
আশরাফুল ইসলাম গাইবান্ধা থেকে: সারাদেশের মধ্যে ছোট একটি জেলা গাইবান্ধা যেখানে রয়েছে দরিদ্রতা ও কর্মস্থান না থাকায় রয়েছে কর্মহীনতা সামাজিক ব্যাধি বেকারত্ব। শিক্ষিত মানুষের সংখ্যায় পিছিয়ে আছে গাইবান্ধা জেলাবাসি।
এ অঞ্চলের মানুষ সচেতন থাকার চেয়ে ভয়ে বেশী থাকে। জেলার বিচারক,প্রশাসন,পুলিশ ও অন্যান্য আইন শৃংখলা বাহিনীর মতো সাংবাদিকগণ কে ভয় করে যারা মূলত অপরাধী হয়। আর এখন জেলায় সাংবাদিকের সংখ্যা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। পাড়ায় মহল্লায় উন্নতজাতের ধান চাষ যেমন ফলন বেশী হয়। তেমনি দিন দিন সাংবাদিকদের সংখ্যা বেড়েই চলছে নিত্য নতুন সাংঘাতিক জন্ম নিচ্ছে। এদের শিক্ষাগত যোগ্যতা যেমন বালাই নেই তেমনি নেই ব্যক্তিগত মান মর্যাদাও নেই। পত্রিকা বা টিভি চ্যানেলে কোন ভাবে প্রতিনিধি হলেই সেও সাংবাদিক । সংবাদ লেখুক আর না লেখুুক তাতে কোন যায় আসে না ছবি বা ভিডিও নিতে পারুক আর না পারুক প্রতিনিধি তো সে সাংবাদিক, যা না মানার কোন উপায় নাই। নানা প্রতিকুলতায় নানা অপরাধে জড়িত ব্যক্তিরা নিজেদের নিরাপদ ও সুরক্ষিত রাখতে আজ এই পেশায় সংযুক্ত হয়ে অযাচিত ও অমানবিক বিষয় নিয়ে মানুষকে বেকায়দায় ফেলে হুমকি ধামকি দিয়ে সংবাদ প্রকাশের ভয় দেখিয়ে টাকা কামাইয়ের চাকুরীতে নেমেছে। সকাল হতে বেরিয়ে সারাদিন শেষে রাতেও তারা শুধু ব্যস্ত ক্যালেকশন নিয়ে। আর নিত্য নতুন ঘটনার সন্ধানে ঘটনা যদি না পায় তবে তারা নিজেরাও ঘটনা সাজাতে পারে তাদের মনের মতো। আর কোন ঘটনায় যদি কারো সাথে আলাপে না বনে তবে এক যোগে নামে সে সব ব্যক্তিকে সম্মানহানি ও হেয় করতে। যারা নিজেদের অপরাধ ও জীবনে ফিরিস্তি ঢাকতে সংবাদ সম্মেলন করে লোক দেখানো ঘরোয়া প্রতিবাদ করে । এতে করে দীর্ঘ দিন হলো যারা এ পেশায় জড়িত রয়েছেন তারা পড়ে যান বিপাকে হন বিব্রত নানা প্রশ্নের মুখোমুখি হন বিভিন্ন স্থানে যার কোন উত্তর তাদের কাছে থাকে না। এ পেশার সাথে জড়িত হয়ে সকল সুবিধাভোগ করলেও পেশার দায়িত্বের বিষয়ে তারা একেবারেই অনঅভিজ্ঞ তবে তারা টাকা পেলে সব ধরণের সংবাদ প্রকাশে উল্টাপাল্টা ও তথ্য গোপন বা বিকৃতি করতে পারেন সহজে। অপর দিকে বাংলাভিশন চ্যানেলের গাইবান্ধা জেলা প্রতিনিধি সাংবাদিক আতিকুর রহমান আতিক বাবু দীর্ঘদিন হলো সাংবাদিকতায় জড়িত রয়েছেন বহু সাফল্যময় সময় পেরিয়েছেন এই সাংবাদিকতা পেশায়। দেশ বিদেশে একাধিক পুরস্কার পেয়েছেন সফল গণমাধ্যম কর্মী ও সাংবাদিক হিসাবে। আজ নানা চক্রান্ত করে একে এক তার নামে তিন তিন টা মামলা দায়ের করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: গাইবান্ধায় আমাদের সাংবাদিকতা ও সাংবাদিক আতিক বাবু (পর্ব-২)
গত ২০ এপ্রিল সোমবার রাতে অভিযান চালিয়ে গাইবান্ধায় জুয়া খেলার অপরাধে এক পুলিশ ও দুই সাংবাদিকসহ ১৩ জন গ্রেফতার করে সদর থানা পুলিশ। জুয়া খেলার অপরাধে গ্রেফতারকৃতরা হলো পৌর শহরের কলেজপাড়ার মৃত অতুল সাহার ছেলে ১। রতন সাহা, মৃত অভিনাস সেনের ছেলে ২। সাংবাদিক রবিন সেন, মুন্সিপাড়ার মৃত নিজাম উদ্দিনের ছেলে ৩। সাংবাদিক মো. জাভেদ হোসেন, মাস্টারপাড়ার মৃত চিত্তরঞ্জন দাসের ছেলে ৪। পরিতোষ কুমার, সদর উপজেলার দক্ষিণ ফলিয়া গ্রামের মৃত সমসের আলীর ছেলে ৫। পুলিশ কনস্টেবল মো. মনিরুজ্জামান, কচুয়ার খামারের মৃত আবুল কাশেমের ছেলে ৬।মো. আলম, মৃত হাসেন মিঠুর ছেলে ৭। আফছার আলী, মৃত নজরুল ইসলামের ছেলে ৮। সাদ্দাম হোসেন, মৃত সৈয়দ ব্যাপারীর ছেলে ৯। মশিউর রহমান, মৃত হোসেন আলীর ছেলে ১০। হারুন মিয়া, মালিবাড়ি ইউনিয়নের খিদির গ্রামের আব্দুল জলিলের ছেলে ১১। সেলিম মিয়া ,সরফ উদ্দিন আকন্দের ছেলে ১২। আলম মিয়াসহ ১৩ জনকে গ্রেফতার করে। এরপর সদর থানার অফিসার ইনচার্জ খান মো. শাহরিয়ার গ্রেফতারের ও গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা দায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেন। ২১ এপ্রিল জুয়া খেলা অপরাধে পুলিশ সদস্য ও ২ সাংবাদিকসহ ১৩ জন গ্রেফতারের খবর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক সহ বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশ পায়। আর এ সংবাদ প্রকাশ ও অভিযানের সম্পূর্ন দোষ দেওয়া হয় সাংবাদিক আতিকুর রহমান আতিক বাবু কে। এসময় সে গ্রেফতারকৃতদের ছাড়িয়ে নিতে না পারায় বা পুলিশ অভিযানে যাওয়ার পরে সে সেখানে উপস্থিত হয়ে ভিডিও করায় ও ছবি তোলায় তার অপরাধ হয়। এসময় গ্রেফতারকৃত একজনের পকেট হতে নাকি সাংবাদিক আতিক বাবু টাকা চুরি করে নেয় পরে তা আবার স্থানীয় কাউন্সিলরের উপস্থিতিতে ফিরে দিয়ে আসার পরে তাকে টাকা চুরি অপবাদ দেওয়া হয় । আক্রোশে বসবতি হয়ে সাংবাদিক রবিন সেন ১৮ হাজার ৬ শত টাকা চুরির দায়ে সাংবাদিক আতিক বাবুর বিরুদ্ধে থানায় মামলা দায়ের করে। কেউ যদি কারো টাকা চুরি করে তাহলে সে কি কখনো তার টাকা তার পরিবারের বা প্রতিবেশী স্থানীয় জনপ্রতিনিধির হাতে ফিরে দেবে। তবুও সাংবাদিক আতিকুর রহমান আতিক বাবু টাকা চোর । সাংবাদিক সাংবাদিকে অভ্যান্তরিন দ্বন্দের ফলে থানা পুলিশ বিপাকে পড়ে অভিযোগ ও সাজানো সাক্ষির মোকবেলায় গত ২২ এপ্রিল মামলা নিতে বাধ্য হয়।এরপর তা ফলাও করে বিভিন্ন গণমাধ্যম সহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বাংলাভিশন চ্যানেলের গাইবান্ধা জেলা প্রতিনিধি সাংবাদিক আতিক বাবু র বিরুদ্ধে টাকা চুরি দায়ে থানায় মামলা দায়ের এমন একটি খবর ছড়িয়ে ফেলে এচক্রটি । যা মূহুর্তে ভাইরাল হয়ে পড়ে গণমাধ্যম গুলোতে যেখানে তাকে বিশাল কোন অপরাধীর চাইতেও অপরাধী হিসাবে তুলে ধরে তারা। অবাক নিশ্চুপ হয়ে দেখতে থাকে জেলার সচেতন সাংবাদিকগণ। চলতে থাকে সাংঘাতিক চক্রটির কুটচাল । অভিযোগকারী কে যেমন প্রস্তত করা হয় তেমনি সাজিয়ে দেওয়া হচ্ছে সাক্ষি আর একের পর এক মামলা হচ্ছে যেন বিগত দিনে আইনের চোখে কালো কাপড় বেধে রেখেছিলো সাংবাদিক আতিক বাবু।
এরপর আবারো একটি পুরনো মিমাংসিত বিষয়ের অতিত সময়ের করা ভিডিও বিভিন্ন গণমাধ্যমে দিয়ে ভাইরাল করে। এরপর এই ভিডিওতে বক্তব্য দেওয়া বা সাংবাদিক আতিক বাবু বিরুদ্ধে অভিযোগ করা অন্ধ হাফেজ গোলজার রহমান অবশেষে গত ১৬ সালের ঘটনায় ২০ সালের এই এপ্রিল মাসে ভাতিজার চাকুরীর জন্য ৪ লাখ ১৯ হাজার টাকা পাবে মর্মে থানায় অভিযোগ দিয়ে মামলা দায়ের করে। এরপর সুন্দরগঞ্জ উপজেলার শরীফা বেগম নামে একনারী গত ১৫ সালে পুলিশে চাকুরীর জন্য সাংবাদিক আতিক বাবু কে ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা দিয়েছেন এমন ঘটানায় গত ১৯ সালে সদর থানায় সাধারণ ডাইরী করেছেন মর্মে আবার ২০ সালের এপ্রিল মাসে এসে এঘটনায় থানায় মামলা দায়ের করেন। পরপর তিনটি পৃথক অভিযোগে মামলা হওয়া সেই বিশেষ চক্রটি বিষয়টি কে নানা ভাবে রংঢং লাগিয়ে সংবাদ প্রকাশ করে লাগাতার ভাবে। যা বাংলাভিশন চ্যানেল কর্তৃপক্ষকে বিব্রততে পরে তারা বাধ্য হয়ে অবশেষে সাংবাদিক আতিকুর রহমান আতিক বাবুকে অব্যহতি প্রদান করে। সে বিষয়টি নিয়ে ফলাও করে প্রচার প্রচারণা চালায় সাংবাদিক নামের সাংঘাতিক সেই চক্রটি। তারা শুধু আক্রোশের বসে সাংবাদিক আতিক বাবুর বিরুদ্ধে সংবাদ প্রকাশ করে যার প্রমাণ তাদের সেই সাংঘাতিক সংবাদ গুলো । যেখানে সাংবাদিক আতিক বাবুকে কোন প্রকার আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ দেওয়া হয়নি চক্রটি। যাই হোক সাংবাদিক যদি অপরাধী হয় তার শাস্তি হবে এটাই বাস্তবতা আর যদি অপরাধী না হয় তবে তদন্ত সাপেক্ষে চক্রান্তকারী চক্রের শাস্তি হোক সেটাই সচেতন মহলের দাবী।
প্রথম চুরির মামলা দায়ের কারীর সাথে কথা না হলেও দ্বিতীয় মামলা দায়েরকারী অন্ধ হাফেজ গোলজার রহমানের সাথে কথা হলে তিনি বলেন, সাংবাদিক আতিক বাবু সাথে আমার সম্পর্ক আগেও ভালো ছিলো আর এখনও ভালোই আছে তার সাথে আমার কোন প্রকার দ্বন্দ কোলহ হয়নি । তিনি আমাকে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন ভাবে সহযোগী তা করেছেন তা অস্বীকার করার কোন সুযোগ নাই আমি মিথ্যা কথা বলতে পারবো না। তিনি আরো বলেন আতিক বাবু মানুষ হিসাবে অনেক ভালো। গত ১৬ সালে আমার ভাতিজার কে ডিসি অফিসে চাকুরী নিয়ে দিবে মর্মে ৪ লাখ ১৯ হাজার টাকা লেনদেন করা হয়। এরপর চাকুরী না হওয়া আমি ও আমার ছেলে তার কাছে বহুবার যাওয়ার পর অবশেষে আমার ভাতিজার একটি ব্যাংক একাউন্ট নাম্বার নেয় ও একটি চেক দেয় সাংবাদিক আতিক বাবু। আমরা সেই চেক নিয়ে টাকা উত্তোলন করতে গিয়ে দেখি ব্যাংক একাউন্টে তার কোন টাকা ছিলো না তবে পরে সে আমার ভাতিজার একাউন্টে টাকা দিয়েছেন কিনা তা আমার জানা নাই। যাই হোক সে যদি টাকা দিয়ে থাকে তাহলে হিসাব মিলে দিলে আমার কোন অভিযোগ বা মামলা মোকাদ্দমা থাকবে না। এ যাবৎকালে সাংবাদিক আতিক বাবু আমার ভাতিজা কে কত টাকা দিয়েছেন তা জেনে জানানো যাবে।
সাংবাদিক আতিকুর রহমান আতিক বাবু বলেন , আজ আমাকে নিয়ে যারা ষরযন্ত্র করছে তারা কে জেলায় তাদের পরিচয় কি ও তাদের কর্মকাজ কি তা জেলার সচেতন মানুষ জানে ও বুঝে । এ চক্রটির আগ্রাসি আচরণের ভয়ে কেউ কিছু বলে না । এরা যে বিভিন্ন চ্যানেল ও পত্রিকার কার্ড গলায় ঝুলিয়ে মানুষ কে হয়রানি পেরেশানি করে তা তো আর নতুন নয় । আজ আমিও তাদের শিকারে পরিণত হয়েছি। কিন্তু আল্লাহু যদি সহায় থাকে তাহলে তারা আমার সম্মানহানি করা ছাড়া আর কোন ক্ষতি করতে পারবেনা । এ যাবৎকালে ঘটনা গুলো যাই হোক আমি তদন্ত সাপেক্ষে বিচার চাই ।
গাইবান্ধায় আমাদের সাংবাদিকতা ও সাংবাদিক আতিক বাবু এ প্রতিবেদনের আজ ১ ম পর্ব আগামী পর্বে থাকবে সাংবাদিক আতিক বাবু র বিরুদ্ধে তৃতীয় মামলা দায়ের কারী নারী ও প্রথম মামলা দায়েরকারী সাংবাদিকের মন্তব্য নিয়ে ২ য় পর্ব দেখতে চোখ রাখুন প্রতিনিয়ত এখানে। উল্লেখ্য, সাংবাদিক আতিকুর রহমান আতিক বাবু বাংলাভিশন চ্যানেলের গাইবান্ধা জেলা প্রতিনিধি,জেলা মোটর মালিক সমিতি পর পর নির্বাচিত নেতা ও গাইবান্ধা জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ডের জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক হিসাবে দায়িত্ব পালন করছেন। তার বিরুদ্ধে টানা তিনটি মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার ও ষরযন্ত্রকারীদের শাস্তির দাবী নিয়ে যেকোন মুহুর্তে ফুসে উঠবে জেলার সচেতন সাংবাদিক সমাজের নেতৃবৃন্দ।