রৌমারীতে মুক্তিযোদ্ধার স্ত্রীর অর্থ অভাবে চিকিৎসা হচ্ছে না

S M Ashraful Azom
0
রৌমারীতে মুক্তিযোদ্ধার স্ত্রীর অর্থ অভাবে চিকিৎসা হচ্ছে না
রৌমারী প্রতিনিধি: মুক্তিযোদ্ধার স্ত্রী মোছা.ওহেজা বেগম (৬০)’র অর্থ অভাবে চিকিৎসা হচ্ছে না। ৫ ডিসেম্বর (বৃহস্পতিবার) সকালের দিকে নিজ বাড়িতে তিনি স্ট্রোক রোগে আক্রান্ত হন। পরে অসুস্থ অবস্থায় তাকে রৌমারী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তার মেয়ে নার্গিস আকতার কান্না জড়িত কন্ঠে বলেন, অর্থের অভাবে আমার মায়ের চিকিৎসা করা সম্ভব হচ্ছে না।

এদিকে বীরমুক্তিযোদ্ধার স্ত্রী অসুস্থ হওয়ার সংবাদ পেয়ে শনিবার দুপুরের দিকে রৌমারী হাসপাতালে অসুস্থ ওহেজাকে হাসপাতাপলে দেখতে যান প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী জনাব জাকির হোসেন, উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান শেখ আব্দুল্লাহ, উপজেলা নির্বাহী অফিসার আল ইমরান রৌমারী থানার ওসি আবু মোহাম্মদ দিলোওয়ার হাসান ইনাম, উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান মাহমুদা আকতার স্মৃতি, উপজেলা সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার আব্দুর কাদের মাষ্টার, ্উপজেল্ াহাসপাতাল কর্মকর্তা ডা. মোমেনুল ইসলাম ও উপজেলা আওয়ামীলীগের বিভিন্ন স্তরের দলীয় নেতাকর্মী প্রমূখ। এসময় প্রতিমন্ত্রী উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে বাহিরে নেওয়ার জন্য পরামর্শ দেন। ভাগ্যের কি নির্মম পরিহাস অসুস্থ ওহেজা বেগমের প্রতি কেউ সাহায্য ও সহযোগিতার জন্য এগিয়ে আসেনি।

পরিবার সুত্রে জানা গেছে কুড়িগ্রাম জেলার রৌমারী উপজেলার বন্দবেড় ইউনিয়নের বন্দবেড় গ্রামের বীরমুক্তিযোদ্ধা নাজিম উদ্দিনের স্ত্রী ওহেজা বেগম। তিনি গত ৫ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার সকালের দিকে তার নিজ বাড়িতে ব্রেনস্ট্রোকে আক্রান্ত হয়। পরে  অসুস্থ অবস্থায় তাকে রৌমারী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

রৌমারী হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা: অনুপ কুমার বিশ্বাস বলেন, তিনি সম্ভবত ব্রেনস্ট্রোক রোগে আক্রান্ত হয়েছেন। আমরা প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়েছি। তার অবস্থা আঙ্কাজনক হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়েছে।

উল্লেখ্য যে, বীরমুক্তিযোদ্ধা নাজিম উদ্দিন গত ২০১৫ সালের শেষের দিকে মৃত্যু বরণ করেন। তার ঘরে স্ত্রী ওহেজা বেগম ও একমাত্র মেয়ে নার্গিস আকতার। বীরমুক্তিযোদ্ধা যে, সম্মানী ভাতা পান তা দিয়ে চলত তাদের এই সংসার। সংসারে একমাত্র মেয়ে সন্তান ছাড়া অন্য কেউ না থাকায় এই টাকা দিয়ে কোন মতে জীবিকা নির্বাহ করতেন। বীরমুক্তিযোদ্ধা জীবিত থাকাবস্থায় অসুস্থ হয়ে পড়লে অন্যের কাছে ধার-দেনা করে তার চিকিৎসা করা হতো। তিনি মারা যাবার পর সম্মানী ভাতার টাকাগুলো স্ত্রী ওহেজা বেগম  তার স্বামীর নেওয়া ধারের টাকা পরিশোধ করেন। এমতাবস্থায় ৪ বছরের মাথায় তিনিও ব্রেনস্ট্রোক রোগে আক্রান্ত হয়।


 -সেবা হট নিউজ: সত্য প্রকাশে আপোষহীন

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0মন্তব্যসমূহ

খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন (0)

#buttons=(Ok, Go it!) #days=(20)

Our website uses cookies to enhance your experience. Know about Cookies
Ok, Go it!
To Top