
শিব্বির আহমদ রানা, বাঁশখালী সংবাদদাতা: চট্টগ্রামের বাঁশখালীর বাহারছড়া ইউনিয়নের পূর্ব ইলশা গ্রামের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের দুই গ্রুফের দ্বন্দ্ব ও অধিপত্য বিস্তার নিয়ে হামলা ও সংঘর্ষের ঘটনায় দুই কোরানে হাফেজ খুনের শিকার হন। গত বুধবার রাতে এঘটনা সংগঠিত হওয়ার পর নিহতের পরিবার জোড়া খুনের মামলা দায়েরের পরিপ্রেক্ষিতে থানা পুলিশ এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ সদস্য মোতায়েন ও গ্রেফতার অভিযান অব্যাহত রেখেছে |
গত শুক্রবার (১৫ মমে) রাত ২ টার দিকে ইলশা গ্রামের মদীনা ব্রীকস নামক ইট ভাটা এলাকায় থানা পুলিশের অভিযানকারী একটি টিম গেলে তাদের উপস্থিতি টের পেয়ে মদিনা ব্রিকস এর আবছার গ্রুফের সন্ত্রাসী ও ডাকাতবাহীনি লক্ষ্য করে এলোপাতাড়ি গুলি ছুড়ে | পুলিশও পালটা গুলি ছুড়ে। ঘন্টাব্যাপী চলা বন্দুকযুদ্ধে সন্ত্রাসী ও ডাকাতবাহীনির সদস্যরা পিছু হটে পালিয়ে গেলে ঘটনাস্থলে একজনের মরদেহ পড়ে থাকতে দেখে পুলিশ।
পরবর্তীতে এলাকাবাসী মরদেহ দেখে নিহত ব্যাক্তিটি জোড়া খুন মামলার ৩নম্বর আসামি নুরুল আনচার প্রকাশ কালু ডাকাত (৩৫) বলে নিশ্চিত করেন।
সে ওই এলাকার মৃত দলিলুর রহমানের পুত্র। এসময় ঘটনাস্থল হতে একটি দেশীয় তৈরি এলজি ও এক রাউন্ড গুলিসহ বিভিন্ন ধরনের ছোরা উদ্বার করে পুলিশ। বন্দুকযুদ্ধে নিহত ডাকাতের লাশ শনিবার (১৬ মে) সকালে ময়নাতদন্ত করার জন্য চমেক হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করেছেন বলে জানান থানা পুলিশ।
বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা স্বীকার করে থানা পুলিশের ওসি মোঃ রেজাউল করিম মজুমদার জানান, 'ইলশা গ্রামে হাফেজে কোরআনের জোড়া খুনের ঘটানার অন্যতম আসামীরা মদীনা ব্রীকস নামক ইটভাটায় অবস্থান করছে এমন তথ্যর ভিত্তিতে অভিযানে যায় থানা পুলিশের একটি টিম। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে তাদের লক্ষ্য করে এলোপাতাড়ি গুলি ছুড়ে তারা। পুলিশ ও পালটা জবাব দে। পরে আসামীদের বাকি সদস্যরা পালিয়ে গেলে ঘটনাস্থলে একজনের মৃতদেহ পড়ে থাকে। এলাকার মানুষ মৃতদেহটি দেখে জোড়া খুন মামলার ৩নম্বর আসামী নুরুল আনচারের বলে নিশ্চিত করেন। তাছাড়া ঘটনাস্থল হতে একটি দেশীয় এলজি ও এক রাউন্ড গুলিসহ রাম দা, ছুরি উদ্বার করা হয়। মৃতদেহটির ময়নাতদন্ত করার জন্য চমেক মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে | এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন ও গ্রেফতার অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলেও তিনি জানান।