গণসংহতি আন্দোলনের বিরুদ্ধে অভিযোগ

S M Ashraful Azom
গণসংহতি আন্দোলনের বিরুদ্ধে অভিযোগ

সেবা ডেস্ক: ইন্টারনেটে বা অনলাইনে বাকস্বাধীনতা বিষয়ক আলোচনাতে মতের বিরুদ্ধে প্রশ্ন করায় ব্লক করে দেয়ার অভিযোগ উঠেছে গণসংহতি আন্দোলনের বিরুদ্ধে।

তবে অনুষ্ঠানের আলোচ’ক গণসংহ’তি আন্দোলনে’র রাজনৈতি’ক পরিষদের সদস্য ফিরোজ আহমেদ অভিযোগ অস্বীকা’র করে বলেন, কাউকে বাকরুদ্ধ করার মতো ঘটনা ঘটেনি। ব্যক্তিগত আক্রমণ ও অ’শালীন মন্তব্য করায় সেগুলো মুছে দেয়া হয়েছে।

গত শুক্রবার রাতে গণসংহ’তি আন্দোলন বাকস্বাধীন’তা বিষয়ক অনলাইন আলোচনা’র আয়োজন করে। গণসংহতির ফেসবুক পেজে লাইভের মাধ্যমে আলোচনার ঘোষণা দেয়া হয় অনেক আগেই। ‘অবরুদ্ধ বাকস্বাধীনতা ও লড়াইয়ের পথ’ শিরোনামে ফিরোজ আহমেদে’র সঞ্চালনায় এই ভার্চুয়াল আলোচনায় অংশ নেন নিউ এজ পত্রিকার সম্পাদক নূরুল কবীর, ফটোগ্রাফার শহীদুল আলম ও আইনজীবী ব্যারিস্টার জোর্তি’ময় বড়ুয়া।

গণসংহতির এই আলোচনা শুরু হলে আলোচকদের কথা প্রসঙ্গে পক্ষে-বিপক্ষে নানা মন্তব্য আসতে থাকে। কিন্তু বিরুদ্ধ মতের মন্তব্য করলেই তাদের মন্তব্যগুলো হয় মুছে দেয়া হয় অথবা তাদের ফেসবুক আইডি ব্লক করে দেয়া হয়, যাতে পরবর্তীতে আর সেখানে কোনো মন্তব্য করতে না পারে।

গণসংহতির ফেসবুক লাইভে মন্তব্য করে ব্লক খাওয়া একজন বলেন, আলোচনাতে দেখলাম, দেশের প্রথিতযশা তিন ব্যক্তি বাকস্বাধীনতা বিষয়ক আলোচনা করছেন। যেহেতু বাকস্বাধীনতার পক্ষে উনারা সবাই উচ্চকিত তাই আমি উনাদের দু-একজনের বিষয়ে বিভিন্ন সময়ে উত্থাপিত অভিযোগের বিষয়ে জানতে চেয়েছিলাম। পরে দেখলাম, আমার মন্তব্য সেখান থেকে মুছে দেয়া হয়েছে। দ্বিতীয়বার মন্তব্য করতে যেয়ে দেখলাম, সেখানে আমাকে ব্লক করা হয়েছে।

পাঠশালার পক্ষে বিদেশ থেকে অনুদান এনে ব্যক্তিগত কাজে খরচের অভিযোগে ফটোগ্রাফার শহিদুল আলমের বিরুদ্ধে অভিযোগ এনে এ বিষয়ে সত্যতা জানতে কমেন্ট করেছিলেন একজন। তার মন্তব্যেরও কোনো উত্তর না দিয়ে তাকে সেই পেজ থেকে ব্লক করা হয়েছে বলে তিনি অভিযোগ করেন।
গণসংহতি আন্দোলনের বিরুদ্ধে অভিযোগ

ব্যারিস্টার জ্যোর্তিময় বড়ুয়ার বিরুদ্ধে সার্টিফিকেট জালিয়াতির বিষয়ে প্রশ্ন করে ব্লক খেয়েছেন আরেক মন্তব্যকারী।

ব্লক খাওয়া সবার-ই ভাষ্য, ‘আমাদের মন্তব্যগুলো তাদের পছন্দ নাও হতে পারে। তাই বলে তারা আমাদের ব্লক করে দেবেন? তাহলে কেন এই মিছেমিছি বাকস্বাধীনতার নামে গালগল্প করলেন এতক্ষণ তারা। নিজেরাই তো অন্যের বাকস্বাধীনতায় বিশ্বাস করেন না।’

আলোচক ফিরোজ আহমেদ এ প্রসঙ্গে বলেন, যে মন্তব্যগুলো অসভ্য, অশালীন এবং বিষয়বস্তুর সঙ্গে অপ্রাসঙ্গিক, সেগুলোই মুছে দেয়া হয়েছে। সরকারের লাঠিয়াল বাহিনীর মতোই একটি গ্রুপ এসে এই সাইবার হামলা চালায়, যেখানে আলোচকদের ব্যক্তিগতভাবে আক্রমণ করা হয়। এগুলো কোনোভাবেই বিষয়বস্তুর সঙ্গে যায়নি। উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে এমন সাইবার হামলাকে বাকস্বাধীনতা বলে না।

ভিডিও নিউজ


-সেবা হট নিউজ: সত্য প্রকাশে আপোষহীন


#buttons=(Ok, Go it!) #days=(20)

Our website uses cookies to enhance your experience. Know about Cookies
Ok, Go it!
To Top