সেবা ডেস্ক: মারামারির আকার নিয়ে পুরোব বিশ্বে ছড়িয়ে পড়া প্রাণঘাতি নভেল করোনাভাইরাস মোকাবিলায় বাংলাদেশ ও চীনের মধ্যে অভিজ্ঞতা বিনিময়ের জন্য এক অনলাইন সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
মঙ্গলবার ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের (ডিএনসিসি) নগর ভবন থেকে আওয়ামী লীগ, চীনা কমিউনিস্ট পার্টির ইন্টারন্যাশনাল ডিপার্টমেন্ট (আইডিসিপিসি), হুবেই প্রদেশ ও ডিএনসিসির মধ্যে এ সভা হয়।
বিভিন্ন দেশের রাজনৈতিক দল ও সরকারের সঙ্গে কমিউনিস্ট পার্টি অব চায়না (সিপিসি) ও চীন সরকার কোভিড-১৯ মোকাবিলায় অভিজ্ঞতা ও আলোচনার এ উদ্যোগ নেয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে প্রথমেই বাংলাদেশের সঙ্গে অভিজ্ঞতা বিনিময় করেন তারা।
কনফারেন্সটি দুটি অংশে বিভক্ত ছিল। প্রথমে আওয়ামী লীগ ও আইডিসিপিসি অভিজ্ঞতা বিনিময় করে। পরে ডিএনসিসি ও হুবেই প্রদেশের কর্মকর্তারা আলোচনায় অংশ নেন।
প্রথম সেশনে অংশ নেন- আওয়ামী লীগের পক্ষে প্রেসিডিয়াম মেম্বার মোহাম্মদ ফারুক খান এমপি, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালিক, ডিএনসিসি মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম, দফতর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক সম্পাদক ড. শাম্মী আহমেদ, প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী ব্যারিস্টার শাহ আলী ফরহাদ, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক কমিটির সদস্য তারিক হাসান শমী।
আওয়ামী লীগের পক্ষে ফারুক খান ও জাহিদ মালিক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদৃষ্টি সম্পন্ন নেতৃত্বে কোভিড-১৯ মোকাবিলায় বাংলাদেশ সরকারের বিভিন্ন পদক্ষেপের কথা তুলে ধরেন।
অপরদিকে আইডিসিপিসি এর পক্ষে ভাইস মিনিস্টার কুও ইয়েঝাও, ডাইরেক্টর জেনারেল (বুরো-১) সুন হাইইয়ান, ডেপুটি ডাইরেক্টর জেনারেল (বুরো-১) মা শুয়েসং, ডিভিশন ডাইরেক্টর (বুরো-১) লি চিনইয়ান ও ডেপুটি ডিভিশন ডিরেক্টর (বুরো-১) তান আলোচনায় যুক্ত হন।
দ্বিতীয় সেশনে আইডিসিপিসি, হুবেই প্রদেশ ও ডিএনসিসির মধ্যে আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়। ডিএনসিসির পক্ষ থেকে উহান শহরের কোভিড-১৯ পরিস্থিতি, এটি যেনো বারবার ফিরে না আসে সেজন্য কোন ধরনের পলিসি গ্রহণ ও বাস্তবায়ন, করোনা প্রতিরোধের জনসচেতনতা তৈরি, করোনা পরীক্ষা কীভাবে করা হচ্ছে, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা, কোভিড-১৯ মহামারি ও অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি এবং দুইয়ের সমন্বয় করোনার টিকার অগ্রগতিসহ বিভিন্ন বিষয় সম্পর্কে প্রশ্ন করা হয়।
চীন ও বাংলাদেশ দুটি বন্ধুপ্রতিম রাষ্ট্র উল্লেখ করে মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেন, কোভিড-১৯ মোকাবিলায় চীনের সহযোগিতা অত্যন্ত প্রশংসনীয়। এ আলোচনা করোনা মোকাবিলায় সহায়ক ভূমিকা পালন করবে।
ভবিষ্যতে ডিএনসিসির মধ্যে সম্পর্ক আরো দৃঢ় হবে এবং অন্যান্য বিষয়ে অভিজ্ঞতা বিনিময় ও সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
এছাড়া ডিএনসিসির পক্ষে প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আবদুল হাই, সচিব রবীন্দ্রশ্রী বড়ুয়া, প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোমিনুর রহমান মামুন, প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা কমডোর মঞ্জুর হোসেন আলোচনায় অংশ নেন।
হুবেই প্রদেশের পক্ষে আলোচনায় অংশ নেন- ডাইরেক্টর অব হেলথ কমিশন ওয়াং হেশেং, ডেপুটি সেক্রেটারি জেনারেল অব সিপিসি চেন লিয়াং, ডাইরেক্টর জেনারেল অব হুবেই ফরেন অ্যাফেয়ারস ছিন ইউ, ডেপুটি ডাইরেক্টর অব হেলথ কমিশন ঝাং দিংইউ প্রমুখ।