শফিকুল ইসলাম: কুড়িগ্রামের রৌমারী সীমান্তে ভারতীয় বন্য হাতি তান্ডব চালিয়েছে। এতে ২০ একর জমির ফসল নষ্ট কওে ফেলেছে ওই হাতির দল। রাজিবপুর উপজেলার মিয়াপাড়া সীমান্ত থেকে শুরু করে রৌমারী উপজেলার আলগার চর সীমান্ত পর্যন্ত বন্য হাতি ভয়াবহ তান্ডব চালিয়েছে। ফলে সীমান্ত এলাকার পাঁকা বোরো ধানের ব্যাপক ক্ষতি স্বাধীত হয়েছে।
এলাকাবাসিরা জানান, বুধবার গভীর রাতে ৫০/৬০টি বন্যহাতির একটি দল ভারতের কাটাতারের বেড়া পেরিয় বাংলাদেশের অভ্যন্তরে প্রবেশ করে কৃষকের পাকা-কাচা প্রায় ২০ একর জমির ধান নষ্ট করে ।
হাতি বাংলাদেশের অভ্যন্তরে আসার প্রায় ঘন্টা খানেক পর সীমান্তের কৃষকরা জানতে পারে হাতি তান্ডব চালিয়েছে। পরে সীমান্ত এলাকার বাসিন্দারা ক্ষেতের ধান রক্ষার্থে স্বাধ্যমতো হাতি তাড়াতে চেষ্টা করেন কৃষকরা। প্রায় তিন ঘন্টা পর্যন্ত হাতির সঙ্গে জীবন বাজী রেখে ঢাকঢোল পিটিয়ে ও আগুনের ভুতি জ্বালিয়ে হাতি তাড়াতে সক্ষম হয়।
বন্য হাতির পালটি নোম্যান্সল্যান্ডে একনও অবস্থান করেছে । ভারত ও বাংলাদেশের সীমান্তবাসীরা তাদের উঠতি ফসল যাতে নষ্ট করতে না পারে সে জন্য বিভিন্ন ভাবে চেষ্টা চালাচ্ছে। ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকরা হলেন আলগারচর গ্রামের রবিউল ইসলাম,বংশির ভিটা গ্রামের ফরজ আলী ও শহিদুল ইসলামের ২ বিঘা খেতের পাকা বোরো ধান খেয়ে যায়।
ওই এলাকার ইউপি সদস্য আজাদ হোসেন খাঁ জানান, আর্ন্তজাতিক সীমান্ত পিলার ১০৭১/৭২ এর উত্তর পাশ দিয়ে ৫০ থেকে ৬০টি বন্য হাতির একটি দল ভারতের কাঁটাতারের বেড়া অতিক্রম করে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে প্রবেশ করে। এরপর সেগুলো ১০৭১ পিলার পর্যন্ত ধান ক্ষেতের উপর তান্ডব চালায়। এসময় বাংলাদেশ ও ভারতের কৃষকগণ তাদের পাকা ও আধাপাকা বোরো ধান রক্ষার্থে দু’দেশের সীমান্ত থেকে ঢাক-ঢোল পিটিয়ে, আগুন জালিয়ে, পটকা ফাটিয়ে ও নিজেদের শ্যালো ম্যাশিন চালু করে বন্য হাতি তাড়ানোর চেষ্টা করেন। তবুও উপজেলার মিয়াপাড়া, বাউল পাড়া, জালচিড়া পাড়া ও বালিয়ামারী, লাঠিয়াল ডাঙ্গা, বাগান বাড়ী, বংশিরভিটা, আলগারচর,উত্তর আলগারচর, খেওয়ারচর, বকবান্দা, ঝাউবাড়ী, চুলিয়ারচর, বারবান্দাসহ সীমান্তবর্তী এলাকার এবং ভারতের বলদাং গিরি, কালাইয়েরচর, শটিমারী,ভাটির গাও, শদুরটিলা, কারিপারাসহ এলাকার বেশ কিছু উঠতি ফসলের ব্যাপক ক্ষতি করেছে।
এবিষয় বালিয়ামারী ক্যাম্পের কম্পানি কমান্ডার মিজানুর রহমান জানান. ভারতীয় বন্য হাতি এসে সীমান্ত এলাকার কৃষকের ধান খেয়েছে, আমরা ঘটানান্থলে গিয়ে দেখে এসেছি।