
রেজাউল করিম বকুল, শেরপুর প্রতিনিধি: সাধারণ ক্ষমার আওতায় শেরপুরে ১৫জন বন্দি কারাগার থেকে মুক্তি পেয়েছেন। করোনার কারণে কারাগারে বন্দি ঘনত্ব কমাতে তাদেরকে মুক্তি দেয়া হয়।
মুক্তিপ্রাপ্তরা লঘু দন্ডপ্রাপ্ত হওয়ায় সাজা মওকুফ করা হয়। ৮ মে শুক্রবার সন্ধ্যায় ১৫ জনের মধ্যে ১২ জন মুক্তি পান। এর আগে মুক্তি পেয়েছেন আরও দুইজন। এছাড়া আরও একজনের মুক্তি প্রক্রিয়াধীন।
জেলা কারাগারের সহকারী কমিশনার মাহমুদুল হাসান জানান, চলমান পরিস্থিতিতে কারাগারের বন্দি ঘনত্ব কমাতে ওই বন্দিদের অবশিষ্ট সাজা মওকুফ করে তাদের মুক্তি দেওয়া হয়।
জেলার তরিকুল ইসলাম বলেন, সাজা মওকুফ হওয়া ১৫ জনই পুরুষ এবং তাদের মধ্যে মাদক মামলায় ১০ জন, ইভটিজিং মামলায় দুইজন ও যৌতুক নিরোধ আইনসহ অন্য আইনে তিনজন রয়েছে। তাদের অধিকাংশই ভ্রাম্যমাণ আদালতের সাজাপ্রাপ্ত ছিলেন।
তিনি জানান, বন্দি মুক্তির বিষয়ে কারা মহাপরিদর্শক দফতরে ২৩ জনের প্রস্তাব পাঠানো হয়েছিল। যারা সর্বোচ্চ এক বছর থেকে ছয় মাস মেয়াদে সাজাভোগ করছিলেন। সরকারের সাধারণ ক্ষমা ঘোষণার আওতায় ওই ২৩ জনের মধ্যে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অনুমোদনক্রমে সম্প্রতি প্রথম দফায় দুইজন এবং শুক্রবার দ্বিতীয় দফায় আরও ১৩ জনের সাজা মওকুফ সাপেক্ষে মুক্তির আদেশ আসে। সে প্রেক্ষিতে শুক্রবার সন্ধ্যায় ১২ জনকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে। তাদের নিজ নিজ আত্মীয়ের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। অন্যজনের জরিমানা পরিশোধ না হওয়ায় তা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। জরিমানা পরিশোধ সাপেক্ষে তিনিও মুক্তি পেতে পারেন।
এছাড়া প্রস্তাব পাঠানো অপর ৮ জনের বিষয়ে কোন সিদ্ধান্ত না আসা পর্যন্ত এখন কিছু বলা যাচ্ছে না বলে তিনি জানান।
গণমাধ্যকর্মীদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, ১০১ জন বন্দি ধারণক্ষমতা সম্পন্ন শেরপুর কারাগারে বর্তমানে হাজতী-কয়েদী রয়েছেন ৫৫০ জন।