রফিকুল আলম,ধুনট (বগুড়া): বগুড়ার ধুনট উপজেলায় নির্মানাধীন সরকারি সড়কে অবৈধ ভাবে বাঁশের তৈরী ২টি বেড়া দিয়ে যাতায়াতে প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টিসহ সড়ক নির্মান কাজ বন্ধ করে দিয়েছে হাসান আলী ও তার ভাই আব্দুস ছালাম। এই অবৈধ বেড়া অপসারনের জন্য স্থানীয় বাসিন্দারা বার বার আবেদন করে আসলেও উপজেলা প্রশাসনের নিরব ভুমিকায় চরম জনদূর্ভোগের সৃষ্টি হয়েছে। এ ঘটনাটি উপজেলা সদরের বেলকুচি গ্রামে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, উপজেলার বেলকুচি গ্রামের মেঠোপথ দিয়ে প্রায় শত বছর ধরে এলাকার শতাধিক গ্রামের মানুষ যাতায়াত করে। ২০১৮-১৯ অর্থ বছরে বেলকুচি গ্রামে ওই সড়কের ১০০০ মিটার অংশ পাকা করণের জন্য স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) থেকে ৭১ লাখ ৯৩ হাজার টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়।
গত ১২ মার্চ দরপত্র আহবানের মাধ্যমে ইসলাম এন্টারপ্রাইজ নামে এক ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানকে কার্যাদেশ দেওয়া হয়। ঠিকাদার ২৩ এপ্রিল থেকে কাজ শুরু করে ৯৫০ মিটার অংশ পাকা করেছে। কিন্ত অবশিষ্ট ৫০ মিটার অংশে কাজ করতে বেলকুচি গ্রামের হাসান আলী ও আব্দুস সালাম বাধা দিয়েছে।
শুক্রবার সকালের দিকে সরেজমিন দেখা যায়, সড়কের দুই পাশে মুকুল সরকার, আব্দুস সালাম ও হাসান আলীর বসতবাড়ি। মাঝখান দিয়ে ১৭ ফুট প্রস্থ্যের সড়কটি। সেই সড়কে হাসান ও ছালাম প্রায় এক সপ্তাহ ধরে আড়াআড়ি ভাবে বাঁশের তৈরী ২টি বেড়া দিয়ে এলাবাসির যাতায়াতে প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি করেছে। এ অবস্থায় সড়ক পাকাকরন কাজ বন্ধ করতে বাধ্য হয়েছেন ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান। বর্তমানে ওই সড়কে পথচারী কিংবা সকল প্রকার যানবহন চলাচল বন্ধ রয়েছে।
এ বিষয়ে হাসান আলী জানান, সরকারি রাস্তার জায়গা বাদ দিয়ে তার জায়গার উপর দিয়ে সড়ক নির্মানের প্রস্তুতি চলছিল। তাই ওই রাস্তায় যাতায়াত বন্ধ হলেও তিনি বাধ্য হয়ে রাস্তায় বাঁশের তৈরী ২টি বেড়া দিয়েছেন। তবে সরকারীভাবে সঠিক জরিপের মাধ্যমে সড়ক নির্মান করা হলে তার কোন আপত্তি নেই।
স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) ধুনট উপজেলা প্রকৌশলী জহুরুল ইসলাম বলেন, স্থানীয়দের বাঁধার মুখে ৫০মিটার সড়ক পাকা করণ কাজ বন্ধ রয়েছে। এ বিষয়ে আইনী সহযোগীতা চেয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এবং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার (ওসি) নিকট আবেদন করা হয়েছে। কিন্ত আজও কোন সহযোগীতা পাওয়া যায়নি।
ধুনট থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) ইসমাইল হোসেন বলেন, উপজেলা প্রকৌশলীর একটি অভিযোগ পেয়েছি। কিন্ত এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সহযোগীতা না চাওয়ায় কোন প্রকার ব্যবস্থা নেওয়া সম্ভব হচ্ছে না।
ধুনট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রাজিয়া সুলাতানা বলেন, উপজেলার আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভায় অবৈধ বেড়া অপসারণ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সকলের সহযোগীতায় জরুরী ভাবে এ বিষয়টির সমাধান করা হবে।
-সেবা হট নিউজ: সত্য প্রকাশে আপোষহীন
খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।