
রফিকুল আলম, ধুনট (বগুড়া) : বগুড়ার ধুনট উপজেলার নিমগাছি ইউনিয়নের শিয়ালি গ্রামে একই পরিবারের তিনটি বাড়ির লকডাউন ৪দিন পর প্রত্যাহার করে নিয়েছেন প্রশাসন। সোমবার সকালে ধুনট উপজেলা নির্বাহি কর্মকর্তা (ইউএনও) রাজিয়া সুলতানা এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, উপজেলার শিয়ালি গ্রামের ৪৫ বছর বয়সী এক ব্যক্তি ঢাকার একটি পোশাক কারখানায় চাকুরী করেন। তিনি সর্দি, জ্বর ও শ্বাসকষ্ট নিয়ে কর্মস্থল থেকে ২৪ মার্চ গ্রামের বাড়িতে আসেন। পরিবারের সদস্যরা তাকে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন।
সেখানে কত্যর্বরত চিকিৎসকগণ ওই ব্যক্তির শরীরে করোনাভাইরাসের উপসর্গ থাকার সন্দেহ করেন। পরে চিকিৎসকদের পরামর্শ অনুযায়ী ২৯মার্চ বিকেলে ওই ব্যক্তিকে বগুড়া মোহাম্মদ আলী হাসপাতালের আইসোলেশনে ভর্তি করা হয়।
এদিকে ১এপ্রিল ওই ব্যক্তির শরীরে করোনাভাইরাস পরীক্ষার জন্য নমুনা সংগ্রহ করে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে পাঠানো হয়। ফলে জেলা প্রশাসকের নির্দেশে ২ এপ্রিল রাতে ধুনট উপজেলা নির্বাহি কর্মকর্তা ওই ব্যক্তির বাড়িসহ তিনটি বাড়ি লকডাউন ঘোষনা করেন।
ধুনট উপজেলা নির্বাহি কর্মকর্তা (ইউএনও) রাজিয়া সুলতানা জানান, শিয়ালি গ্রামের এক ব্যক্তি বগুড়া মোহাম্মদ আলী হাসপাতালের আইসোলেশনে ভর্তি হন। এ কারনে তার সংস্পর্শে আসা পরিবারের সদস্যদের তিনটি বাড়ির নিরাপত্তার জন্য লকডাউন করা হয়। কিন্ত পরীক্ষায় ওই ব্যক্তির শরীরে করোনা সনাক্ত হয়নি। ফলে রবিবার রাতে তিনটি বাড়ির লকডাউন প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়েছে।
