো যাত্রী উঠানো হয়। এ ভাবেই ভ্যান গাড়ী চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করছি।

ধুনট উপজেলা প্রকৌশলী জহুরুল ইসলাম বলেন, সড়ক নির্মাণের সময় ভাঙ্গনরোধে প্যালাসাইটিং তৈরী করা হয়েছিল। কিন্ত অতি বর্ষনে নদীতে পানি গড়ার সময় প্রবল চাপে প্যালাসাইটিংসহ সড়কের পাশে ভাঙ্গন দেখা দিয়েছে। সড়কটির ভাঙ্গনরোধে স্থায়ী ব্যবস্থাসহ ভাঙ্গন স্থান গুলো জরুরী ভাবে মেরামত করা হবে।


 -সেবা হট নিউজ: সত্য প্রকাশে আপোষহীন

ট্যাগস

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ

খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন (0)

#buttons=(Ok, Go it!) #days=(20)

Our website uses cookies to enhance your experience. Know about Cookies
Ok, Go it!
To Top