বুধবার বিকেলে তাদের ঢাকা থেকে নিয়ে এলে স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার তাদের শুভেচ্ছা জানান।
বৃহস্পতিবার দুপুরে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গিয়ে দেখা গেছে তারা সুস্থ আছেন। এসময় মনির হোসেন জানান, ‘ যখন রোগ ধরা পড়লো তখন থেকে মনে হয় আমরা অন্য কোন গ্রহের প্রাণী। কেউ আমাদের ধারের কাছেও আসেনি। সবাই মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে। তখন প্রচন্ড কষ্ট পেয়েছি। কিন্তু হাসপাতালে ডাক্তার নার্সদের পরিচর্যায় আর কিছু নিয়ম মেনে চলায় ইনশা আল্লাহ সুস্থ হয়েছি।
তিনি জানান, ‘গত দুই সপ্তাহ প্রচুর লেবুর রস, গরম পানি. আদা চা খেয়েছি। বাবাকেও খাইয়েছি। সব সময় গরম খাবার আর উষ্ণ পরিবেশে থেকেছি। তরল খাবার খেয়েছি তাও গরম করে। সব মিলে আল্লাহ সুস্থ্য করে তুলেছেন। ’
এসময় মনিরের পিতা রেফাজ উদ্দিন জানান, ‘ আমার অবস্থা বেশি খারাপ ছিলো। হাসপাতালে পরিস্কার পরিচ্ছন্ন থেকেছি। ছেলে আদা. লেবু. গরম পানি খাইয়েছে। ডাক্তারদের ওষুধ আর কথা মেনে চলে আমরা ভালো হয়েছি। ’তিনি জনগণের উদ্দেশ্যে বলেন, নিজের অভিজ্ঞতা থেকে বলছি. সরিষাবাড়ি মানুষের মধ্যে যাওয়ায় এই রোগ আমার শরীরে ঢোকে। আমার খেদমত করায় ছেলেকেও ধরে। এই রোগ ঠেকাতে চাইলে নিরাপদ দূরত্ব বজায় রাখা, পরিস্কার পরিচ্ছন্ন আর ঘরে থাকা খুব দরকার।’
কাজিপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা মোমেনা পারভীন পারুল এসময় জানান, ‘ সাবেক এমপি জয় স্যার আর ইউএনও জাহিদ হাসান সিদ্দিকী স্যারের সহায়তার আমরা তাদের চিকিৎসার জন্যে ঢাকায় পাঠিয়েছিলাম। চিকিৎসা শেষে আবার নিয়ে এসেছি। এখন সাতদিনের আইসোলেশন শেষে তাদের বাড়ি ফেরার অনুমতি দেয়া হবে। ’
বর্তমানে পিতা পুত্রের সার্বক্ষণিক খোঁজ খবর নিচ্ছেন কাজিপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার জাহিদ হাসান সিদ্দিকী এবং উপজেলা চেয়ারম্যান খলিলুর রহমান সিরাজী।
জানা গেছে, গত ২২ এপ্রিল নিজ বাড়িতে সর্দি-জ্বর নিয়ে জামালপুর জেলার সরিসাবাড়ি হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে যান ওই পিতা পুত্র। সেখানকার ডাক্তারদের সন্দেহ হলে তারা ওই দুজনের নমুনা সংগ্রহ করে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজে পাঠায়। টেস্টে তাদের শরীরে করোনা ধরা পড়ে।