
সেবা ডেস্ক: বিতর্কিত নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের বিরুদ্ধে উত্তপ্ত হয়ে আছে পুরো ভারত। আইনের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করছে দেশটির সর্বস্তরের মানুষ। বিভিন্ন রাজ্যে চলমান বিক্ষোভে এখন পর্যন্ত অন্তত ২০ জন নিহত হয়েছেন বলে জানা গেছে।
শুক্রবার দেশটির উত্তর প্রদেশে ১১ জনের নিহতের ঘটনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ২০-এ দাড়িয়েছে। চলতি মাসের ১১ তারিখে দেশটিতে নাগরিকত্ব আইন পাস করার পর থেকেই সেখানে বিক্ষোভের শুরু হয়।
বিক্ষোভে পুলিশ ও বিক্ষোভকারীদের সংঘর্ষে হতাহতের সংখ্যা বেড়েই চলেছে। সমালোচকেরা বলেছেন এই আইন মুসলিমদের সঙ্গে বৈষম্যমূলক আচরণ প্রকাশ করে। এছাড়া ভারতের সংবিধানকেও ক্ষুণ্ণ করে এই আইন। খবর- ফ্রান্স টুয়েন্টি ফোর
রয়টার্সের এক প্রতিবেদন অনুযায়ী দেশটির আটটি রাজ্যে চলমান বিক্ষোভ ঠেকাতে শনিবার মন্ত্রিসভার সঙ্গে বৈঠক করেছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।
উত্তর প্রদেশের অধিকার কর্মীরা জানিয়েছেন, নতুন বিক্ষোভের পরিকল্পনায় বাধা দেয়ার জন্য পুলিশ তাদের বাড়িঘর ও অফিসগুলোতে অভিযান চালিয়েছে। শনিবার সেখানে নতুনভাবে বিক্ষোভ শুরু হওয়ায় কর্তৃপক্ষ রাজ্যটির সব স্কুল বন্ধ ঘোষণা করেছে। সেখানে মোদির জাতীয়তাবাদী দল দ্বারা শাসিত ও দীর্ঘদিন যাবত সেখানে থাকা সংখ্যাগরিষ্ঠ হিন্দু ও সংখ্যালঘু মুসলমানদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।
দিল্লি পুলিশ ষ্টেশনে আটক করে রাখা বিক্ষোভকারীদের মুক্তির দাবিতে তাদের পরিবারগুলো বাহিরে অপেক্ষা করছিল বলেও জানা গেছে।
তবে উত্তর প্রদেশ ছাড়াও দেশটির আসাম, ত্রিপুরা, দিল্লিসহ উত্তাল হয়ে আছে পুরোদেশ। এরইমধ্যে বিক্ষোভ ঠেকাতে বিভিন্ন রাজ্যে ইন্টারনেট সেবা ও মোবাইল নেটওয়ার্ক বন্ধ করে দিয়েছে সরকার।
এছাড়া অশান্তির আশঙ্কায় বুধবার রাত থেকেই গোটা উত্তরপ্রদেশে ১৪৪ ধারা জারি করেছে দেশটি। এছাড়া একই পদক্ষেপ নেয়া হয়েছিল বেঙ্গালুরুসহ কর্নাটকের বিভিন্ন স্থানেও।
-সেবা হট নিউজ: সত্য প্রকাশে আপোষহীন

খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।