
স্টাফ রিপোর্টার: কাজিপুরের নিশ্চিন্তপুর চরাঞ্চলে লোকালয়ে গড়ে তোলা এক মুরগির খামারের দুর্গন্ধে ঘরে থাকতে পারছেন আশপাশের কুড়িটি পরিবার।
স্থানীয় ইউপি সদস্য ও ইউপি চেয়ারম্যানকে ওই খামার বন্ধের আবেদন জানিয়েও প্রতিকার পাননি তারা। বাধ্য হয়ে কাজিপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) বরাবর ওই খামার বন্ধে লিখিত আবেদন করেছেন।
বৃহস্পতিবার দুপুরে সরেজমিন গিয়ে ও আবেদনসূত্রে জানা গেছে, উপজেলার নিশ্চিন্তপুর ইউনিয়নের জজিরা বাজার সংলগ্ন পশ্চিমপাড়ায় একটি মুরগির খামার গড়ে তোলেন মনির ও লিটন মিয়া। খামারের ঘর উঠানোর সময়ই প্রতিবেশিরা নিষেধ করেন। কিন্তু তারা শোনেননি। সাত শতক জমির উপর নব্বই হাত ওই ঘরে মুরগি উঠানো হলে ধীরে ধীরে দুর্গন্ধ ছড়াতে থাকে। ওই এলাকার গৃহবধু লাভলী বেগম জানান, ‘খামারের পচাঁ গন্ধে এরই মধ্যে তাদের বাড়ির বাচ্চাদের পেটের পীড়া দেখা দিয়েছে।’ সত্তরোর্ধ শহিদুল মিয়া জানান, ‘মুরগির পায়খানার গন্ধে ঘরে থাকতে না পেরে অন্যের বাড়িতে গিয়ে ইফতার করি। বলতে গেলে তারা নানা কথা শোনায়।’
দরখাস্তকারী মোমিন মিয়া জানান, ‘ পোলট্রির দুর্গন্ধে পেট মোচড় দিয়ে বমি চলে আসে। দুদিন আগে প্রতিবেশির এক শিশুর ডায়েরিয়া হলে তাকে হাসপাতালে নিতে হয়েছে। এমন অনেক অভিযোগ করেন খামারের আশপাশের বসবাসকারি খলিল, ময়েজ, সালাম, হায়দার, মোহসিন, মোন্নাত ও হাফিজুর। সবাই খামারের কারণে কষ্টের কথা জানিয়ে তা বন্ধের আহবান জানান।
সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য শাহিদুল ইসলাম জানান, ‘ আমি নিজে আমাদের চেয়ারম্যান জালাল উদ্দিন সাহেবকে নিয়ে তাদের সাথে কথা বলেছি। কিন্তু তারা আমাদের কথা শোনেনি।’
নাটুয়ারপাড়া পুলিশ পাঁড়ির আইসি (ওসি) গৌতম চন্দ্র মালী জানান, ‘ আমি ঘটনা ঘটনাস্থলে গিয়েছিলাম। দুর্গন্ধ বন্ধে ওরা ব্যবস্থা নেবে মর্মে অঙ্গীকার করেছে। ’
খামার মালিক মনির মিয়া গন্ধের কথা স্বীকার করে জানান, ‘ গন্ধ যাতে না হয় সেজন্যে পাশেই একটি ডাম্পিং সিস্টেমের কাজ শুরু করেছি। এটি হলে আর গন্ধ থাকবে না।’
কাজিপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জাহিদ হাসান সিদ্দিকী অভিযোগ পাবার কথা স্বীকার করে জানান, ‘ঘটনাস্থলে নাটুয়ারপাড়া পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জকে পাঠিয়েছি। তিনিও দুর্গন্ধের কথা বলেছেন। সরেজমিন গিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবো। ’