সেবা ডেস্ক: জামালপুরে প্রাণঘাতি করোনার প্রভাবে সৃষ্ট সঙ্কট মোকাবেলায় জামালপুর জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে চার হাজার ২ শত কর্মহীন দরিদ্র মানুষকে খাদ্যসহায়তাসহ বিভিন্ন মানবিক সহায়তার পাশাপাশি করোনাভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে লকডাউন কার্যকর করতে বিভিন্ন কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে।
জামালপুরের পুলিশ সুপার মো. দেলোয়ার হোসেন এই প্রতিবেদককে বলেন, লকডাউনের কারণে কর্মহীন হয়ে পড়া দরিদ্র শ্রমজীবী পরিবারের মানুষদের জন্য মানবিক সহায়তা নিয়ে পাশে দাঁড়িয়েছে জেলা পুলিশ। প্রথম পর্যায়ে আমরা কর্মহীন দরিদ্র চার হাজার ২০০ পরিবারের মাঝে খাদ্যসহায়তা হিসেবে প্রতিটি পরিবারকে ১০ কেজি করে চাল দিচ্ছি। সামাজিক দূরত্ব বাজায় রাখার স্বার্থে জনসমাগম না করে দরিদ্র মানুষের বাড়ি বাড়ি গিয়ে পুলিশ সদস্যরা খাদ্যসহায়তা পৌঁছে দিচ্ছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত মানবিক সহায়তা অব্যাহত থাকবে।
তিনি আরো বলেন, এছাড়াও জেলার সাতটি থানা ও বিভিন্ন পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের মাধ্যমে দরিদ্র মানুষের মাঝে মাস্ক, হ্যান্ড স্যানিটাইজার ও সাবান বিতরণ অব্যাহত রেখেছি। টেলিফোনে কেউ খাদ্যসহায়তার জন্য আমাদের কাছে জানালে তাদেরকেও বাড়ি বাড়ি গিয়ে খাদ্যসামগ্রী পৌঁছে দিচ্ছে পুলিশ সদস্যরা। এছাড়াও জেলা প্রশাসনের ত্রাণ বিতরণের শৃংখলা রক্ষায় এবং সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে পুলিশ সদস্যরা প্রতিটি ত্রাণ বিতরণ কার্যক্রমে উপস্থিত থাকছে।
অনদিকে লকডাউন কার্যকর করা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, করোনাভাইরাস সংক্রমণ রোধে জেলা প্রশাসন ৮ এপ্রিল থেকে জামালপুর জেলাকে লকডাউন ঘোষণা করায় স্বাভাবিকভাবেই সকল প্রকার যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। জরুরি নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্যপণ্য, ওষুধ ও রোগীবহনকারী গাড়ি, সাংবাদিকদের গাড়ি ব্যতীত অন্যকোনো মোটরযান আসা-যাওয়া সম্পূর্ণরূপে বন্ধ করে দিয়েছি। তবে অকারণে বা অপ্রয়োজনে কিছু কিছু মানুষের চলাফেরা বা ঘোরাফেরা, মোটরসাইকেল ও অন্যান্য ছোটখাটো যানবাহন নিয়ে রাস্তায় বেরিয়ে এলে তাদের নিয়ন্ত্রণে পুলিশের পক্ষ থেকে সারা জেলায় ৪০টি পয়েন্টে চেকপোস্ট বসানো হয়েছে।
৩৫টি ভ্রাম্যমাণ টহল পুলিশ দল তিন পালায় জামালপুর জেলা শহরসহ সারা জেলায় এমনকি গ্রামেও রাতদিন টহল দিয়ে দায়িত্ব পালন করে আসছে। এছাড়াও সাদা পোশাকে মোটরসাইকেলে করে পুলিশের টহল দলও মানুষকে ঘরে থাকার জন্য সতর্ক করে আসছে। করোনাভাইরাস মোকাবেলায় সরকারি বিধি-নিষেধ ও স্বাস্থ্য বিধি মেনে সবাইকে ঘরে থাকার আহ্বান জানান পুলিশ সুপার।