“উন্নত দেশের চেয়ে ভালো চিকিৎসা হচ্ছে বাংলাদেশে”

S M Ashraful Azom
0
“উন্নত দেশের চেয়ে ভালো চিকিৎসা হচ্ছে বাংলাদেশে”

সেবা ডেস্ক: সামগ্রিকভাবে অনেক উন্নত দেশের চেয়ে বাংলাদেশে প্রাণঘতি ভাইরাস করোনা চিকিৎসা ‘ভালো’ হচ্ছে বলে দাবি করেছেন সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (আইই ডিসিআর) প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা এ এস এম আলমগীর। তিনি বলেন, ‘সামগ্রিকভাবে আমাদের করোনা চিকিৎসা খারাপ হচ্ছে না। অনেক উন্নত দেশের চেয়েও আমি মনে করি, ভালো হচ্ছে। আমাদের এখন ৬৫টি ল্যাবে কাজ চলছে।’ গতকাল সন্ধ্যায় সঙ্গে ফোনে আলাপচারিতায় তিনি এ মন্তব্য করেন। এ এস এম আলমগীর বলেন, ‘প্রতি জেলায় ল্যাবের প্রয়োজন নেই। পিসিআরের মতো জিনিস ঘরে ঘরে করা যাবে না। এটা উচ্চপর্যায়ের একটি টেকনিক্যাল জিনিস। এতে অণুজীববিজ্ঞানী ও টেকনোলজিস্ট প্রয়োজন। সব জায়গায় তো এসব পাওয়া যাবে না। জেলা পর্যায়ে তো আমাদের মাইক্রোবায়োলজিস্টের পোস্টিং নেই। যেখানে মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল আছে বা ওই পর্যায়ের প্যাথলজি আছে, সেখানে ল্যাব স্থাপন করা হয়েছে। কারণ সেখানে মাইক্রোবায়োলজি বিভাগই আছে। কিন্তু সব জেলা হাসপাতালে তো এটা নেই। ল্যাব তো স্থাপন করলেই হবে না। এটাকে চালাতে হবে। এটাই বড় চ্যালেঞ্জ। তবে বেশ কিছু টেকনোলজিস্ট নিয়োগ প্রক্রিয়াধীন আছে।’ করোনা রোগীর জন্য দেশে আইসিইউ সংকট প্রসঙ্গে আইইডিসিআরের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা বলেন, ‘করোনা রোগীর জন্য আইসিইউ সংকট নেই। আমি শুনেছি, করোনা হাসপাতালেই এখন দেড় শ আইসিইউ খালি পড়ে আছে। কিন্তু করোনার রোগী নেই। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়েও (বিএসএমএমইউ) কিছু আইসিইউ আছে। সেখানে নতুন করে করোনা চিকিৎসা শুরু হয়েছে।’ ১৮ কোটি মানুষের দেশে করোনা টেস্টের সংখ্যা বাড়ানো উচিত কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমি মনে করি, করোনা টেস্ট আরও কমানো উচিত। এখন লক্ষণভিত্তিক টেস্ট করাতে হবে। টেস্টের সংখ্যা বাড়ানো হবে কেন? তবে চিকিৎসকরা চাইলে বাড়াতে পারেন। যারা শারীরিকভাবে ভালো, তাদের টেস্ট করার কোনো প্রয়োজন নেই। এখন একটা রীতি হয়েছে, পরিবারের একজন করোনায় আক্রান্ত হলে সবাই গড়ে টেস্ট করান। এ জন্য শতকরা ৮০ ভাগ টেস্ট নেগেটিভ আসে।’ এ এস এম আলমগীর বলেন, শুধু শুধু টেস্ট করা উচিত নয়। যার মধ্যে উপসর্গ থাকবে তিনিই টেস্ট করাবেন। এর আলাদা কোনো ওষুধও নেই। তাই লক্ষণভিত্তিক চিকিৎসা করতে হবে। এরপর যার প্রয়োজন তাকে হাসপাতালে যেতে হবে। উন্নত বিশ্বে তা-ই করা হয়। এখন যত সংখ্যক টেস্ট হচ্ছে এটাই স্ট্যান্ডার্ড। এটাই যদি নিয়মের ভিতরে করা যেত, শুধু উপসর্গে থাকার রোগীরাই করবেন। সবাই গড়ে করতে গেলে রোগ না থাকলেও অনেক সময় রোগীর সংস্পর্শে এসে ভালো মানুষেরও করোনা হতে পারে। এ জন্য কোনোভাবেই উপসর্গ না থাকলে করোনা টেস্ট নয়।

ভিডিও নিউজ


-সেবা হট নিউজ: সত্য প্রকাশে আপোষহীন


ট্যাগস

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ

খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন (0)

#buttons=(Ok, Go it!) #days=(20)

Our website uses cookies to enhance your experience. Know about Cookies
Ok, Go it!
To Top