সেবা ডেস্ক: প্লাস্টিকের পুনর্ব্যবহার বন্ধ করার জন্য সর্বসাধারণের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন বাংলাদেশ সরকারের পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন।
আজ শুক্রবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের কার্জন হল প্রাঙ্গণে ‘প্লাস্টিক বর্জ্য মুক্ত ভালবাসার ক্যাম্পাস-২০২০’ শীর্ষক শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে এ আহ্বান জানান তিনি। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের ‘নেচার কনজারভেশন ক্লাব’ ও পরিবেশ অধিদফতর যৌথভাবে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
মো.শাহাব উদ্দিন বলেন, পরিবেশ দূষণের অন্যতম নতুন উপাদান হচ্ছে প্লাস্টিক। তাই একবার ব্যবহার করা প্লাস্টিকের পুনর্ব্যবহার বন্ধের কোনো বিকল্প নেই।
প্লাস্টিক ও পলিথিন বায়ু দূষণ, মাটি দূষণ, পানি দূষণসহ সার্বিক পরিবেশ দূষণের জন্য দায়ী উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, প্লাস্টিক মানুষের শরীরে অনেক মরণ ব্যাধির পাশাপাশি ক্যান্সারের জন্য দায়ী।
সবাই মিলে প্লাস্টিক, পলিথিনসহ পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর পদার্থ বর্জন করার মাধ্যমে পরিবেশ দূষণমুক্ত বাসযোগ্য স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ার অভিপ্রায় ব্যক্ত করে মন্ত্রী বলেন, আসুন আমরা সবাই প্লাস্টিক ও পলিথিন বর্জন করি।
প্লাস্টিকের বর্জ্য নষ্ট হতে প্রায় সাড়ে চারশো বছর লাগে উল্লেখ করে পরিবেশ মন্ত্রী বলেন,সভ্যতার অনুষঙ্গ হিসেবে এসেছে ক্ষতিকর প্লাস্টিক। তাই ওয়ান টাইম কাপ-গ্লাস, চামচ, বোতলজাত পানি, খাবারের জন্য প্লাস্টিকের মোড়ক, স্ট্র ও পলিথিনের ব্যাগসহ যাবতীয় একবার ব্যবহার্য প্লাস্টিকের অবশ্যই বিকল্প খুঁজে বের করতে হবে।
এ জন্য মন্ত্রী বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে গবেষণা করারও আহ্বান জানান। এছাড়াও দূষণের কারণে সংকটাপন্ন ও বিলুপ্তপ্রায় প্রাণীদের রক্ষায় করণীয় বিষয়েও গবেষণা করতে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে এগিয়ে আসার জন্য তিনি আহ্বান জানান।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস-চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামানের সভাপতিত্বে এ অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভাইস-চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ সামাদ,পরিবেশ অধিদফতরের মহাপরিচালক ড.এ,কে,এম রফিক আহাম্মদ, জীববিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. ইমদাদুল হক, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. এ.কে.এম গোলাম রব্বানী ও প্রাণিবিদ্যা বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক হুমায়ুন রেজা খান বক্তৃতা করেন।
-সেবা হট নিউজ: সত্য প্রকাশে আপোষহীন
খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।