স্টাফ রিপোর্টার: সারা বিশ্ব যখন কোভিন-১৯ ভাইরাসের ব্যপরোয় আঘাতে লন্ডভন্ড তখন বাংলাদেশ মহামারী রোধে লড়ছে সবোচ্চ চেষ্টা নিয়ে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রায় সকল সেক্টরের জন্য বাহাত্তর হাজার এর অধিক প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা করে বিশ্বে আবারো এক অনন্য নজির স্থাপন করেছেন তার রাষ্ট্রনায়কোচিত নেতৃত্বের ধারবাহিকতায়। এ মুহূর্তে বাংলাদেশ মহামরী ছড়ানোর চতুর্থ স্তরে অবস্থান করছে এবং এটিই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সময় প্রাণান্তর প্রচেষ্টায় ভয়ংকর করোনার রুপধরণ অনেকটা ধীর গতি লক্ষ্য করা যাচ্ছে।
যখন দেশের প্রধানমন্ত্রী সার্বক্ষণিক নির্দেশনা দিচ্ছেন, পুরাতন দেশ বিরোধি অপশক্তির অপতৎপরতা! কি থেমে আছে?না প্রথম করোনার আক্রান্ত মানুষ চীনের উহানে শনাক্ত হওয়ার সময়েই এ অপশক্তির বিভিন্ন ছদ্ধাবরণে নানা কৌশলে তৎপরতা শুরু করে।চীনের উহানে কোন বাঙালির বসবাস না থাকা সত্ত্বেও দাবি তোলা হয়, চীনে অবস্থানরত বাংলাদেশীদের ফিরিয়ে নিয়ে আসার তা এমন ভাবে ইনিয়ে বিনিয়ে বলা হচ্ছিলো যেন উহানে বাঙালি আছে তাদের ফিরিয়ে নিয়ে আসা উচিৎ,সরকার বারবার বলতেছিল যে আমরা সেখানকার পরিস্থিতি গভীরভাবে পযবেক্ষণ করছি ও সবরকম প্রস্তুতি নেয়া আছে, যে পদক্ষেপ প্রয়োজন হবে তাই নেওয়া হবে।
এক পযায়ে সরকার নিজস্ব অর্থায়নে চীনে বিভিন্ন প্রদেশে অধ্যয়নরত ছাত্রছাত্রীসহ বাংলাদেশিদের দেশে ফিরিয়ে আনে।
দেশের আসার পর বাধ্যতামূলক ১৫ দিসের কোয়ারেন্টাইন মানতে তারা রাজি নয় এ জন্য হজ্জ্ব ক্যাম্পে এ দেশীয়দের প্ররোচনায় কতিপয় প্রবাসীর আইন প্রয়োগকারী সংস্থার লোকদের সাথে উদ্ধত্যপূর্ণ আচরণ দেশবাসীকে হতবিহ্বল করে। কোন প্রকার টেস্ট,পরীক্ষানিরীক্ষা করতে তারা রাজি নয়,দাবি তারা সুস্থ আছেন,রোগের লক্ষণ প্রকাশ পেতে যে কয়েকদিন সময় লাগে এটা তারা বুঝতে রাজি নয়।ফলশ্রুতিতে স্বাস্থ্যবিভাগ ও পুলিশ সাময়িক দ্রুত টেস্ট করে হোম কোয়ারেন্টাইন এ থাকতে মুচলেখা নেয়।
কিন্তু হোম কোয়ারেন্টাইন ৮০% প্রবাসী মানলেও ২০% না মেনে ঘুড়েফিরে বেড়ানোতে দেশবাসীকেই হুমকিতে ফেলেছে তারা।সরকার নিকটস্থ থানায় যোগাযোগ করে হোম কোয়ারেন্টাইন এ থাকা নির্দেশ দিলেও তা শতভাগ কাযকর হয়নি শুধুমাত্র খামখেয়ালিপনার কারণে।তারপর প্রথমকরোনা আক্রান্ত শনাক্ত হওয়ার পর,দেশবিরোধি অপশক্তিরা আরো তৎপর হয়ে উঠার অবকাশ পায়। তারা বলতে শুরু করে দেশে কিট,নেই,দেশে পযাপ্ত বেড নেই,ডাক্তারদের পিপিই নেই,আইসোশেন ওয়ার্ড নেই,
স্বাস্থ্য খাতে বরাদ্দ নেই,আক্রান্ত,মৃত্যু,সুস্থ হওয়ার সংখ্যা গোপন করছে,সরকার এর সব পদক্ষেপ প্রক্রিয়াধীন ছিল তবু তারা এসব গুজব ছড়িয়ে মানুষকে ভুল বুঝানোর অপচেষ্টা অব্যাহত রাখে একটার পর একটা,সরকার যখন সেনাবাহিনীর নিকট দায়িত্ব হস্তান্তর করে দুটি করোনা ক্যাম্পের।
তখন এরা আবার বলতে শুরু করে যে দিয়াবাড়িতে স্থানীয়রা হুমকিতে পরবে তাদের দিয়ে মিছিল করানো হলো,তেজগাও আকিজ গ্রুপের বিশেষ করোনা হাসপাতাল স্থাপনে বাধা দিয়ে সাময়িক বন্ধ করা হলো,সরকারের দুরদর্শিতায় আবার সব শুরু হয় কিন্তু অপশক্তির তৎপরতা থেমে থাকে না।দেশে বিদেশে ব্যবস্থাপনায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর দীর্ঘ সুনাম রয়েছে।
সামাজিক দুরত্ব নিশ্চিত করতে সেনাবাহিনী কাজে নেমে পড়ার পর এশিয়ার অন্যতম প্রাচীন ছাত্রসংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সাথে একটি সুপরিকল্পিত ভিডিও নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তুলোধুনু করা হয়,হতাশ এই জনগণ বিরোধি লোকরা এসব করছে সরকারকে বেকায়দায় ফেলতে,উন্নয়ন অগ্রযাত্রায় ঈর্ষান্বিত হয়ে বাঁধা সৃষ্টির পায়তারায় লিপ্তদের যে আর শিকে ছিরবে না।
এতটুকু এ দেশের জনগণ এখন বুঝে। সরকার প্রধানের আহ্বানের সাথে সুর মিলিয়ে বলতে হয় আসুন দেশের পাশে দাঁড়াই,দেশের মানুষের পাশে দাঁড়াই মাতৃভূমির জন্য প্রাণ দিলেও সেই প্রাণ বৃথা যাওয়ার ইতিহাস বা নজির নেই,কিন্তু মাতৃভমির সাথে জোচ্চরি,ঠকবাজি করে কেউ শেষ পযন্ত টিকে গিয়েছে বিশ্ব ইতিহাসে নজির নেই।
পরিশেষে,আমরা তাক লাগিয়ে দিয়েছি শিশু মৃত্যু,মাতৃ মৃত্যু যদি বাংলাদেশ কমাতে পারে তবে আমরা বলতে পারি মৃত্যুকে অনেকটা কমিয়ে এনেছি বা জয় করেছি যে কথাটি সরকারের একজন প্রভাবশালী মন্ত্রী বলেছেন যে করোনার চেয়ে আমরা শক্তিশালী বিষয়টি ভুল বুঝে,অপরকে ভুল বৃঝিয়ে ঘোলা পানি সৃষ্টির অপচেষ্টা হয় তখন এদের প্রতি করুণা ছাড়া আর কি করতে পারে সচ্নে মানুষ,এ সময়ে যখন কাধে কাধ মিলিয়ে দলমত,পথ,বিশ্বাস,অবিশ্বাস পিছনে ফেলে এই ৈবশ্বিক মহামারী থেকে বাংলাদেশের জনগণকে রক্ষা করার কথা।
মানুষে পাশে দাঁড়ানার কথা,উল্টো প্রতি পদক্ষেপের সুকৌশলে সমালোচনা করা হচ্ছে,নামধারি চিহ্নিত কতিপয় সুশীল আজ নিশ্চুপ,কতিপয় কতিপয় গলাবাজ রাজনীতিবিদ আজ মাঠে নেই।
আসুন রাষ্ট্রের মানুষকে বঁাচাই,রাষ্টের মানুষকে নিরাপদ রাখতে বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কন্যার বিচক্ষণ চিন্তাধারা,কাযক্রম,নির্দেশনা বুঝার চেষ্টা করি এবং বাস্তবায়ন সুনিশ্চিত করি,এ এক অন্যরকম লড়াই,এ এক দেশপ্রেম তুলে ধরার অনন্য সুযোগ,আবারো সকল অপশক্তির পরাজয়,করোনার পরাজয় এক সাথেই হবে,বঙ্গকন্যার হাত ধরেই হবে।