মাদক আইন বাস্তবায়নে সরকারের ‘জিরো-টলারেন্স’ নীতি: তথ্যমন্ত্রী

S M Ashraful Azom
0
মাদক আইন বাস্তবায়নে সরকারের ‘জিরো-টলারেন্স’ নীতি তথ্যমন্ত্রী
সেবা ডেস্ক: বাংলাদেশ সরকারের তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, সরকার মাদকবিরোধী আইন বাস্তবায়নে ‘জিরো-টলারেন্স’ নীতি গ্রহণ করেছে।

তিনি বলেন, ইয়াবা ব্যবসার সঙ্গে জড়িতরাসহ ইয়াবা সেবনকারী, মাদক পাচারকারী, মাদক বিক্রেতা ও মাদক সেবনকারী-সবার বিরুদ্ধেই মাদকবিরোধী আইনের প্রয়োগ করা হচ্ছে।

শনিবার সন্ধ্যায় চট্টগ্রাম জমিয়তুল ফালাহ মাঠে আঞ্জুমানে রজভীয়া নুরিয়া ট্রাস্ট আয়োজিত ‘যৌতুক, মাদক ও নারী নির্যাতন বিরোধী’ এক সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।

ড. হাছান বলেন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এই ব্যবস্থা নেয়ার ক্ষেত্রে কে কোন দলের, কোন মতের, কোন পথের সেটি দেখছে না, দেখাও হবে না। দলমত নির্বিশেষে যারা এটির সঙ্গে যুক্ত তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে এবং হচ্ছে।

আঞ্জুমানে রজভীয়া নুরিয়া ট্রাস্টের চেয়ারম্যান আল্লামা আবুল কাশেম নূরী’র সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ সমাবেশের উদ্বোধন করেন সৈয়দ সাইফুদ্দিন আহমেদ আল হাছানী। অন্যান্যের মধ্যে ড. নূ. ক. ম আকবর হোসেন, আলহাজ নুরুল হক, মাছুমুর রশীদ কাদেরী, জাহিদুল হাসান রুবায়েত ও মাওলানা আবুল হাসান ওমাইর রজভী সমাবেশে বক্তব্য দেন।

ড. হাছান বলেন, মাদক এমন একটি বিষ সেটির কারণে শুধুমাত্র যারা মাদক সেবী তার জীবনটা ধ্বংস হয় তা নয়, পুরো পরিবার ধ্বংস হয়ে যায়। মাদকাসক্ত অনেক সন্তানের হাতে মা-বাবা ও স্বামীর হাতে স্ত্রী হত্যার স্বীকার হয়েছেন, এমনকি মাদকাসক্ত পিতার কাছে নিজের সন্তান পর্যন্ত নিরাপদ নয়। মাদকের টাকা জোগাড় করতে গিয়ে সন্তানকে পর্যন্ত বিক্রি করে দিয়েছে এমন নজিরও রয়েছে।

যৌতুক বিরোধী আন্দোলনকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য ধন্যবাদ জানিয়ে ড. হাছান বলেন, এসব আন্দোলন ও সরকার যে যৌতুক বিরোধী আইন করেছে তার কারণে যৌতুক এখন অনেক কমে গেছে। আজ থেকে ৩০/৪০ বছর আগে যৌতুকের জন্য দেনদরবার হতো। এখন কিন্তু সেটা আর হয় না।

তিনি বলেন, অনেক বৃদ্ধা বাবা-মা মেয়েকে বিয়ে দেয়ার জন্য সাহায্যের আবেদন নিয়ে বিভিন্ন জনের কাছে যায়। এটি হওয়া উচিয় নয়।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, এভাবে বিয়ে করলে জীবনে সুখী হওয়া যায় কিনা সেটা আমার কাছে বোধগম্য নয়। মেয়ের পিতাকে পাথরের উপর পাথরের বোঝা চাপিয়ে দিয়ে ওই মেয়েকে জীবন-সঙ্গী করে জীবনে সুখী হওয়া যাবে না। এজন্য আবুল কাশেম নূরীর আন্দোলনকে আমি সমর্থন জানাই। আমি বিশ্বাস করি এ ধরনের আন্দোলনের মাধ্যমে দেশকে মাদক ও যৌতুক মুক্ত করতে পারবো।

তিনি আরো বলেন, সরকার যৌতুক বিরোধী আইন করেছে, বাল্যবিবাহ বিরোধী আইন আছে। এ আইনগুলো যদি সঠিক প্রয়োগ হয়, তাহলে আমি বিশ্বাস করি বাংলাদেশ যৌতুক ও মাদক মুক্ত হবে। মানুষ এখন যেমন যৌতুক দাবি করতে লজ্জা পায়, তখন গোপনে যৌতুক নিতেও সাহস করবে না।

তিনি বলেন,যেই ছেলে ১০ বছর আগে বিদেশ গেছে সে এখন এসে তার গ্রাম চিনতে পারে না। আমার নিজের গ্রামেও ১০ বছর আগে বিদ্যুৎ ছিলো না। সড়কের বেহাল অবস্থার কারণে ১০ কিলোমিটার পথ পায়ে হেঁটে গিয়েছি। কিন্তু এখন সেখানে সব বাড়িতে গাড়ি যায়। যেখানে রাস্তা কেউ কখনো কল্পনা করেনি সেখানে পাকা রাস্তা হয়েছে। এটি সারা বাংলাদেশের চিত্র।

ড. হাছান বলেন, এই উন্নয়নের সঙ্গে মানুষের আত্ত্বিক ও আত্মার উন্নয়ন প্রয়োজন। তাহলেই দেশটাকে সত্যিকার অর্থে একটি উন্নত দেশে রূপান্তর করা যাবে।

তিনি বলেন, আমাদের দেশ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির ক্ষেত্রে পৃথিবীর কাছে উদাহরণ। সাম্প্রদায়িক সম্প্রতির ক্ষেত্রে আমরা যে উদাহারণ সৃষ্টি করেছি তা অনেক দেশ আমাদের কাছ থেকে শিখতে পারে। সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় আমরা ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত সমৃদ্ধ দেশের স্বপ্নের ঠিকানায় পৌঁছে দিতে পারবো।

 -সেবা হট নিউজ: সত্য প্রকাশে আপোষহীন

ট্যাগস

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ

খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন (0)

#buttons=(Ok, Go it!) #days=(20)

Our website uses cookies to enhance your experience. Know about Cookies
Ok, Go it!
To Top