সেবা ডেস্ক: প্রাণঘাতি করোনা ভাইরাসের পরিস্থিতি বিবেচনায় ২০২০ সালে হজযাত্রী পাঠানোর লক্ষ্যে নিবন্ধন কার্যক্রম ৮ এপ্রিল পর্যন্ত বাড়িয়েছে বাংলাদেশ সরকার।
বুধবার দুপুরে সচিবালয়ে নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকরা সৌজন্য সাক্ষাত করতে গেলে ধর্ম প্রতিমন্ত্রী আলহাজ অ্যাডভোকেট শেখ মো. আব্দুল্লাহ্ এ তথ্য জানান।
ধর্ম প্রতিমন্ত্রী বলেন, ২ মার্চ থেকে হজযাত্রী নিবন্ধন কার্যক্রম চলমান রয়েছে। করোনাভাইরাসের কারণে বর্তমানে ওমরাহ যাত্রী পাঠানো ও সৌদি আরবের সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ আছে। তবে পরিস্থিতি দেখে ২০২০ সালে হজযাত্রী পাঠানো লক্ষ্যে নিবন্ধন কার্যক্রম অব্যাহত রাখা হয়েছে। যা চলবে ৮ এপ্রিল পর্যন্ত।
হজ সংক্রান্ত বেশ কিছু সিদ্ধান্তের কথা জানিয়ে তিনি বলেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে বেসরকারি ব্যবস্থাপনার হজযাত্রী নিবন্ধনের সময় বিমান ভাড়া এবং সার্ভিস চার্জ বাবদ ১ লাখ ৫১ হাজার ৯৯০ টাকার অতিরিক্ত অন্যকোনো ব্যয় বাবদ কোনো অর্থ নেয়া হবে না। অবশিষ্ট অর্থ পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ার সঙ্গে-সঙ্গে জমা দেয়ার জন্য হজযাত্রীকে প্রস্তুত রাখতে হবে।
নিবন্ধনের সময় হজযাত্রী ও এজেন্সিকে অবশ্যই নগদ লেনদেন পরিহার করতে হবে। কোনো অবস্থাতেই মধ্যস্বত্বভোগী বা তথাকথিত গ্রুপ লিডারের মাধ্যমে লেনদেন করা যাবে না। নিবন্ধনের সময় হজযাত্রী কর্তৃক জমাকৃত অর্থ শুধুমাত্র হজ কার্যক্রমেই ব্যয় করতে হবে।
নিবন্ধন ভাউচারের মাধ্যমে ব্যাংকে টাকা জমা প্রদান করে নিবন্ধন করতে হবে। হজযাত্রী কর্তৃক এজেন্সির ব্যাংক হিসাব ব্যতীত কোনোভাবে নগদ লেনদেন করা হলে এজন্য কর্তৃপক্ষ দায়ী থাকবে না।
প্রতিমন্ত্রী আরো বলেন, নিবন্ধনের সময় হজযাত্রী কর্তৃক জমাকৃত অর্থ হজ কার্যক্রম ব্যতীত অন্য কোনো খাতে ব্যয় করা যাবে না। নিবন্ধনের জন্য জমা দেয়া অর্থ ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা ব্যতিরেকে কোনো অবস্থাতেই উত্তোলন করা যাবে না।
তিনি বলেন, পরবর্তী নির্দেশনা প্রদান না করা পর্যন্ত সৌদি আরবে বাড়ি ভাড়া বা অন্য কোনো খাতে ব্যয়ের জন্য অর্থ প্রেরণ করা যাবে না এবং বাংলাদেশেও বিমান ভাড়া বা অন্য খাতে অর্থ ব্যয় করা যাবে না। বিদ্যমান করোনাভাইরাস পরিস্থিতির কারণে হজযাত্রী প্রেরণ করা সম্ভব না হলে সংশ্লিষ্ট এজিন্সকে জমা দেয়া অর্থ হজযাত্রী বরাবর ফেরত দিতে হবে।
-সেবা হট নিউজ: সত্য প্রকাশে আপোষহীন