
কাজিপুর প্রতিনিধি: সিরাজগঞ্জের কাজিপুর উপজেলার যমুনার চরাঞ্চলে অবস্থিত ছয়টি ইউনিয়নের লক্ষাধিক মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়েছে।
গত ২৪ ঘন্টায় কাজিপুর পয়েন্টে যমুনার পানি ৩৭ সেন্টিমিটার পানি বৃদ্ধি পেয়ে বিপদসীমার ৬৩ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। মঙ্গলবার সকাল ৬ টায় কাজিপুর পয়েন্টে পানির সমতল ছিলো ১৫.৮৮ মিটার।
এদিকে বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের তথ্যমতে যমুনা নদীর পানি বৃদ্ধি আগামী ৭২ ঘন্টা পর্যন্ত অব্যাহত থাকতে পারে । নতুন করে রাস্তাঘাট ডুবে নাটুয়ারপাড়া, চরগিরিশ, মনসুননগর, নিশ্চিন্তপুর, তেকানি, খাসরাজবাড়ি, শুভগাছা ইউনিয়নের স্থলপথে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। এছাড়া মাইজবাড়ি ইউনিয়নের সুতানার, বদুয়ারপাড়া, শ্রীপুর, ভাঙ্গারছেও. মাইজবাড়ি, নতুন মাইজবাড়ি, হাটগাছা চরের তিন হাজার পরিবার পানিবন্দী হয়ে পড়েছে।
এদিকে প্রথমদফা বন্যায় উপজেলার ৪ হাজার ৮শ হেক্টর জমির পাট পানিতে নিমজ্জিত হয়েছিলো। সেসব জমি থেকে বন্যার পানি পুরোপুরি নেমে যাবার পূর্বেই দ্বিতীয় দফা বন্যার পানি প্রবেশ করেছে। এতে করে পাটচাষীরা চরম দুরবস্থার মধ্যে রয়েছে। নাটুয়ারপাড়া চরের পাটচাষী রফিকুল মিয়া জানান, “গতবার ভালো দাম পাওয়ায় এবার সাত বিঘা জমিতে পাটচাষ করেছিলোম। আধা বিঘার পাট মাত্র কাটতে পেরেছি। আর সব পানিতে নষ্ট ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিলো। যা কিছু সেখান থেকে পেতাম এবারের বন্যায় সেটুকুও গেলো।”
কাজিপুর উপজেলা কৃষি অফিসার রেজাউল করিম জানান, “ বন্যার পানি নেমে গেলে রোপা আমন চাষ ছাড়া কৃষকদের আর কিছুই করার নেই। তখন ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের মাঝে আমন চারা সরবরাহের লক্ষ্যে আমরা বীজতলা প্রস্তুত করেছি।”
এদিকে বন্যার্তদের সহায়তায় কিছু সরকারি সহায়তা পাওয়া গেছে বলে প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিসসূত্রে জানা গেছে।
কাজিপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জাহিদ হাসান সিদ্দিকী জানান, “ প্রাথমিকভাবে বন্যার্তদের জন্য এ পর্যন্ত নগদ ৪০ হাজার টাকা, ছয়শ পঞ্চাশ প্যাকেট শুকনো খাবার এবং ২৫ মে.টন চাল বরাদ্দ পাওয়া গেছে।”
খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।