গাইবান্ধায় মাদরাসার সুপার ও সভাপতিসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা

S M Ashraful Azom
গাইবান্ধায় মাদরাসার সুপার ও  সভাপতিসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা

আশরাফুল ইসলাম, গাইবান্ধা : সংবাদ প্রকাশের জেরে  জাগো নিউজের গাইবান্ধা জেলা প্রতিনিধি জাহিদ খন্দকার ও স্থানীয় সাংবাদিক একরামুল হকের ওপর হামলার ঘটনায় সতত্যা মেলায় সাঘাটা থানায় মামলা করা হয়েছে ।
মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সাঘাটা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বেলাল হোসেন । (মামলা নাম্বার-২০) সোমবার (১৮ মে)  দুপুরে  সাঘাটা উপজেলার মথরপাড়া দাখিল মাদরাসার ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ইমরান হোসেন ও মাদরাসার সুপার শহিদুল ইসলামসহ ৫ জনকে  আসামী করে  ভুক্তভোগী সাংবাদিক জাগো নিউজের গাইবান্ধা প্রতিনিধি জাহিদ খন্দকার বাদী হয়ে মামলাটি করেন । এর আগে গত ১৭ রোববার বিকেলে সাঘাটা থানায় এজাহার দায়ের করেন  তিনি ।মামলার আসামীরা হলেন,সাঘাটা উপজেলার  মথরপাড়া দাখিল মাদরাসার ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ইমরান হোসেন , এই মাদরাসার সুপার  শহিদুল ইসলাম সভাপতির ভাই রেজাউল করিম সভাপতির ভাতিজা  সজিব হোসাইন  ও রুবেল হোসাইন । মামলা সুত্রে জানা যায়, গত ১৬ মে শনিবার বিকেলে জাগো নিউজের জেলা প্রতিনিধি জাহিদ খন্দকার তার সহযোগী স্থানীয় সাংবাদিক একরামুল হককে সঙ্গে নিয়ে সাঘাটা উপজেলার মথরপাড়া গ্রামে বিধবা নারীদের তালিকা নিয়ে ফিরছিলেন। পথে মথরপাড়া দাখিল মাদরাসার ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ইমরানের ভাই রেজাউল করিম, তার দুই ছেলে রুবেল ও সজীব এবং মথরপাড়া দাখিল মাদরাসার সুপার শহিদুল ইসলাম সাংবাদিকের উদ্দেশ্যে অশ্লীল ভাষায় গালি দেন ও লাঞ্ছিত করেন। সভাপতি ইমরানের ভাই রেজাউল করিম বলেন, ‘মাদরাসার নিউজ করার সাহস কই পাইছিস, তোর মতো সাংবাদিককে মেরে ফেললে কিছু হবে না।’ এই বলেই তিনি ওই দুই সাংবাদিককে মারতে শুরু করেন এবং একটি ডিএসএলআর ক্যামেরা ও বাংলাটিভির কাজে ব্যবহৃত একটি হ্যান্ডি ক্যামেরাসহ বাংলাটিভির লোগো ও ক্যামেরা রাখার ব্যাগ ছিনিয়ে নেন। পরে দুই সাংবাদিককে হত্যার উদ্দেশ্যে ঘরে তুলে দড়ি ও রামদা বের করে বাঁধার চেষ্টা করেন। প্রাণভয়ে সাংবাদিকারা চিৎকার করলে স্থানীয়দের সহযোগিতায় রক্ষা পান। 

উল্লেখ্য, চলতি বছরের ১৫ জানুয়ারি জাগো নিউজে গাইবান্ধার সাঘাটায় এমপিওভুক্ত মথরপাড়া দাখিল মাদরাসার ‘৩৮ জন ছাত্র ১১ জন শিক্ষক’ শিরোনামে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। পরে জেলাজুড়ে তোলপাড় সৃষ্টি হয় এবং মাদরাসাটি প্রশাসনের দৃষ্টিতে আসে। ফলে মাদরাসার সভাপতি ইমরান ও সুপার শহিদুল ইসলাম মাদরাসার কার্যক্রম নিয়ে জবাবদিহিতা করেন। এর জেরেই সাংবাদিকের ওপর হামলার ঘটনা ঘটলো।এ বিষয়ে সাঘাটা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বেলাল হোসেন জানান, সাংবাদিকের ওপর হামলার ঘটনাটি দুঃখজনক। এবিষয়ে তদন্তপূর্বক  ঘটনার সতত্যা মেলায় মামলা গ্রহন করা হয়েছে । আসামীদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে ।


ভিডিও নিউজ


-সেবা হট নিউজ: সত্য প্রকাশে আপোষহীন


ট্যাগস

#buttons=(Ok, Go it!) #days=(20)

Our website uses cookies to enhance your experience. Know about Cookies
Ok, Go it!
To Top