মেলান্দহে বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকদের স্যানিটাইজার তৈরি

S M Ashraful Azom
মেলান্দহে বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকদের স্যানিটাইজার তৈরি
বশেফমুবিপ্রবি ল্যাবরেটরিতে গবেষক ও শিক্ষার্থীরা
মো. শাহ্ জামাল, জামালপুর সংবাদদাতা : করোনাভাইরাসে আতঙ্কের মধ্যে জীবানুনাশক হ্যাÐ স্যানিটাইজার তৈরি করলেন জামালপুর মেলান্দহের বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বশেফমুবিপ্রবি) শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা।

ফিশারিজ বিভাগের শিক্ষক মাহমুদুল হাছানের নেতৃত্বে সাতজন শিক্ষার্থী এ কাজে যুক্ত হন। সাতদিনের গবেষণায় ফলাফল অর্জনে সক্ষম হন। তাদের তৈরি স্যানিটাইজার বোতলজাত শেষে ২৩ মার্চ বিশ্ববিদ্যালয় এবং আশপাশ এলাকায় তা বিনামুল্যে বিতরণ করেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি, গবেষক ও শিক্ষার্থীরা এ তথ্যটি নিশ্চিত করেছেন।  গবেষক ড. মাহমুদুল হাছান জানান, ‘দেশে করোনাভাইরাস থেকে মুক্তির উপায় ভাবনা থেকেই তাদের এই উদ্ভাবন।
বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় বিতরণ করা হচ্ছে স্যানিটাইজার
বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় বিতরণ করা হচ্ছে স্যানিটাইজার

বর্তমানে বাজারে স্যানিটাইজার দুষ্প্রাপ্যতা দুরীকরণ এবং সাধারণ মানুষের হাতের নাগালে পৌঁছে দিতেই তাদের উদ্যোগের সাফল্য অর্জন করেন। বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ল্যাবরেটরিতে ফিশারিজ বিভাগের সাত শিক্ষার্থীর গবেষক দল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডবিøউএইচও) নিয়ম ও পদ্ধতি অনুসরণ করে স্যানিটাইজার তৈরির কাজ শুরু করেন। প্রথমে প্রায় ৪০ বোতল স্যানিটাইজার তৈরি করে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-কর্মচারী ও এলাকাবাসীর মধ্যে বিতরণ করা করে সাড়া ফেলেছেন।

গবেষক দলের প্রধান ড. হাছান আরো জানান, স্যানিটাইজার তৈরির কাঁচামাল হিসেবে ইথানল, অ্যালোভেরা জেল ও এসেশিয়াল অয়েল ব্যবহার করা হয়। এর কাঁচামাল সংগ্রহ ও আর্থিক যোগান তিনি নিজেই দেন। প্রয়োজনীয় সহায়তা পেলে এটি বৃহৎ পরিসরে করা যাবে। স্যানিটাইজার প্রস্তুতকারী গবেষক শিক্ষার্থীরা হলেন-দিদারুল হক খান অভি, জাহিদ হাসান অনিক, সৈয়দা মার্জিয়া ইসলাম তৃপ্তি, ফারজানা হায়দার স্মৃতি, বিল্লাল হাসান, শর্মিলা দে ও তুষার রায়। তারা এমন কারিগরি কাজে সহযোগিতা কামনা করেছেন।

স্যানিটাইজার তৈরিতে গবেষণা করছেন বিজ্ঞানী ড. মাহমুদুল হাছান
স্যানিটাইজার তৈরিতে গবেষণা করছেন বিজ্ঞানী ড. মাহমুদুল হাছান
জানা গেছে, গবেষক ড. মাহমুদুল হাছান ময়মনসিংহ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ২০০৭ সালে মাস্টার্স সম্পন্নের পর স্কলারশিপে জাপান যান। সেখানেই পিএইচডি সম্পন্ন করেন। দেশে ফিরে এশিয়ান ইউনিভার্সিটির এসিস্ট্যান্ট প্রফেসর হন। বর্তমানে তিনি বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ফিশারিজ বিভাগের শিক্ষক।

গবেষণায় তিনি জাপান সরকারের অর্থায়নে মাছের জেনেটিক বিষয়ক গবেষণা প্রকল্প পরিচালনা করছেন। বাংলাদেশের ১০৭টি ব্যাঙ নিয়ে মলিকুলার পদ্ধতিতে ডিএনএ বারকুডিং এনালাইসিস করে তিনি ৮টি নতুন প্রজাতির ব্যাঙ আবিষ্কারসহ ৩টির বৈজ্ঞানিক নামকরণ করেন। এখনো তিনি বশেফমুবিপ্রবি ল্যাবরেটরিতে তিনি গবেষণা চালিয়ে যাচ্ছেন।

এ ব্যাপারে বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. সৈয়দ সামসুদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘ড. মাহমুদুল হাছানের গবেষণা কাজ প্রশংসাযোগ্য। আশা করছি তাঁদের গবেষণার ফসল গণমানুষের উপকারে আসবে। গবেষকদের সবধরণের সহায়তার আশ^াস দেন।
স্যানিটাইজার তৈরিতে গবেষণা করছেন বিজ্ঞানী ড. মাহমুদুল হাছান

মেলান্দহের উপজেলা নির্বাহী অফিসার তামিম আল ইয়ামিন বলেন, বিশ^বিদ্যালয়ের গবেষকদের উদ্ভাবনের খবর জেনেছি। তাদের সহযোগিতার বিষয়টি ভাবা হচ্ছে।

 -সেবা হট নিউজ: সত্য প্রকাশে আপোষহীন


#buttons=(Ok, Go it!) #days=(20)

Our website uses cookies to enhance your experience. Know about Cookies
Ok, Go it!
To Top