
সেবা ডেস্ক: উন্নত সমৃদ্ধশালী বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আরো একটি বড় পদক্ষেপে খুলনার ভৈরব নদীর উপর নির্মিত হচ্ছে স্বপ্নের ‘ভৈরব সেতু’। প্রধানমন্ত্রীর অর্থনৈতিক উপদেষ্টা ড. মসিউর রহমানের দীর্ঘদিনের প্রচেষ্টায় মঙ্গলবার (১৭ ডিসেম্বর) একনেক সেতু প্রকল্পটি পাশ হয়। ৭৪০ কোটি টাকা ব্যয়ে এই সেতুটি নির্মিত হবে অত্যাধুনিক ডিজাইনে। খুব শিঘ্রই অন্যান্য প্রক্রিয়া সম্পন্ন শেষে এর কাজ শুরু হবে। একনেকের সভা শেষে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান এসব তথ্য জানিয়েছেন।
সেতুটি দিঘলিয়া, আড়ুয়া, গাজিরহাট ও তেরখাদা সড়কের প্রথম কিলোমিটারে ভৈরব নদীর ওপর নির্মিত হবে।যার মোট দের্ঘ্য হবে ১৩১৬ দশমিক ৯৬ মিটার। সেতুর সাথে এক কিলোমিটার এপ্রোচ রোড, দুই পাশে ৫ মিটার করে ১০ মিটার সার্ভিস রোড এবং ডিভাইডার নির্মাণ করা হবে। এ প্রকল্পটি পাশ হওয়ার খবরে উচ্ছাসে মেতে উঠেছে ওই এলাকার মানুষেরা। বিশেষ করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক, টুইটারে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও অর্থনৈতিক উপদেষ্টা মশিউর রহমানকে অভিনন্দন ও কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছে।
জানা গেছে, প্রায় সাড়ে ৫ বছর নিরলস চেষ্টার পর অবশেষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদ একনেকের সভায় সেতুটির নির্মাণ প্রকল্প পাশ হয়। ২০১৪ সালের সেপ্টেম্বর মাসে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরকে প্রধানমন্ত্রী অর্থনৈতিক উপদেষ্টা মসিউর রহমান ভৈরব সেতু নির্মাণের প্রস্তার পাঠান। এরপর ২০১৬ সালের অক্টোবর মাসে পরিকল্পনা মন্ত্রী আ হ ম মুস্তাফা কামালের কাছেও তিনি প্রস্তাব পাঠান এবং সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রীকে আবারো ডিও লেটার প্রদান করেন। এসব প্রস্তাবে তিনি উল্লেখ করেন, খুলনা জেলার দিঘলিয়া উপজেলা ও দৌলতপুর উপজেলা ভৈরব নদী দ্বারা বিভক্ত। জীবন-জীবিকার জন্য দিঘলিয়াবাসীদের সব সময় নদী পারাপার করতে হয়। বহু সংখ্যক ছাত্র-ছাত্রী লেখাপড়া করার জন্য নদী পারাপার করে। জীবন ধারন ও শিক্ষা দীক্ষার জন্য ভৈরব নদীর উপর একটি সেতু নির্মাণ করা একান্ত প্রয়োজন। পরবর্তিতে তার প্রস্তেবে সাড়া দেয় মন্ত্রনালয় দুটি। এরই ধারাবাহিকতায় অনুসাঙ্গিক কর্যক্রম সম্পন্ন করে একনেকে ভৈরব সেতু নির্মাণ প্রকল্পটি পাশ হয়।
প্রধানমন্ত্রীর অর্থনৈতিক উপদেষ্টা ড. মসিউর রহমানের ব্যক্তিগত কর্মকর্তা এম এ রিয়াজ কচি বলেন, ২০১৪ সালে মসিউর রহমান ওই এলাকটি পরিদর্শন করে। সে সময় তিনি এলাকার মানুষদের বিভিন্ন সমস্যার কথা জানতে চান। তাদের সাথে আলোচনা করে জানতে পারেন ভৈরব নদীর উপর একটি সেতু নির্মাণ করা হলে দুই পারের মানুষের জীবন ধারন ও শিক্ষা দীক্ষার উন্নতি হবে। এসময়ে তিনি ভৈরব সেতু নির্মাণের উদ্যোগ নেন।
খুলনা সড়ক ও জনপথ বিভাগের প্রকৌশলী আজিজুল ইসলাম জানান, আগামী ৪ বছরের মধ্যে এ সেতু নির্মাণ কাজ শেষ হবে। সেতুটি নির্মাণ হলে ওই এলাকায় শিল্প-কারখানা গড়ে উঠবে, পূর্বে প্রতিষ্ঠিত জুট মিলগুলো চাঙ্গা হবে। ফলে পর্যাপ্ত কর্মসংস্থানের মাধ্যমে মানুষের আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন ঘটবে। এছাড়া ঢাকার সাথে একটি কানেক্টিভিটি তৈরি হবে।
-সেবা হট নিউজ: সত্য প্রকাশে আপোষহীন
খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।