
সেবা ডেস্ক: ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়ক সংলগ্ন মির্জাপুর উপজেলার ১০ নং গোড়াই ইউনিয়নের মমিননগর এলাকায় হাইকোটের্র আপিলের নির্দেশনা থাকা স্বত্ত্বেও রাতভর সরকারি খাস জমির পুকুর ভরাট করছিলেন টাঙ্গাইল জেলা বিএনপির সদস্য ও টাঙ্গাইল জেলা ইটভাটা মালিক সমিতির সভাপতি ফিরোজ হায়দার খান।
তবে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গত শনিবার (১৬ মে) ভ্রাম্যমাণ আদালত অভিযান চালিয়ে মাটি ভরাট করার কাজ বন্ধ করে দিয়েছেন প্রশাসন।
জানা গেছে, উপজেলার গোড়াই মমিননগর এলাকার ২৮৬১ দাগের ৮৪ একর জমি নিয়ে হাইকোর্টে বর্তমানে মামলা চলছে। যার বর্তমান বাজার মূল্য প্রায় ৪ শত কোটি টাকা। মামলা নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত উক্ত জায়গার শ্রেণি পরিবর্তন, কোনো অবৈধ স্থাপনা নির্মাণ ও জনসাধারণের অনুপ্রবেশের নিষেধাজ্ঞা থাকলেও সরকারের এ আদেশ অমান্য করে রাতারাতি সরকারি খাস পুকুর ভরাট করে আসছিলেন প্রভাবশালী ফিরোজ হায়দার খান।
এ নিয়ে স্থানীয় এলাকাবাসীদের মাঝে ব্যাপক ক্ষোভ দেখা দিয়েছে। যদিও অভিযান চালিয়ে মাটি ভরাটের কাজ বন্ধ করে দিয়েছে প্রশাসন। অভিযানের পর উক্ত জায়গায় টাঙিয়ে দেয়া হয়েছে সরকারি নোটিশ বোর্ড।
ফিরোজ হায়দার খান জানিয়েছেন, ২০০৭ সালে এক ভদ্র মহিলার কাছ থেকে ৮৪ একর জমি ক্রয় করি তার সকল কাগজপত্র আমার কাছে রয়েছে সেই মোতাবেক এই পুকুর সংস্কারের কাজ করতে ছিলাম। এই জায়গা নিয়ে একটি মামলা চলমান রয়েছেন।
এ ব্যাপারে আজ মঙ্গলবার জানতে চাইলে সহকারি কমিশনার (ভূমি) মো. জুবায়ের হোসেন জানান, ৮৪ একর খাস জমি, জায়গাটি নিয়ে সরকার বাদি হয়ে হাইকোর্টে আপিল করেছে। এই মামলা নিষ্পত্তি না হওয়ার পূর্বেই উক্তস্থানে মাটি ভরাটের কাজ চলছিল। অভিযান চালিয়ে পুকুরে মাটি ফেলার কাজ বন্ধ করে দেয়া হয়েছে।