
রফিকুল আলম,ধুনট (বগুড়া): বগুড়ার ধুনট উপজেলায় ফরিদ উদ্দিন নামে এক মাংস ব্যবসায়ীর কসাইখানা থেকে জবাই করা চোরাই গরুসহ ১২টি গরু উদ্ধার করেছে স্থানীয়রা। এ ঘটনার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে কসাইয়ের সহযোগী মুছা মিয়াকে (৫৫) আটকের পর থানায় সোপর্দ করা হয়েছে। মুছা মিয়া উপজেলার তারাকান্দি গ্রামের তাজু মন্ডলের ছেলে। সোমবার ভোর ৫টার দিকে উপজেলার নলডাঙ্গা বাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
থানা পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার নয়া উল্লাপাড়া গ্রামের আনোয়ার হোসেনের গোয়াল ঘর থেকে রবিবার রাতে ২টি গরু চুরি যায়। আনোয়ার হোসেন রাতেই মাইকিং করে গরু চুরি যাওয়ার বিষয়টি এলাকায় প্রচার করেন। চুরি যাওয়া গরুর খোঁজে একই এলাকার নলডাঙ্গা বাজারে পৌছে কসাইখানায় জবাই করা গরু দেখে আনোয়ার হোসেনের সন্দেহ হয়।
এসময় গরুর চামড়া দেখে গরুর মালিক আনোয়ার হোনের তার গরু সনাক্ত করলে সেখান থেকে ফরিদ কসাই ও তার সহযোগীরা কৌশলে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়। এঘটনার পর ফরিদ কসাইয়ের বাড়ি থেকে চোরাই সন্দেহে আরো ১১টি গরু উদ্ধার করে থানা হেফাজতে নেন পুলিশ।
ধুনট থানার উপ পরিদর্শক (এসআই) প্রদীপ কুমার বর্মন এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে জবাই করা গরু উদ্ধার করা হয়েছে। পরে ফরিদ কসাইয়ের বাড়ি থেকে চোরাই সন্দেহে কৃষকের বকনা গরু সহ ১১টি গরু উদ্ধার করা হয়েছে। এঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য মুছা মিয়াকে আটক করা হয়েছে। যাচাই বাছাই করে প্রকৃত মালিকদের গরুগুলো হস্তান্তর করা হবে।