গাইবান্ধায় আমাদের সাংবাদিকতা ও সাংবাদিক আতিক বাবু (পর্ব-২)

S M Ashraful Azom
গাইবান্ধায় আমাদের সাংবাদিকতা ও সাংবাদিক আতিক বাবু (পর্ব-২)

আশরাফুল ইসলাম গাইবান্ধা থেকে: মামলার ১ নং স্বাক্ষী গাইবান্ধা জেলার সুন্দরগঞ্জের সাংবাদিক আবু বক্কর সিদ্দিক তিনি জানেন না কি বিষয়ে মামলা বা জিডি হয়েছে বাংলাভিশন গাইবান্ধা প্রতিনিধি সাংবাদিক আতিকুর রহমান আতিক বাবুর বিরুদ্ধে। শুধু জানেন কোন এক বিষয়ে আতিক বাবু সাথে সুন্দরগঞ্জে এক নারী সাংবাদিক শরীফা বেগমের লেনদেন রয়েছে তবে কত বা কি বিষয়ে সেটা তার জানা নেই । বিষয়টি নিয়ে কখনো আতিক বাবুর সাথে তার মুখোমুখি বসাও হয়নি । কিন্তু ঘটনাটির গত ১৯ সালে জিডি হয়। আর এখন যে বিষয়টি নিয়ে মামলা হয়েছে এরকম বিষয়ে তো বিগত সময়ে জিডি হওয়ার কথাও নয় বলে মনে করেন এই স্বাক্ষী। তিনি এই মামলায় আদালতে কখনো স্বাক্ষী দিতে যাবেন না বলে সাফ জানিয়ে দেন।

আরও পড়ুন: গাইবান্ধায় আমাদের সাংবাদিকতা ও সাংবাদিক আতিক বাবু (পর্ব-১)

মামলার বাদী অপসাংবাদিক চক্রের অন্যতম নারী সদস্য একাধিক স্থানে পরিচয়দানকারী কথিত সাংবাদিক শরীফা বেগমের সাথে কথা হলে তিনি প্রতিবেদকের পরিচয় জেনে ব্যস্ত আছেন বলে ফোন কেটে দেন । এরপর গত দু দিন ধরে একাধিকবার ফোন দিলেও তিনি আর ফোন ধরেননি। এই শরীফা বেগমের বিরুদ্ধে নানা ধরণের রির্পোটের ভিক্তিতে গত সংসদ নির্বাচনে সাংবাদিক পরিচয়ে পর্যবেক্ষণ কার্ড দেওয়া হয়নি গাইবান্ধা সদর থানার ওসি খান মোঃ শাহরিয়ারের হস্তক্ষেপে। সেই শরীফা বেগম নিজেই এবার সাংবাদিক পরিচয় গোপন করে গাইবান্ধা সদর থানায় মামলা দায়ের করেছেন সদর থানার ওসি খান মোঃ শাহরিয়ারের কাছে। এজাহারের কোথাও তিনি নিজেকে সাংবাদিক হিসাবে দাবী করেনি। গত ১৫ সালের ২ জানুয়ারী ঘটনাকে কেন্দ্র করে এই এজাহারের কোন প্রকার তদন্ত ছাড়াই যে মামলা হয়েছে তার নাম্বার ৭০ এই মামলার আসামী হয়েছেন একজন মুক্তিযোদ্ধার সন্তান গাইবান্ধা পৌর আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বাংলাভিশন চ্যানেলের গাইবান্ধা জেলা প্রতিনিধি ও জেলার জনপ্রিয় সাপ্তাহিক পত্রিকা গণউত্তরণের সম্পাদক সাংবাদিক আতিকুর রহমান আতিক বাবু। এছাড়াও এর আগে একই চক্রান্তের সূত্র ধরে আরো দুটি মিথ্যা মামলা করা হয় তার বিরুদ্ধে প্রথম মামলাটি যার নাম্বার গাইবান্ধা সদর থানা ৫৫ ও দ্বিতীয় মামলাটি গত ২০১৬ সালের ৩০ ডিসেম্বরের দিন একটি ঘটনার অনুমানের উপরে দায়ের কৃত যার নাম্বার ৬১। যে ঘটনাটি ছিলো মিমাংসিত বিষয়। যাই হোক তার বিরুদ্ধে বর্তমান সময়ে যে অভিযোগ গুলো উঠেছে বা যারা করেছে তারা উভয়ে সম অপরাধী। কারণ দেশের প্রচলিত আইনে ঘুষ গ্রহন করা যেমন অপরাধ তেমনি ঘুষ দেওয়া সেটাও সমান অপরাধ।

প্রথম মামলার সূত্র পাত হওয়ার পর হতে যে ভাবে একের পর এক মামলা হলো সাংবাদিক আতিক বাবুর বিরুদ্ধে তা এই মামলা কারী চক্রের ষরযন্ত্রের অংশ হিসাবে আজ অবদি চলমান রয়েছে। ঘটনাটি মূল সূত্রপাত ছিলো দীর্ঘদিন হলো সাংবাদিক ও পুলিশ মিলে জুয়া ও মাদকের আড্ডাস্থলের খবর নিশ্চিত জেনে অভিযান পরিচালনা করায়। এ অভিযানে দুই সাংবাদিক ও এক পুলিশের এ এসআইসহ কয়েকজন গ্রেফতার হয়। রবিন সেন যিনি দৈনিক স্বাধীন সংবাদ নাম একটি পত্রিকার রংপুর বিভাগীয় প্রতিনিধি ও জাভেদ হোসেন যিনি ঢাকা টাইমস ও চ্যানেল এস  গাইবান্ধা জেলা প্রতিনিধি, পুলিশের এ এসআই মনিরুজ্জামান সহ কয়েক জন গ্রেফতার হয়। জুয়া সরমঞ্জাম ও ইয়াবা সেবনের সরঞ্জামের অংশ সহ আটক হওয়ায় বিষয়টি নিয়ে রাতে ও পরের দিনে দেনদরবার করে অভিযানে থাকা সাংবাদিকের সাথে সমন্বয় করে মাদক সেবন না দেখিয়ে তাদের নামে নিয়মিত জুয়া মামলা করা হয় গাইবান্ধা সদর থানায় । এ মামলায় গ্রেফতারকৃতদের আদালতে প্রেরণ করা হয়। এতে জামিনে বেরিয়ে এসে গ্রেফতারকৃতরা । এঘটনায় গ্রেফতারকৃত পুলিশের এসআই মনিরুজ্জামান কে সাসপেন্ড করা হয়েছে বলে জানা যায়।

এঘটানায় গ্রেফতারকৃত দুই সাংবাদিক ও পুলিশের এ এসআ মনিরুজ্জামান সহ একই ঘটনার গ্রেফতারকৃত অন্যারা মিলে ও সাংবাদিকতা পেশায় মনমালিন্য কিছু  সহকর্মীর চক্রান্তে নিয়মিত অপরাধী করে তোলা হয়েছে সাংবাদিক  আতিকুর রহমান আতিক বাবু কে। গ্রেফতার নিয়মিত মামলা সহযোগী জুয়া পাটনারে সাসপেন্ড মানতে পারেনি সাংবাদিক রবিন সেন। তিনি বিশাল এক চক্রান্তের অংশ হিসাবে সফল সাংবাদিক ও সফল সংগঠক জনপ্রিয় খেলোয়ার সাংবাদিক আতিক বাবুকে মাত্র ১৮ হাজার ৬ শত টাকা চুরির একটি মিথ্যা মামলা দেয়। যে মামলার ঘটনা স্থল একস্থানে আর মামলা স্বাক্ষীরা অন্য স্থানের বা অন্য গ্রামের। এই মামলায় জব্দ দেখানো হয় ১২ হাজার ২ শত টাকা আর একই ঘটনায় আরো ৪২ হাজার ২ শত টাকা আত্মসাৎ করার পৃথক একটি অভিযোগ দেওয়া হয়েছে গাইবান্ধা সদর থানা ওসি তদন্ত সিরাজুল ইসলাম ও ওসি খান শাহরিয়ারের বিরুদ্ধে। এ অভিযোগ গুলো থানায় সহ বাংলাদেশ পুলিশের আই জিপি সহ পুলিশের বিভিন্ন দপ্তরে কর্মকর্তাদের বরাবরে দেওয়া হয়েছে।

সাংবাদিক আতিক বাবুর বিরুদ্ধে প্রথম মামলাকারী বাদি সাংবাদিক রবিন সেনের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, আমি মামলা করেছি মামলার তদন্ত সাপেক্ষে বিচার আমলে যা হবার তাই হবে। সাংবাদিক আতিক বাবুর বিরুদ্ধে একাধিক মামলা দায়ের হয়েছে । অনেকের নিকট হতে সে চাকুরী দেওয়ায় কথা বলে টাকা নিয়েছে সেগুলোর বিষয়ে থানায় অভিযোগ হয়েছে এসে দেখ। আপনার একই ঘটনায় অভিযোগ করেছে এ এসআই মনিরুজ্জামান সে বিষয়ে জানেন কি এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, সঠিক একই ঘটনায় এ এসআই মনিরুজ্জামান সদর থানার ২ পুলিশ কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছে। এই আতিক বাবু যে কাজ করছে আমার তুমি তা জানো না এ কারণে আমি ও গ মেরে দিয়েছি। সে বলে তুমি বলো পুলিশের সাথে নিয়ে গিয়ে সাংবাদিক আতিক বাবু যে কাজ করেছে সেটা কি করতে পারে সাংবাদিক পুলিশ কি একসাথে কোথাও কোন অভিযান করতে পারে। মাদকের কথা বলে আতিক বাবু পুলিশ নিয়ে যায় আমাদের সম্মান নিয়ে খেলা করে আমাদের গ্রেফতার করে নিয়মিত মামলা করে।  এমন উত্তরের পর সাংবাদিক রবিন সেন কে যখন বলা হয় যে আপনাদের জুয়ার আসরে অভিযান করাটাই কি আতিক বাবু কাল হলো সেই অভিযানের পর  আপনাদের নামে মামলা হওয়ার পর হতেই বা আপনি মামলা দায়েরর পর হতেই কেন আতিক বাবু বিরুদ্ধে এককের পর এক মামলা বা অভিযোগ হলো এটা কি শুরু হতে সেই চক্রান্তের অংশ। এর উত্তরে তিনি বলেন না আগে হতেই আতিক বাবুর বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ হয়েছে। গাইবান্ধা এসে দেখে যাও আতিক বাবু কত মানুষের টাকা নিয়েছে। তুমি খালি এসব নিয়ে নিউজ করো কিন্তু আতিক বাবু যাদের টাকা নিয়েছে তাদের নিয়ে নিউজ করো না কেন । তিনি আরো বলেন তুমি কি করবে করো তো সাংবাদিক গাইবান্ধায় আরো আছে। তিনি আরো বলেন এবিষয়ে তুমি আর কোন কিছু জানার জন্য আমাদের কাছে ফোন দিবে না। তখন আমাদের বলতেই আরো কয়েকজনের নাম বলে যাদের কাছে ফোন দেওয়ার কোন প্রয়োজন এ প্রতিবেদনে নেই। এরপর সে বলেন , যদি জানার দরকার হয় তবে গাইবান্ধায় এসে নেতাদের বক্তব্য নেও সে কেমন কত লোকের এ যাবৎকালে ক্ষয়ক্ষতি করছে সব জানতে পারবে। এমন উত্তরে  প্রতিবেদক তাকে বলেন,যদি সকলেই সাংবাদিক আতিক বাবু শত্রæ হয় তাহলে তো সাংবাদিক আতিক বাবুই জেলায় সফল সাংবাদিক যার কোন বন্ধু নেই।

অপরদিকে সাংবাদিক আতিক বাবুর বিরুদ্ধে এ  তিনটি মামলা হওয়ার পর থানায় কোন প্রকার অভিযোগ বা সংগঠনেরর কেন্দ্রীয় কমিটির নিকট কোন প্রকার অভিযোগ না করেই পূর্ব চক্রান্তের অংশ হিসাবে আতিক বাবু এই বিপদময় সময়ে সুযোগ বুঝে সংবাদ সম্মেলন করেন সুন্দরগঞ্জ উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সনÍান কমান্ডের সাংগঠনিক সম্পাদক হারুনার রশিদ যিনি সংগঠনের সভাপতি হতে চেয়ে হতে পারেনি সাংবাদিক আতিক বাবুর কারণে সেই কারণে সুযোগ বুঝে আতিক বাবু কে ঘায়েল করতে ষরযন্ত্রকারী চক্রের ইন্ধনে সংবাদ সম্মেলনের নাটক সাজিয়ে মঞ্চস্থ করে কোন প্রকার অনুমতি না নিয়ে জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কমান্ড কমপ্লেক্স ভবনে। যে সংবাদ সম্মেলন শুধু মাত্র চক্রান্ত কারী কথিত গণমাধ্যম কর্মীরাই উপস্থিত ছিলেন । তাদের বাহিরে আর কোন গণমাধ্যমকর্মী সেখানে ছিলেন না। এমনকি যে সংগঠনের ব্যানারে সংবাদ সম্মেলন করা হয় সেই সংগঠনের কোন নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন না । এই সংগঠনের জেলা কমিটির নাম ব্যবহার করে সংবাদ সম্মেলনকারী ব্যক্তি সংবাদ সম্মেলন করার এখতিয়ার রাখে না । তবু সংবাদ সম্মেলন হয়েছে যার নিউজ হয়েছে চাকুরী দেওয়ার কথা বলে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নেওয়া সাংবাদিক আতিক বাবুর বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন অথচ সংবাদ সম্মেলন কারী দাবী করেন ১ লাখ ৩০ হাজার টাকার । নিউজের সেই লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নেওয়া বুলিই প্রমান করে চক্রান্তকারী দের দৌড়াত্ব কোথায়। তারা নিজেদের অপরাধ ঢাকতে প্রতিবাদি একজন সংবাদিকের গায়ে কালিমা লেপন করতে উঠে পড়ে লেগেছেন।

এদিকে সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক সাংবাদিক আতিক বাবুর বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলনের বিষয়ে জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ডের সভাপতি এ্যাড.ইস্তেকুর রহমান জানান, সংবাদ সম্মেলনের বিষয়ে আগে কোন লিখিত অভিযোগ না দিলেও বিষয়টি মৌখিক ভাবে আমাকে জানায় ভুক্তভোগী ।  সংবাদ সম্মেলন কারী তিনি তার ব্যক্তিগত বিষয় নিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছেন সেটা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ডের কোন বিষয় নয়। আর মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কমান্ড কমপ্লেক্স ভবন সহ মুক্তিযোদ্ধা সংসদের দায় দায়িত্ব এখন জেলা প্রশাসকের তিনি সংবাদ সম্মেলনের অনুমতি দিয়েছেন কি না সেটা তিনি বলতে পারবেন।

এবিষয়ে জেলা প্রশাসন আব্দুল মতিন বলেন, সংবাদ সম্মেলনের বিষয়টি আমার জানা নেই । এটি এই মাত্র আপনার নিকট জানতে পারলাম । সব বিষয় গুলো আর আমাদের নজরে আসবে না যতক্ষণ না কেউ জানাবে।এ সংবাদ সম্মেলনের কোন অনুমতি কেউ চায়নি আর দেওয়াও হয়নি কোন অনুমতি।

উপরোক্ত ঘটনার পরিক্রমায় বুঝা যায়, এটা বিশাল এক চক্রান্ত সেটা যেমন থানায় মামলা দায়ের ক্ষেত্রে হয়েছে তেমনি মিডিয়ায় চলমান করোনা পরিস্থিতির মধ্যেও জেলায় বর্তমানে সাংবাদিক আতিক বাবুর নামে একপেশে ভাবে এ চক্রটির দায়িত্ব  প্রাপ্ত সংবাদ মাধ্যম মিডিয়া ও পত্র পত্রিকায় সহ অনলাইন গুলোতে ব্যাপক ভাবে প্রচার প্রচারণা করা হচ্ছে। যেখানে আতিক বাবু মহা অপরাধী এসব সংবাদের ক্ষেত্রে তথ্যের সাগর চুরি যেমন হচ্ছে ও তথ্য আইন কে বৃদ্ধা আঙ্গুলি দেখানো হচ্ছে একই ভাবে। সংবাদের অভিযুক্ত ব্যক্তি বা তার পরিবারের কারো জন্য যেখানে আত্মপক্ষ সমর্থনের কোন সুযোগ তারা রাখেনি বা দেয়নি।

এদিকে সাংবাদিক আতিক বাবুর বিরুদ্ধে মামলার পরে মামলা হওয়ার বিষয়ে গাইবান্ধা সদর থানার ওসি খান মোঃ শাহরিয়ার জানান,তদন্ত সাপেক্ষে মামলা গুলো করা হয়েছে চেক ও  ষ্ট্যাম্প সহ নানা সাক্ষ্য প্রমান রয়েছে তার বিরুদ্ধে। সাক্ষ্য প্রমানের ভিক্তিতে তার বিরুদ্ধে মামলা নেওয়া হয়েছে। এরপর গত ২০ এপ্রিল রাতে জুয়ার আসরের মাদক সেবন হচ্ছিলো সে বিষয়টি নিয়মিত মামলায় সংযুক্ত রয়েছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন সেখানে কোন মাদক সেবনের সরঞ্জাম পাওয়া যায়নি । আপনি যে সাংবাদিকের পক্ষ নিয়ে কথা বলছেন সেটা সে সময় সেই সাংবাদিক আতিক বাবুও বলেনি । পরিশেষে তিনি এ প্রতিবেদক কে বলেন, সেদিন আপনিও কি সেখানে ছিলেন নাকি তাছাড়া আপনি কিভাবে জানলেন এতো কিছু। এরপর প্রতিবেদক এমন প্রশ্নের উত্তরে বলেন সেদিনের সেই ঘটনার ভিডিও আমাদের হাতে রয়েছে যেখানে দেখা যায় ইয়াবা সেবনের সরঞ্জাম বালিশের নিচ হতে বাহির করছে অভিযানিক দলের এক সদস্য। এরপর তিনি বিষয়টি  সঠিক নয় বলে জানান । তৃতীয় মামলার বাদি শরীফা বেগম কে চিনেন কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন সেও একজন সাংবাদিক বটে । আর বলেন আতিক বাবু গত সংসদ নির্বাচনে শরীফা বেগমের বিষয়ে তথ্য দিয়েছিলেন বিধায় তাকে সে সময় পর্যবেক্ষক  কার্ড নিতে দেওয়া হয়নি।

সাংবাদিক আতিক বাবু  প্রথম মামলা হওয়ার পরে গত ২৪ এপ্রিল বাংলাভিশন চ্যানেলে লাইভ সংবাদ পরিবেশনে অংশ নেন এর একদিন পর তিনি তার ব্যবহৃত ফোন নাম্বারটি বন্ধ করে গা ঢাকা দেন। তবে তিনি সার্বক্ষনিক তার ফেসবুক আইডিতে একটিভ থাকেন। এই ফেসবুক আইডিতে ম্যান্সেজারে কথা বলে তিনি বলেন, ঘটনা গুলো আমার পতিপক্ষ সহকর্মীদের সাজানো তারা নিজেদের অপরাধ ঢাকতে আমার দূঃসময়ে সুযোগ নিয়েছে তারা একটি চক্রের সাথে মিশে আমার মান সম্মান নিয়ে টানা টানি করছে। শরীফা বেগম কে সংসদ নির্বাচনে পর্যবেক্ষক কার্ড নিতে না দেওয়ার আক্রোশে সে আজ আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিলো। তিনি আরো বলেন, অন্ধ হাফেজ গোলজার রহমান তিনি ভালো মানুষ তাকে ভুল ভাল বুঝিয়ে আমার বিরুদ্ধে লেগে দেওয়া হয়েছে। হাফেজ সাহেবের কাছে যে চেকটি দেখানো হয়েছে  সেটি তো আমার চেক নয় কিংবা আমি দেই নাই,  চেকটি দেখতে গিয়ে দেখলাম ঐ চেকটি একটি স্যালারি চেক ( হয়ত কোন চাকরিজিবির চেক) যা আমাকে ফাসানোর জন্য ব্যবহার করা হয়েছে।  এ ছাড়াও হাফেজ সাহেবের কোন এক আতœীয় যিনি সেনাবাহীনিতে চাকুরি করে নাম মালেক তাহার মাধ্যমে আলোচনা করে ১ লক্ষ টাকা নগদ গ্রহন করে এবং বাকী টাকা প্রতি মাসে ৩০ / হাজার করে নেয়ার আলোচনা হয়। সেই প্রেক্ষিতে তাহার মেয়ে লিলি বেগমের ফুলছড়ি শাখার অগ্রনী ব্যাংকের একাউন্ট যাহার নং-০২০০০০৪৯৮৯৯৮১ এ  প্রতিমাসে টাকা দেয়া হচ্ছিল, তবে করোনা ভাইরাসের কিছদিন আগে থেকে দেয়া বন্ধ ছিল এবং  বলা হয়েছিল দেশের পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে আবার দেয়া হবে। এতকিছুর পরও মিমাংসিত বিষয় নিয়ে কেন এত নাটক সেটাই তো বুঝলাম না। পরিশেষে তিনি বলেন, যাই হোক আজ আমার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ গুলো হয়েছে তার সুষ্ঠু তদন্ত দাবী করছি। বর্তমান সময়ে আমার প্রান প্রিয় সংগঠন মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ডের কয়েকজন যারা আমি সংগঠনের দায়িত্ব পাওয়ার পর হতে আমার বিরুদ্ধে নানা সময়ে বিরোধীতা করে ছিলো আজ তারা সুযোগ পেয়ে মিথ্যাচার করছে। বিপতে সুযোগ নিয়েছে।

সাংবাদিক আতিক বাবু বিরুদ্ধে কেন নামধারী কিছু সহকর্মীদের এতো শত্রæতা আগামী পর্বে জানানো হবে সেই চিত্র এ পর্বে এতোটুকু থাক আগামী পর্বের জন্য অপেক্ষায় থাকুন পাঠক আমাদের সঙ্গে থাকুন। জানুন ,গাইবান্ধায় আমাদের সাংবাদিকতা ও সাংবাদিক আতিক বাবু।


ভিডিও নিউজ


-সেবা হট নিউজ: সত্য প্রকাশে আপোষহীন


ট্যাগস

#buttons=(Ok, Go it!) #days=(20)

Our website uses cookies to enhance your experience. Know about Cookies
Ok, Go it!
To Top