ওসি এখন করোনা যোদ্ধা

S M Ashraful Azom
ওসি এখন করোনা ভাইরাস যোদ্ধা

রেজাউল করিম বকুল, শেরপুর প্রতিনিধি: এখন করোনা যোদ্ধা আইন শৃংখলা বাহিনীর কর্মকর্তা মোহাম্মদ রুহুল আমিন তালুকদার। তিনি শেরপুরের শ্রীবরদী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) হিসেবে কর্মরত। তাকে দেখলেই মনে হবে সহজ সরল আর সাদা সিদে। তবে চেহারা স্মার্ট। তিনি সাধারণ মানুষের সাথে মিশে যান সহজেই। শ্রীবরদী থানায় যোগদান করেই মাদক আর জুয়া মুক্ত করতে নেমেছেন অভিযানে। এতেও এসেছে নানা বিপত্তি। তবে থেমে থাকেননি। তার চলমান অভিযানে প্রায় নির্মূলের পথে এই মরণ নেশার ক্রেতা বিক্রেতা আর সেবনকারীর সংখ্যা। এদের অনেকে টানছেন জেলের ঘানি। চুনোপুটিরাও গুটিয়ে নিয়েছেন মাদকের ব্যবসা। বলা যায় জুয়া ও মাদক বিরোধি যুদ্ধে তিনি একজন সফল যোদ্ধা।

এছাড়াও চুরি, ডাকাতি আর আলোচিত ঘটনা গুলোতেও রয়েছে তার বিশেষ চমক। বেশিরভাগ ঘটনার পরই  ঘটনার সাথে জড়িত অভিযোগে অনেককে আটক করেছেন। ধর্ষন ও হত্যাসহ চাঞ্চল্যকর ঘটনায় তার পদক্ষেপ ছিল খুবই জোড়ালো। মানুষ যাতে নিরাপদে চলাচল করতে পারে এ জন্য রাতে সড়কের স্পর্শকাতর স্থান গুলোতে জোড়াদার করেছেন পুলিশের টহল। এমনকি জনগণকে আইন সম্পর্কে সচেতন করতে তিনি বিভিন্ন এলাকায় সভা সমাবেশ করেছেন। এতে প্রশংসিত হয়েছেন।

অল্প দিনেই পেশাগতভাবে ভালো কাজের স্বীকৃতি হিসেবে আইজিপি ব্যাজ পেয়েছেন তিনি। জেলা পুলিশ সূত্রে জানা যায়, অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ রুহুল আমিন তালুকদার শ্রীবরদী থানায় যোগদানের পর থেকে সার্বিক আইন-শৃংখলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কার্যকর ভূমিকা রেখেছেন। তাছাড়া পলাতক আসামী গ্রেফতার, ডাকাতি ও হত্যাসহ বেশ কিছু আলোচিত ঘটনার রহস্য উদঘাটন করে আলোচিত হয়েছেন তিনি। গ্রেফতারি পরোনা তামিলে বিশেষ অবদান রেখেছেন। এসব নানা কাজে বিশেষ অবদান রাখায় স্বীকৃতি হিসেবে তিনি আইজিপি ব্যাজ পেয়েছেন। তিনি পেশাগত দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি রেখেছেন থানা কম্পাউন্ড পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন। থানায় প্রবেশ করলেই চোখে পড়বে না আগের পুরনো চিত্র। দেখা যাবেনা ঝোপঁ জঙ্গল। সবই যেন পরিস্কার পরিচ্ছন্ন ও পরিপাটি শ্রীবরদী থানা কম্পাউন্ড। বর্তমানে তিনি নেমেছেন করোনা ভাইরাস মোকাবেলায়। জনগণকে রক্ষা করতে এই যুদ্ধেও রয়েছে তার দুর্বার সাহসী ভূমিকা। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চলছে এ অভিযান। অবিরাম কাজ করে যাচ্ছেন তিনি। তিনি সব সময় থাকেন ফ্রন্ট লাইনে। একদিকে আইন শৃংখলা পরিস্থিতিও রেখেছেন স্বাভাবিক। অন্যদিকে করোনার প্রভাবে ঘরে থাকা অসহায় লোকদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে দিচ্ছেন খাদ্য সহায়তা। অসহায় কৃষকের বোরো ধান কেটে ঘরে তুলে দিচ্ছেন। কখনো রাতের আধাঁরে ছুটে যাচ্ছেন অসহায় লোকসহ করোনা আক্রান্ত রোগীর বাড়িতে। খোঁজ খবর নিচ্ছেন লকডাউন এলাকার।

সচেতন করতে নিজেই হ্যান্ড মাইক নিয়ে বলে যাচ্ছেন, সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে চলাচল করা। বিশেষ কোনো প্রয়োজন ব্যাতিত ঘর খেবে বের না হওয়া। প্রত্যেকে মাস্ক ব্যবহার করা। বার বার সাবান পানি দিয়ে হাত ধোয়া। স্বাস্থ্য বিধি মেনে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করা। তার এই ছুটে চলা শহর থেকে গ্রামাঞ্চলেও। থানা সূত্রে জানা যায়, জেলা পুলিশ ও শ্রীবরদী থানা করোনায় ঘরে থাকা অসহায় কর্মহীন দুই সহা¯্রাধিক লোককে খাদ্য সামগ্রীসহ নানা সহায়তা দিয়েছেন। এছাড়াও অসহায় কৃষকদের ক্ষেতের ধান কেটে ঘরে তুলে দিয়ে এক মানবিকতার পরিচয় দিয়েছেন তিনি। জেলা পুলিশের নির্দেশ আর সহায়তায় তিনি এখন ফ্রন্ট লাইনে। করোনা যুদ্ধেও তিনি প্রশংসিত সর্ব মহলে। তিনি প্রমাণ করেছেন পুলিশ জনতা, জনতাই পুলিশ।   


ভিডিও নিউজ


-সেবা হট নিউজ: সত্য প্রকাশে আপোষহীন


ট্যাগস

#buttons=(Ok, Go it!) #days=(20)

Our website uses cookies to enhance your experience. Know about Cookies
Ok, Go it!
To Top