
রফিকুল আলম,ধুনট (বগুড়া): বগুড়ার ধুনট উপজেলায় টেলিভিশন দেখার কথা বলে ঘরে ঢুকে এক শিশু শিক্ষার্থীকে গণধর্ষণ মামলার প্রধান আসামী ফজল সেখকে (২৪) গ্রেফতার করেছে পুলিশ ফজল সেখ উপজেলার চৌকিবাড়ি ইউনিয়নের রুদ্রবাড়িয়া গ্রামের আব্দুল মজিদের ছেলে শনিবার সকাল ১১টার দিকে ধুনট থানা থেকে আদালতের মাধ্যমে তাকে বগুড়া জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে
মামলা সূত্রে জানা যায়, ধর্ষণের শিকার শিশুটি (১১) রুদ্রবাড়িয়া গ্রামের বাসিন্দা তার হতদরিদ্র মা-বাবা জীবিকার তাগিদে ঢাকায় অবস্থান করেন শিশুটি তার দাদা-দাদির কাছে থেকে স্থানীয় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে চতুর্থ শ্রেণীতে লেখাপড়া করে গত ৬ জুন রাত ১০টায় শিশুটির দাদা ও দাদী সরকারি সহায়তার তালিকাভুক্ত হতে ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে যান এ সময় শিশুটি তার ছোট ভাইয়ের সাথে দাদার ঘরে টেলিভিশন দেখতে থাকে তখন প্রতিবেশী আব্দুল মজিদের ছেলে ফজল সেখ (২৪) ও তার ছোট ভাই নয়ন সেখ (১৬) ওই ঘরে প্রবেশ করে
টেলিভিশন দেখার এক পর্যায়ে ফজল ও নয়ন পালাক্রমে শিশুটিকে ধর্ষণ করে এসময় শিশুটি অসুস্থ্য হয়ে পড়লে দুই ভাই ঘটনাস্থল ত্যাগ করে পরে রাত ১১টার দিকে শিশুটির দাদা-দাদি বাড়ি ফিরে আসেন তারা ঘরের ভেতর বিবস্ত্র অবস্থায় মাটিতে পড়ে থাকা শিশুটির মুখে ঘটনার বর্ণনা শোনেন এ ঘটনায় ৭ জুন রাতে শিশুটির বাবা বাদী হয়ে ফজল ও নয়নের বিরুদ্ধে থানায় ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন
এদিকে ঘটনার পরের দিন পুলিশ নয়নকে গ্রেফতার করেন কিন্ত মামলার প্রধান আসামী ফজল সেখ এলাকা ছেড়ে ঢাকা হেমায়েতপুর এলাকায় নির্মান শ্রমিকের কাজ করতে থাকে সংবাদ পেয়ে ধুনট থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) প্রদীপ কুমার বর্মন ও রুহুল আমীন সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে শুক্রবার রাতে অভিযান চালিয়ে ফজল সেখকে গ্রেফতার করেছেন
ধুনট থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) কৃপা সিন্ধু বালা এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, মামলার প্রধান আসামী ফজল প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ধর্ষণের দায় স্বীকার করেছে এরআগে এই মামলায় ফজলের ছোট ভাই নয়ন সেখকে গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠানো হয়েছে

খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।