
শফিকুল ইসলাম: আমরা তো গরীব মানুষ এই নৌকা চালি বুড়ো বয়সে সংসার চালাই। প্রত্যেক দিন সকালে আসি রাইত ১১ টায় বাড়ি যাই এই হইল আমগো জীবন। বানের পানি চইলা গেছে এখন আর কামাই নাই। খুব কষ্টে দিন যায়।
নিদারুণ বুকে চাপা কষ্টে নৌকায় বসে ধীয়ান মনে কথা গুলো বলছিলেন, কুড়িগ্রামের রৌমারী উপজেলার চান্দারচর গ্রামের মৃত্যু আফসার আলীর ছেলে তাঁরা মিয়া (৫৫) নামের বৃদ্ধ। তিনি রৌমারীর স্থলবন্দরে বন্যার পানিতে নৌকা চালিয়ে সংসার চালাতো। জীবন জীবিকার তাগিদে নৌকা নিয়ে ভোর ৬টার দিকে বাড়ি থেকে বেড়িয়ে আসে। নৌকা দিয়ে লোকজন পারাপারে জন প্রতি ৫ থেকে ১০ টাকা করে নিয়ে যা আয় হয় তা দিয়ে কোনো মতে ৬ সদস্যের সংসার চলতো তার। রাত ১১টা পর্যন্ত নিভু নিভু রাতের আকাশের আলোয় গ্রামের লোকজনদের পারা পার করে থাকে। বর্তমানে নৌকার মাঝি পরিবার নিয়ে দুশ্চিন্তায় আছে।
ভারতীয় পাহাড়ি ঢলে ব্রহ্মপুত্র নদ ও জিঞ্জিরাম নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় উপজেলার বিভিন্ন নিম্মাঞ্চলে বন্যার পানি প্রবেশ করে। চারদিকে বন্যার পানি প্রবেশ করার ফলে অনেকেই কাজ নেই বেকার হয়ে পড়ে। জীবন জীবিকার জন্য পরিবারের অর্থ যোগান দিতে নিজ এলাকায় নৌকা চালানোর মতো পেশায় জড়িয়ে পড়েন।
অপর দিকে উপজেলার নওদাপাড়া গ্রামের ইসমাইল হোসেনের ছেলে মিঠু মিয়া (৬০) বলেন, বাহে আমরা তো দিন এনে দিন খাই। বন্যার পানি চলে গেছে। নৌকা দিয়া গ্রামের মানুষরে পারা পার করি। যা পাই তা দিয়ে পরিবার চলে। ৫ জন মিলে তার সংসার। সরেজমিনে গিয়ে এসব চিত্র ও তথ্য পাওয়া যায়।
এমন হাজার মানুষের মধ্যে অজানা অনেক অসহায় দরিদ্র পরিবারের বিশাল কষ্ট বুক চাপা দিয়ে ছোট এক বিন্দু কষ্ট মনে করে বেচে থাকে। কোন কুল না পেয়ে দারিদ্র্যতার সাথে সংগ্রাম করে নৌকা চালানোর মতো পেশায় জড়িয়ে পড়ে অসহায় এই পরিবার গুলো। এদিকে করোনা ও দফায় দফায় বন্যার কারনে দুর্ভোগে দুশ্চিন্তায় কাটে অসহায় দরিদ্র এই নৌকার মাঝির ।
-সেবা হট নিউজ: সত্য প্রকাশে আপোষহীন
খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।