বিশ্বের সেরা ১০০ বন্দরের মধ্যে ৬৪ তম বন্দর চট্টগ্রাম

S M Ashraful Azom
0
বিশ্বের সেরা ১০০ বন্দরের মধ্যে ৬৪ তম বন্দর চট্টগ্রাম
সেবা ডেস্ক: চট্টগ্রাম বন্দর চেয়ারম্যান রিয়ার এডমিরাল জুলফিকার আজিজ পিএসসি বলেছেন, চট্টগ্রাম বন্দরকে সম্প্রসারণ করার পাশাপাশি মিরসরাইয়ে নির্মাণাধীন দেশের বৃহত্তম শিল্পনগর ‘বঙ্গবন্ধু শিল্প নগরকে’ সাপোর্ট দিতে সীতাকুন্ড এলাকায় আরেকটি টার্মিনাল নির্মাণের প্রাথমিক পর্যায়ের কাজ চলমান রয়েছে। সামগ্রিকভাবেই চট্টগ্রাম বন্দরের কন্টেনার ইয়ার্ড ও ধারণক্ষমতা বেড়েছে। বর্তমানে বন্দরের ইয়ার্ডে ৫০ হাজারের বেশি কন্টেনার রাখা সম্বব হচ্ছে। লয়েড লিস্ট এর জরিপে বিশে^র সেরা ১০০ টি কন্টেনারবাহী বন্দরের মধ্যে চট্টগ্রাম বন্দরের বর্তমান অবস্থান ৬৪ তম। যা ২০০৯ সালে ছিল ৯৮ তম। ২০১৯ সালের হ্যান্ডলিং পরিসংখ্যান অনুযায়ী চট্টগ্রাম বন্দর এ বছরের জরিপে আরো কয়েকধাপ এগিয়ে যাবে বলে তিনি মন্তব্য করেন।

বন্দর চেয়ারম্যান আজ (৭জানুয়ারি মঙ্গলবার) চট্টগ্রাম বন্দর অডিটরিয়ামে বন্দরের বিভিন্ন কার্যক্রম ও উন্নয়ন অগ্রগতি বিষয়ে গণমাধ্যমকর্মীদের সাথে ব্রিফিংএ এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, বাংলাদেশের অর্থনেতিক উন্নয়নের প্রবেশদ্বার হচ্ছে চট্টগ্রাম বন্দর। ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রসারে চট্টগ্রাম বন্দরের ভুমিকা অনস্বীকার্য। চট্টগ্রাম বন্দর বাংলাদেশের অর্থনীতির প্রাণ। চট্টগ্রাম বন্দরের মাধ্যমে দেশের মোট বাণিজ্যের ৯২ শতাংশ এবং কন্টেনারজাত পণ্যের ৯৮ শতাংশ পরিবাহিত হয়ে থাকে। বৈদেশিক বাণিজ্যের সিংহভাগই সামাল দিচ্ছে চট্টগ্রাম বন্দর। বন্দরের সক্ষমতা বাড়াতে, নতুন  ধরনের পণ্য খালাসের সুবিধা প্রদান করতে এবং পণ্য ওঠানামার সময় কমিয়ে সেবারমান বৃদ্বি করতে তিলে তিলে নতুনমাত্রায় সক্ষমতা নিয়ে গড়ে উঠেছে চট্টগ্রাম বন্দর। আগামীর বন্দর হবে আরো কার্যকর উল্লেখ করে তিনি বলেন, কন্টেনার ওঠানামায় নতুন রেকড গড়েছে চট্টগ্রাম বন্দর। ২০১৮ সালে ২৯ লাখ ৩ হাজার  টিইইউস, ‘১৯ সালে ৩০ লাখ ৮৮ হাজার টিইইউস। বন্দরের প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৬.৩৪ শতাংশ। সাধারণ কার্গো ওঠানামা  হয়েছে ১০ কোটি ৩০ লক্ষ মে.টন। এর প্রবৃদ্ধি ৭.০৩ শতাংশ। কন্টেনার হ্যান্ডলিং এই পরিসংখ্যান চট্টগ্রাম বন্দরের ৩০ বছর মেয়াদি প্রক্ষাপনকে ছাড়িয়ে গেছে।

বেটার্মিনালের কথা তুলে ধরে তিনি আরো বলেন, বে-টার্মিনাল নির্মাণ সম্পন্ন হলে চট্টগ্রাম বন্দরের সক্ষমতা বর্তমানের তুলনায় তিনগুন বাড়বে। বেটার্মিনালে বেশি গভীরতা ও বেশি দৈর্ঘের জাহাজ দিন-রাত ভিড়ানোর সুযোগ থাকবে। এছাড়াও ২০২৫ সালের মধ্যে ১ হাজার ৫ শত মিটার দৈর্ঘের মাল্টিপারপাস টার্মিনাল এবং ৮৩০ মিটার দৈর্ঘের ২ টি কন্টেনার টার্মিনাল নির্মাণের কাজ শেষ করতে যাচ্ছে বন্দর। বাংলাদেশের পাশাপাশি ভারতের পর্যটন  এলাকায় ক্রুজ শিল্প পরিচালনার জন্য ১ টি ক্রুজ টার্মিনাল, ব্লু ইকনমি‘র জন্য ১ টি মাইনিং টার্মিনাল ও বন্দর থেকে বেটার্মিনাল পর্যন্ত ১ টি ফ্লাইওভার নির্মান করা হবে।

প্রকল্পাধীন ৬৭ একর ব্যক্তিমালিকানাধীন জমি উতিমধ্যে কর্তৃপক্ষকে বুঝিয়ে দিয়েছে জেলা প্রশাসন। এ জন্য ৮০৩ একর খাস জমি বরাদ্ধের অনুমোদন করা হয়েছে। উক্ত জমি জেলা পশাসন থেকে সহসাই বন্দরের কাছে হস্তান্তর করা হবে।

 -সেবা হট নিউজ: সত্য প্রকাশে আপোষহীন

ট্যাগস

Post a Comment

0Comments

খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।

Post a Comment (0)

#buttons=(Ok, Go it!) #days=(20)

Our website uses cookies to enhance your experience. Know about Cookies
Ok, Go it!
To Top