সেবা ডেস্ক: যে কোন সিনেমায় অভিনেতা-অভিনেত্রীদের ঘনিষ্ট দৃশ্যের প্রতি দর্শকের বাড়তি আগ্রহ থাকে। অনেক সিনেমাই আছে যেগুলো যৌনদৃশ্যের জন্য বিখ্যাত সেই সঙ্গে আবার সমালোচিতও। এছাড়া অনেক অভিনয়শিল্পী রয়েছেন যারা যৌনদৃশ্যের জন্য বিশেষভাবে পরিচিত দর্শকের কাছে। একটু খোলামেলা দৃশ্যে পরিচালকরা সবার আগে তাদের কথাই ভাবেন। আরো খবর গণসর্বনাশের পর অভিনেত্রীকে হত্যা অভিনেত্রী মাহা ও শ্যামল মাওলার অন্তরঙ্গ ভিডিও ফাঁস পপস্টারের মরদেহ উদ্ধার অনেক দর্শকই ভাবেন কেমন হয় যৌনদৃশ্যগুলোর শুটিং? এসব দৃশ্যে অভিনয় করতে গিয়ে নায়িকাদের অভিজ্ঞতাই বা কেমন? তারা কী সত্যি সত্যি কোনো অনুভূতি পান? এই প্রসঙ্গে বছর দুয়েক আগে মুখ খুলেছিলেন বিদ্যা বালান সোনম কাপুর আনুশকা শর্মা আলিয়া ভাটসহ বলিউডের বেশ কয়েকজন অভিনেত্রী।
বিদ্যা বালান তার অভিজ্ঞতা জানিয়েছিলেন পরিণীতা ছবিতে সঞ্জয় দত্তের সঙ্গে বিছা’নাদৃশ্যের শুটিং নিয়ে। ছবিটিতে তাদের ঘনিষ্ঠদৃশ্যটি বেশ বিখ্যাত। ওই দৃশ্য নিয়ে বিদ্যা বলেন দৃশ্যটির শুটিং করতে গিয়ে নার্ভাস ছিলাম। প্রথমে সঞ্জয় দত্ত চোখ বুজে ছিলেন! আমি বলতে বাধ্য হলাম দাদা আপনি এ কী করছেন! তার পর যা হলো তাতে আমাকেই চোখ বুজে ফেলতে হলো শটটা শেষ হওয়ার পর খুব ভয়ে ভয়ে চোখ খুলেছিলাম! ক্যামেরায় ফুটেজটা দেখে বিশ্বাসই করতে পারছিলাম না আমি এতক্ষণ চোখ বুজে এসব করেছি! তবে দৃশ্যটি দর্শকের পছন্দ হয়েছিলো। সোনম কাপুর জানালেন একবার তাকে ছবির স্বার্থে অভয় দেওলকে চু’মু খেতে হয়েছিল। সেই অভিজ্ঞতা বেশ মজার ছিল তার। তিনি বলেন আমি চুমু খেতে গিয়ে থমকে গেলাম! কী রকম একটা চেনা চেনা খাবারের গন্ধ পাচ্ছিলাম! এটা বলতেই শুটিং স্পটের সবাই হাসিতে লুটিয়ে পড়েছিল। সবাই বুঝতে পেরেছিল আমি চিকেনের কথা বলছি। যৌ’নদৃশ্যে আলিয়া ভাটের অভিজ্ঞতা কেমন? হালের জনপ্রিয় এই নায়িকার ভাষ্য চু’মু খেতে গেলে আমি বিপদে পড়ে যাই।
আমার ফেসিয়াল এক্সপ্রেশন বদলে যায়! আর এতে পরিচালক রেগে যান। বার বার চেঁচামেচি করতে থাকেন আমার এক্সপ্রেশন ঠিক করার জন্য! তবে যৌ’নদৃশ্যকে মোটেও কোনো উপ’ভোগ্য বা মজার কাজ বলে মনে করেন না নেহা ধুপিয়া। তার মতে এটি খুবই পরিশ্রম ও ঝক্কির কাজ। তিনি একটি অনুষ্ঠানে এসে যৌ’নদৃশ্য নিয়ে বলেন একবার এক ছবিতে নায়কের সঙ্গে জলকেলির দৃশ্য শুট করতে গিয়ে টের পেয়েছিলাম এটা কত কঠিন। সবাই ভাবে এসব শুট করে আমরাও মজা পাই! কিন্তু ব্যাপারটা আসলে সেরকম কিছু নয়। কনকনে ঠাণ্ডা পানিতে বারবার গা ডুবিয়ে শট দেয়া খুব একটা আরামদায়ক ব্যাপার নয়। তাছাড়া আছে পরিচালকের ক্রমাগত নির্দেশ এভাবে নয় ওভাবে ইত্যাদি! ফলে এর মধ্যে মজার কোনো জায়গা নেই। উপ’ভোগেরও কিছু নেই এখানে। রাধিকা আপ্তের অভিজ্ঞতা হলো একবার যৌ’নদৃশ্যে অভিনয় করার সময় আমার নায়ক কিছুতেই স্বাভাবিক হতে পারছিল না! তখন পরিচালক আমায় বললেন রাধিকা ওকে একটু ফাঁকায় নিয়ে যাও! নিয়ে গিয়ে জ’ড়তা কাটিয়ে আনো! এ কী রে বাবা। আমি কী করে ওর জ’ড়তা কাটাবো। আমার প্রচুর হাসি পাচ্ছিলো। কিন্তু আমি আমার বয়ফ্রেন্ড চরিত্র করা অভিনেতাকে সহজ হতে সাহায্য করেছিলাম।
-সেবা হট নিউজ: সত্য প্রকাশে আপোষহীন
খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।