
গত ২৪ ঘন্টায় কাজিপুর পয়েন্টে যমুনার পানি ৩৬ সেন্টিমিটার পানি বৃদ্ধি পেয়ে বিপদসীমার ৯৬ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। বন্যার পানিতে তলিয়ে গেছে নিশ্চিন্তপুর উচ্চ বিদ্যালয়, মসজিদ, মন্দির, ২০ টি কমিউনিটি ক্লিনিক, আমিনা মনসুর মা ও শিশু কল্যাণ হাসপাতালসহ চরাঞ্চলের কাঁচা-পাকা রাস্তাসমূহ। গত ২৪ ঘন্টায় পানি বৃদ্ধির ফলে চরাঞ্চলের আর কোন রাস্তায়ই চলাচলের উপযোগি রইলো না।
এদিকে বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের তথ্যমতে যমুনা নদীর পানি বৃদ্ধি আগামী ৭২ ঘন্টা পর্যন্ত অব্যাহত থাকতে পারে । নতুন করে রাস্তাঘাট ডুবে নাটুয়ারপাড়া, চরগিরিশ, মনসুননগর, নিশ্চিন্তপুর, তেকানি, খাসরাজবাড়ি, শুভগাছা ইউনিয়নের স্থলপথে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। এছাড়া মাইজবাড়ি ইউনিয়নের সুতানারা, বদুয়ারপাড়া, শ্রীপুর, ভাঙ্গারছেও, মাইজবাড়ি, নতুন মাইজবাড়ি, হাটগাছা চরের তিন হাজার পরিবার পানিবন্দী হয়ে পড়েছে। এদিকে বন্যার্তদের মাঝে এখনও ত্রাণ সামগ্রি বিতরণ শুরু হয়নি। চরাঞ্চলের সবগুলো নলকূপ পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় খাবার পানির তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে। এদিকে বাড়িতে পানি প্রবেশ করায় অনেকে উঁচু স্থানে হাস-মুরগি, গরু ছাগল একসাথে নিয়ে বসবাস করছেন। দেখা দিয়েছে গো খাদ্যের অভাব। অনেকের ঘরে খাবার থাকলেও রান্না করার জায়গা পাচ্ছেন না।
এদিকে পানিবাহিত রোগের প্রাদুর্ভাব দেখা দিয়েছে বলে জানিয়েছেন চরগিরিশ ইউনিয়ন আ.লীগের সম্পাদক আব্দুল মালেক বিএসসি। কাজিপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার জাহিদ হাসান সিদ্দিকী জানিয়েছেন ত্রাণ মজুত রয়েছে। আগামীকাল থেকেই বানভাসীদের মাঝে তা পৌঁছে যাবে।

খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।