এ মাসেই কাঙ্খিত রাজস্ব

S M Ashraful Azom
0
এ মাসেই কাঙ্খিত রাজস্ব

সেবা ডেস্ক: বৈশ্বিক মহামারি নভেল করোনা ভাইরাসের আঘাতে বিপর্যস্ত বিশ্ব অর্থনীতি। বাংলাদেশও এর বাইরে নয়। করোনায় মার্চ, এপ্রিল ও মে মাসে দেশের সবকিছু ছিল স্থবির। বন্ধ ছিলো শিল্পপ্রতিষ্ঠানের উৎপাদন চাকা, পণ্য চলাচলে স্থবিরতা, ছিলো না বিক্রিও। সীমিত পণ্য আমদানি হলেও চাহিদা না থাকায় গত ৩ মাসে খালাস হয়নি পণ্য। পাশাপাশি সরকারি প্রশাসন পরিচালনা এবং জনকল্যাণমুখী কর্মসূচি বাস্তবায়নের জন্য সরকারের অর্থ সংগৃহীত হয় কর ও কর-বহির্ভূত (ফি, মাসুল ইত্যাদি) খাতের রাজস্ব আদায় থেকে। গত প্রায় ৩ মাস এসব আদায় অনেকটা স্থবির থাকায় রাজস্ব আয়ে স্থবিরতা নেমে আসে। এই সময়ের ঘাটতির মধ্যে গেলেও গত মে মাসে দেশে রাজস্ব আহরণ হয়েছে ১১ হাজার ৬২০ দশমিক ৩৬ কোটি টাকা। মে মাসে লক্ষ্যমাত্রা ছিল ২৮ হাজার ৯৬৯ দশমিক ২৬ কোটি টাকা। তবে করোনার সরকারি ছুটি ২৬ মার্চ শুরু হয়ে গত ৩০ মে শেষ হয়। ছুটি শেষ হওয়ার পর আবার অর্থনীতির গতি ফিরতে শুরু করেছে। গত কয়েক মাস করোনার দুর্যোগপূর্ণ পরিস্থিতির কারণে দেশের অধিকাংশ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান যথাসময়ে রিটার্ন দাখিল করতে পারেনি। যথাসময়ে আয়কর রিটার্ন দাখিলে ব্যর্থতায় দন্ড মওকুফের পর এবার দুর্যোগ, মহামারি ও জরুরি অবস্থায় সময় বাড়িয়ে সুদ ও জরিমানা ছাড়া মাসিক ভ্যাট রিটার্ন দাখিলের সুযোগ দেয়া হয়েছে। চলতি অর্থবছরের শেষ মাস জুন চলছে। তাই এই মাসে সরকার বিভিন্নভাবে যে রাজস্ব আদায় করে তা বাড়বে বলে মত দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। তাদের মতে, মহামারীর মধ্যেও মে মাসে দেশে যে রাজস্ব আদায় হয়েছে তা আশা জাগাচ্ছে। এতে কয়েকমাসের ঘাটতি জুন মাসে একসঙ্গে সরকারের বিভিন্ন দফতর থেকে আসবে। চলতি জুন মাসে ব্যবসা-বাণিজ্য থেকে শুরু করে পণ্য আমদানি-খালাস সবকিছু অনেকটা স্বাভাবিক হয়ে গেছে। পাশাপাশি গত কয়েক মাসের কর-বহিভর্‚ত ফি ও মাসুল জুনে সবাই প্রদান করায় সরকারের রাজস্ব আয় যেমন বাড়বে, তেমনি দেশের অর্থনীতি আবার চাঙ্গা হবে।

সূত্রমতে, চলতি অর্থবছরের জন্য জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) রাজস্ব সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল ৩ লাখ ২৫ হাজার ৬০০ কোটি টাকা। পরে এই লক্ষ্যমাত্রা কমিয়ে ৩ লাখ ৫০০ কোটি টাকা করা হয়। করোনাজনিত দুর্যোগ দীর্ঘায়িত হওয়ায় এই সংশোধিত লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করা একপ্রকার অসম্ভব হবে। স্বাধীনতার পর থেকে প্রতিবছরই রাজস্ব আয় বাড়ছে। কিন্তু এবারই করোনার কারণে আগের অর্থবছরের তুলনায় রাজস্ব আয় কমতে যাচ্ছে। কমার পরিমাণ হতে পারে প্রায় ১৫ হাজার কোটি টাকা। এদিকে করোনা প্রতিক‚লতা সত্তে¡ও চলতি জুন মাসে দেশের অর্থনীতিতে আবার গতি ফিরবে বলে এনবিআর সূত্র জানিয়েছে।


কারণ অর্থবছরের শেষ মাস হওয়ায় রাজস্ব প্রাপ্তি হিসেবে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড নিয়ন্ত্রিত করসমূহ, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড বহির্ভূত করসমূহ এবং কর ব্যতীত খাত থেকে ৩ মাস পর অর্থ আসতে শুরু করেছে। এক্ষেত্রে দর্ঘিদিন পর এনবিআর নিয়ন্ত্রিত কর বাড়বে। যেমন- আয় ও মুনাফার ওপর কর; মূল্য সংযোজন কর; আমদানি শুল্ক; রফতানি শুল্ক; আবগারি শুল্ক, সম্পূরক শুল্ক ও অন্যান্য কর ও শুল্ক। একই সঙ্গে জুন মাসে এনবিআর বহির্ভ‚ত করও বাড়বে। এর মধ্যে রয়েছে- মাদক শুল্ক, যানবাহন কর, ভূমি রাজস্ব এবং স্ট্যাম্প বিক্রি (নন জুডিসিয়াল)। এছাড়া কর ব্যতীত প্রাপ্তিও অর্থবছরের শেষ মাসে বাড়বে। এরমধ্যে রয়েছে- লভ্যাংশ ও মুনাফা, সুদ, প্রশাসনিক ফি, জরিমানা, দন্ড ও বাজেয়াপ্তকরণ, সেবাবাবদ প্রাপ্তি, ভাড়া ও ইজারা, টোল ও লেভি, অবাণিজ্যিক বিক্রি, কর ব্যতীত অন্যান্য রাজস্ব ও প্রাপ্তি, রেলপথ, ডাক বিভাগ, মূলধন রাজস্ব ইত্যাদি।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিদ্যুৎ মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, লক্ষ্যমাত্রার ৪ ভাগের ৩ ভাগ টাকা ইতোমধ্যে আদায় হয়েছে। তবে বাকি এক ভাগ পুরোপুরি না এলেও অধিকাংশ এই মাসেই আদায় হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি। তিনি বলেন, আবাসিক থেকে প্রায় সব টাকা ইতোমধ্যে আদায় হয়েছে। তবে করোনার কারণে কিছু শিল্পকারখানার মালিক এখনো বিল দেয়নি। তবে অধিকাংশই এ মাসের মধ্যে দিয়ে দিবে।
ভ‚মি মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, কয়েক মাস করোনার প্রতিবন্ধকতায় ভ‚মি রাজস্ব সেভাবে আসেনি। তবে জুন মাসে এ প্রবাহ অনেক বেড়েছে। যদিও চলতি অর্থবছরের (২০১৯-২০) শেষ মাস জুনের প্রকৃত রাজস্ব আহরণের পরিমাণ জুলাইয়ের শেষার্ধে পাওয়া যাবে বলে সূত্র জানিয়েছে।

এদিকে আগামী মাস থেকেই শুরু হচ্ছে নতুন অর্থবছর। করোনার প্রতিবন্ধকতা দূর করার পাশাপাশি রাজস্ব আয় বাড়ানোর চ্যালেঞ্জ নিতে হচ্ছে এনবিআরকে। অবশ্য এনবিআর’র বর্তমান চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিম ইতোমধ্যে বলেছেন, রাজস্ব আহরণের যথেষ্ট সুযোগ রয়েছে। এ সুযোগ কাজে লাগাতে চান তিনি। এ জন্য কর্মপরিকল্পনা বা অ্যাকশন প্ল্যান অনুযায়ী কাজ করা হচ্ছে। এতে আদায় আরও কীভাবে বাড়ানো যায়, সম্ভাবনা কোথায় রয়েছে, সমস্যাগুলো কী- এসব চিহ্নিত করে সে অনুযায়ী পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে।


এনবিআর চেয়াম্যান বলেন, বর্তমান সরকার অনেক উদ্ভাবনীমূলক কাজ করেছে। এর ধারাবাহিকতায় এনবিআরও নতুন কিছু করার চেষ্টা করবে। রহমাতুল মুনিম বলেন, প্রক্রিয়া সহজ ও আদায় বাড়ানোর বিষয়ে বেশি জোর দেয়া হবে। তার মতে, শুধু পরিকল্পনা করে বসে থাকলেই হবে না। এটি বাস্তবায়ন করাই তার কাছে বেশি গুরুত্বপূর্ণ। তা না হলে কোনো কিছুই অর্জন করা সম্ভব নয় বলে উল্লেখ করেন তিনি।

এদিকে করোনাভাইরাসের প্রভাব কমলে আয়কর থেকে রাজস্ব আয় বাড়াতে প্রতিবছর একবারের পরিবর্তে তিনবার আয়কর মেলা আয়োজনের চিন্তা করছে সরকার। এ বিষয়ে ইতোমধ্যে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে (এনবিআর) প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে বলেছে অর্থ বিভাগ। উল্লেখ্য, আগামী ২০২০-২১ অর্থবছরে এনবিআরের মাধ্যমে ৩ লাখ ৩০ হাজার কোটি টাকা রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা দেয়া হয়েছে। রাজস্ব আদায়ের প্রবৃদ্ধি ধরা হয়েছে ৫০ শতাংশ।

এ লক্ষ্যমাত্রার বিষয়ে অর্থ বিভাগের একজন কর্মকর্তা বলেন, করোনা পরিস্থিতি সৃষ্টি না হলে আগামী বছর এনবিআরকে তিন লাখ ৭০ হাজার কোটি টাকা রাজস্ব আদায়ের টার্গেট দেয়া হতো। কিন্তু তা কমিয়ে তিন লাখ ৩০ হাজার কোটি টাকা করা হয়েছে। তিনি বলেন, জুনের শেষ দিক থেকে সব ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ‘ইএফডি’ (ইলেকট্রনিক ফিসক্যাল ডিভাইস) বসানো শুরু হবে। এতে করে ভ্যাট ফাঁকি দেয়া আর সম্ভব হবে না। একই সঙ্গে যারই টিআইএন রয়েছে তাকেই ট্যাক্স রিটার্ন দাখিল বাধ্যতামূলক করা হবে। তাহলেই আগামী অর্থবছর বাজেটে দেয়া রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন সম্ভব হবে।

এছাড়াও কর ফাঁকি রোধে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) সহযোগিতা নেয়ার পরিকল্পনা নিয়েছে সরকার। এ বিষয়ে খুব শিগগিরই আইএমএফের একটি টিমকে আমন্ত্রণ জানানো হবে বলে অর্থ বিভাগ সূত্রে জানা গেছে।
ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরামের (ইআরএফ) সাধারণ সম্পাদক এস এম রাশিদুল ইসলাম ইনকিলাবকে বলেন, গত কয়েক মাস দেশের অর্থনীতি ও রাজস্ব আয় স্থবির ছিল। তবে জুন মাসে সবকিছু স্বাভাবিক হওয়ায় কিছুটা হলেও অর্থের প্রবাহ বেড়েছে। এই সময়ে বিদ্যুৎ, গ্যাস, পানি, ঠিকাদারদের কাজের বিলসহ অন্যান্য খাতের বিল একসঙ্গে আসছে। যা অবশ্যই আমাদের অর্থনীতির জন্য ভালো দিক। একই সঙ্গে সামনে পরিকল্পনা অনুযায়ী আগালে দেশের অর্থনীতি আবার চাঙ্গা হবে বলে উল্লেখ করেন তিনি।

যদিও রাজস্ব আয়ের সার্বিক বিষয়ে এনবিআর’র সাবেক চেয়ারম্যান ড. মোহাম্মদ আবদুল মজিদ ইনকিলাবকে বলেন, অন্যান্য বছর মার্চ পর্যন্ত রাজস্ব আদায় ঢিলেঢালা থাকে। পরবর্তী তিন মাস ঠিকাদারদের বিভিন্ন কাজের বিল থেকে শুরু করে বিভিন্নভাবে রাজস্ব আদায় বাড়ে। তবে এ বছর সে অবস্থা বিদ্যমান নেই বলে উল্লেখ করেন তিনি।

ইনকিলাবের চট্টগ্রাম ব্যুরো থেকে রফিকুল ইসলাম সেলিম জানিয়েছেন, এবারও প্রায় এক লাখ কোটি টাকা রাজস্ব জোগান দিচ্ছে দেশের বাণিজ্যিক রাজধানী চট্টগ্রাম। যা দেশের মোট রাজস্বের এক-তৃতীয়াংশ। গতকাল পর্যন্ত চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসসহ জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) অধীন চারটি প্রতিষ্ঠান প্রায় ৭০ হাজার কোটি টাকা রাজস্ব আহরণ করেছে। প্রত্যক্ষ রাজস্ব খাতের বাইরেও পরোক্ষ খাতে রাজস্ব আহরণের পরিমাণ কয়েক হাজার কোটি টাকা। করোনাভাইরাসের কারণে প্রত্যক্ষ রাজস্ব আদায় কিছুটা কম হলেও পরোক্ষ কর ও রাজস্ব মিলিয়ে এবারও চট্টগ্রাম থেকে প্রায় এক লাখ কোটি টাকা রাজস্ব জোগান দেয়া হচ্ছে বলে জানান সংশ্লিষ্টরা।

চলতি ২০১৯-২০ অর্থবছরে চট্টগ্রামকে প্রায় এক লাখ কোটি টাকা রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্রা দেয় এনবিআর। যা দেশের মোট রাজস্ব লক্ষ্যমাত্রার এক-তৃতীয়াংশ। এনবিআর’র অধীন চারটি প্রতিষ্ঠান-চট্টগ্রাম কাস্টম হাউস, আয়কর বিভাগ, ভ্যাট কমিশনারেট এবং বন্ড কাস্টমস থেকে এই পরিমাণ রাজস্ব সরকারি কোষাগারে জমা হওয়ার কথা। এর বাইরে চট্টগ্রাম বন্দর, শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর, সড়ক ও নৌপরিবহন খাত, ভ‚মি খাতসহ সরকারি বিভিন্ন খাত থেকে আরো বিপুল রাজস্ব জমা হয় চট্টগ্রাম থেকে।

এনবিআর খাতে দেশের সিংহভাগ রাজস্ব জোগান দেয় দেশের প্রধান সমুদ্রবন্দর ভিত্তিক চট্টগ্রাম কাস্টম হাউস। এ পর্যন্ত কাস্টসম হাউসে রাজস্ব আদায় হয়েছে ৪০ হাজার ৩৫৫ কোটি টাকা। লক্ষ্যমাত্রা ছিলো ৫৭ হাজার ২০৭ কোটি টাকা। গত বছরের এসময়ে রাজস্ব আদায় হয় ৪২ হাজার ১৫৭ কোটি টাকা। এবার চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৫৮ হাজার ২৯৮ কোটি টাকা। শুরুতে লক্ষ্যমাত্রা ৬৩ হাজার ১৬৮ কোটি টাকা ধরা হলেও পরে তা কমিয়ে আনা হয়।

কাস্টমস হাউসের কর্মকর্তারা জানান, অর্থবছরের শুরু থেকে বিশ্ববাজারে বেশকিছু পণ্যের দাম কমে যায়। আবার জানুয়ারি থেকে শুরু হয় করোনার প্রভাব। এতে রাজস্ব আহরণ কমে গেছে। ফলে এবার লক্ষ্য অর্জন সম্ভব হচ্ছে না। বিগত ২০১৮-১৯ অর্থবছরে কাস্টম হাউসের রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্রা ছিল সাড়ে ৫৭ হাজার কোটি টাকা। আয় হয়েছিল ৪৭ হাজার কোটি টাকা।

চারটি কর অঞ্চলের অধীন চট্টগ্রাম আয়কর বিভাগ চলতি অর্থবছরে রাজস্ব লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে ১৯ হাজার ২১৪ কোটি টাকা। গত অর্থবছরে এর পরিমাণ ছিল ১৪ হাজার ৪৪০ কোটি টাকা। গত অর্থবছরে আদায় হয়েছিলো ১১ হাজার ১৭৭ কোটি টাকা। এবার পাঁচ হাজার কোটি টাকা বাড়তি লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। তবে আদায় গতবারের চেয়ে বেশি হবে বলে জানান কর্মকর্তারা। চলতি ২০১৯-২০ অর্থবছরে চট্টগ্রাম ভ্যাট বিভাগ ১১ হাজার ৩৫৮ কোটি টাকার রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে। এর বিপরীতে জুলাই-এপ্রিল পর্যন্ত ৯ হাজার কোটি টাকা আদায় হয়েছে। করোনার কারণে আদায় কমে সর্র্বোচ্চ সাড়ে ১০ হাজার কোটি টাকা হতে পারে বলে জানান ভ্যাট বিভাগের কর্মকর্তারা। এছাড়া এনবিআর’র অধীন চট্টগ্রাম বন্ড কমিশনারেটে প্রতিবছর ৬০০ কোটি টাকার মতো রাজস্ব লক্ষ্যমাত্রা থাকে। পরোক্ষ করের মধ্যে চট্টগ্রাম বন্দর বছরে প্রায় ৪০০ কোটি টাকার কর ও রাজস্ব পরিশোধ করে। অন্যান্য খাত মিলে পরোক্ষ রাজস্ব ও কর আদায়ের পরিমাণ আরো কয়েক হাজার কোটি টাকা।

ভিডিও নিউজ


-সেবা হট নিউজ: সত্য প্রকাশে আপোষহীন


Post a Comment

0Comments

খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।

Post a Comment (0)

#buttons=(Ok, Go it!) #days=(20)

Our website uses cookies to enhance your experience. Know about Cookies
Ok, Go it!
To Top