সেবা ডেস্ক: ঈদের পর টাঙ্গাইলের সবজির বাজারে সরবরাহ কম থাকায় দাম বাড়ে। এমনটাই হয়ে আসছিল এতো বছর। কিন্তু এবার তার ব্যতিক্রম। ঈদের পর বাজারে সবজির দাম বাড়েনি। দু-একটি ছাড়া সব ধরনের সবজি বিক্রি হচ্ছে ৩০ থেকে ৪০ টাকা কেজিতে। আলুর দাম কেজিতে পাঁচ টাকা বাড়লেও ৩০ টাকার মধ্যেই রয়েছে। তবে ডিমের দাম বেড়েছে ডজনে ২০ থেকে ২৫ টাকা। অন্যদিকে কেজিতে ৩০ থেকে ৪০ টাকা কমেছে ব্রয়লার মুরগির দাম। শহরের পার্কবাজার, ছয় আনী বাজার, বটতলা বাজারসহ বিভিন্ন বাজার ঘুরে এমন চিত্র পাওয়া গেছে।
ব্যবসায়ীরা বলছেন, করোনা ভাইরাসের কারণে এবার কারো মধ্যে ঈদের আমেজ নেই। যে কারণে টাঙ্গাইলের বেশির ভাগ মানুষ ঈদের দিন সাধারণ দিনের মতো কাটিয়েছে। শনিবার (৩০ মে) টাঙ্গাইলের বিভিন্ন বাজারে শসার কেজি ২০ থেকে ২৫ টাকা কমে বিক্রি হয়েছে ২০ থেকে ২৫ টাকা কেজি। কেজিতে পাঁচ টাকা বেড়ে আলু ২৮ থেকে ৩০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। কাঁচা মরিচ বিক্রি হয়েছে ৩৫ থেকে ৪০ টাকা কেজি। রোজা শুরুর প্রথম দিন থেকে ঈদের আগের দিন পর্যন্ত ৬০ থেকে ৮০ টাকা কেজি বিক্রি হয় বেগুন। দাম কমে ৩০ থেকে ৪০ টাকা কেজিতে বিক্রি হতে দেখা গেছে। টমেটো ৩০ থেকে ৪০ টাকা, চিচিংগা ৪০ টাকা, পটোল ৩০ থেকে ৪০ টাকা, পেঁপে ৩০ থেকে ৩৫ টাকা, করল্লা ৩৫ থেকে ৪০ টাকা, বরবটি ৪০ টাকা ও ঝিঙা ৪০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। পার্ক বাজারের সবজি বিক্রেতা আলিম বলেন, এবার করোনার পর থেকে সবজির বাজার মন্দা। রোজায় বাড়তি চাহিদা তৈরি হওয়ায় কয়েকটির দাম বেড়েছিল। সেগুলোর দামও এখন কমে গেছে। তবে সামনে বর্ষা মৌসুমে কিছুটা বাড়তে পারে।
বাজারে রসুনের দাম কিছুটা বাড়লেও কমেছে পেঁয়াজের দাম। দেশি পেঁয়াজ প্রতি কেজি ৩৫ থেকে ৪০ টাকা, আমদানি করা পেঁয়াজ ২৫ থেকে ৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ঈদের আগে পাইকারিতে দেশি পেঁয়াজ ৪৫ টাকা ও আমদানি করা পেঁয়াজ ৩৫ টাকায় বিক্রি হয়েছিল। খুচরায় দেশি পেঁয়াজের কেজি ৪০ থেকে ৪৫ টাকা। আর ভারতীয় পেঁয়াজের দাম ৪০ টাকা। এ দাম ঈদের আগের তুলনায় পাঁচ টাকা কম। ঈদের আগে টাঙ্গাইলের বাজারে ব্রয়লার মুরগি প্রতি কেজি ১৯০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। এখন তা কমে ১৫০ টাকা হয়েছে। এ ছাড়া কক মুরগি প্রতি কেজি ২৫০, দেশি মুরগি ৫০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। বেড়েছে ডিমের দাম। ঈদের আগে ফার্মের ডিমের ডজন ছিল ৮০ টাকার আশপাশে। এখন তা বেড়ে ৯৫ থেকে ১০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। বিক্রেতারা বলছেন, রোজা শেষে ডিমের চাহিদা একটু বেড়েছে।
পার্ক বাজারের মাছ বাজার ঘুরে দেখা যায়, আগের মতোই রুই মাছের কেজি বিক্রি হচ্ছে ২২০ থেকে ৫০০ টাকা। নলা (ছোট রুই) মাছ বিক্রি হচ্ছে ১৬০ থেকে ২০০ টাকা কেজি। তেলাপিয়া ১৩০ থেকে ১৭০ টাকা, পাঙ্গাশ ১৪০ থেকে ১৮০ টাকা, শিং ৩০০ থেকে ৪৫০ টাকা, শোল মাছ ৪০০ থেকে ৭৫০ টাকা, পাবদা ৪৫০ থেকে ৬০০ টাকা, বোয়াল ৫০০ থেকে ৮০০ টাকা, টেংরা ৪৫০ থেকে ৬০০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে।
খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।