সেবা ডেস্ক: খুন ও বিভিন্ন অপরাধে ১৬টি মামলা ঝুলছিলো তার বিরুদ্ধে। তবে কোনো ভাবেই ভারতের পুলিশ তাকে ধরতে পারছিলো না। তাকে ধরে দিতে ১০ হাজার রুপি পুরস্কারও ঘোষণা করেছিলো ভারত সরকার। তাতেও ব্যর্থ। তবে শেষমেশ নারী পুলিশের বিয়ের ফাঁদে আটকা পড়লেন ভারতের উত্তর প্রদেশের মাহোবা জেলার বিজৌরি গ্রামের বালকিষান চৌবেক।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমস এর খবরে বলা হয়, বালকিষানকে আটক করার জন্য উত্তর প্রদেশের পুলিশ একজন নারী সাব ইন্সপেক্টরের সাহায্য নেয়। কেননা কিছুদিন আগে পুলিশ জানতে পারে বিয়ের জন্য মেয়ে খুঁজছে বালকিষান।
তখন পুলিশ বুন্দেলখণ্ডের এক নারী শ্রমিকের সিমকার্ড সংগ্রহ করে। ওই নারী পুলিশ সেই সিম থেকেই একদিন বালকিষানের নাম্বারে ফোন করেন। তখন তিনি এমন ভাব দেখান যেন ভুল করে তাকে ফোন করে ফেলেছেন।
এরপর আরো বেশ কিছুক্ষণ দুজনের কথাবার্তা চলে। মেয়েটির মিষ্টি কথায় আকৃষ্ট হয় বালকিষান। এর কয়েকদিন পর ওই নারীকে ফোন করে বালকিষান। এভাবে দুজনের মধ্যে ফোনালাপ চলতে থাকে।
এ ঘটনার এক সপ্তাহ পর বালকিষানকে বিয়ের প্রস্তাব দেন ওই নারী। সঙ্গে সঙ্গে ওই প্রস্তাব লুফে নেন অপরাধী বালকিষান। এরপর দেখা করার পালা। ঠিক হয় বৃহস্পতিবার উৎসবের দিনে বিজৌরি গ্রামের মন্দিরে আসবেন বালকিষান। সেখানেই দেখবেন তার পছন্দের পাত্রীকে।
নির্ধারিত দিনে সাধারণ পোশাকে ঘটনাস্থলে যান ওই পুলিশ সাব ইন্সপেক্টর। তার সঙ্গে থাকা পুলিশরাও ছিলেন ছদ্মবেশে। কথামত ফোনে আলাপ করা পাত্রীর সঙ্গে দেখা করতে ছুটে যান বালকিষান। কিন্তু মেয়েটির কাছে যেতেই তাকে হাতকড়া পরিয়ে দেন তার তথাকথিত প্রেমিকা। এরপর শুক্রবার তাকে আদালতে তোলা হয়। বর্তমানে হাজতে আটক আছেন কুখ্যাত বালকিষান।
-সেবা হট নিউজ: সত্য প্রকাশে আপোষহীন
খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।