
রফিকুল আলম,ধুনট (বগুড়া): বগুড়ার ধুনট উপজেলায় সোনামুয়া হাট থেকে হাসাপোটল গ্রাম পর্যন্ত পাকা সড়কটি প্রায় ৯০ লাখ টাকা ব্যয়ে নয় মাস আগে নির্মান করা হয়েছে। সেই সড়কের কান্তনগর গ্রামের ভেতর কমপক্ষে ৫০ মিটার অংশ খালের পেটে ভেঙে পড়ছে। ফলে জনগুরুত্বপূর্ণ এই সড়কে যোগাযোগ ব্যবস্থার চরম বিপর্যয় ঘটেছে। এদিকে সড়ক নির্মাণের নয় মাসেই ভেঙে পড়ায় স্থানীয়দের মধ্যে চরম ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
ধুনট উপজেলা প্রকৌশলীর কার্যালয় সুত্রে জানা যায়, স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) অর্থায়নে ২০১৭-২০১৮ অর্থ বছরে সড়কটি পাকা করণের কাজ ২০১৯ সালের নভেম্বর মাসে শেষ করা হয়েছে। সড়কটির দৈর্ঘ্য এক হাজার ৭৭০ মিটার। নতুন সড়ক নির্মান কাজে ব্যয় হয়েছে প্রায় ৯০ লাখ টাকা। উপজেলা প্রকৌশলীর কার্যলয় থেকে এই কাজের দরপত্র আহব্বান করা হয়েছিল। সড়কটি নির্মানের ফলে এই এলাকায় গ্রামীন অর্থনীতি চাঙ্গা হয়ে উঠে।
সরেজমিন দেখা গেছে, নব নির্মিত পাকা সড়কের পাশ দিয়ে বহমান কান্তনগর খাল। সড়কটি পাকা করণ কাজের সময় ভাঙনরোধে কোন ব্যবস্থা গ্রহন করা হয়নি। খালের পাশে সুরক্ষা বাঁধ (গাইডওয়াল) ছাড়াই অপরিকল্পিতভাবে সড়ক নির্মান কাজ করায় সড়কটি টিকসই হয়নি। এবারের অতি বর্ষনে এই সড়কের পাশে বিভিন্ন স্থানে ভেঙে গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। কোথায় আবার পাকা সড়কের কিছু অংশ ধসে খালের পেটে বিলীন হয়েছে। এই সড়কের পাশে কয়েক দিন ধরে ভাঙন অব্যাহত রয়েছে।
এ অবস্থায় সাত দিন ধরে অবিরাম বর্ষণে কান্তনগর গ্রামে সাইফুল ইসলামের বাড়ির সামনে সড়কের কমপক্ষে ৫০মিটার অংশ খালের পেটে ভেঙে পড়েছে। ফলে ভাঙন স্থানে সড়কটি সরু হয়ে গেছে। ওই সড়ক দিয়ে বর্তমানে যান চলাচল করতে পারছে না। তবে জীবনের ঝুকি নিয়ে গ্রামের কিছু মানুষ পায়ে হেটে চলাচল করছেন। এরপরও ওই সড়কের আরো প্রায় ১৫০ মিটার অংশ খালের পেটে ভেঙে পড়ার ঝুঁকিতে রয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, এই সড়ক পথে কমপক্ষে ১০ গ্রামের প্রায় ২০ হাজার মানুষ চলাচল করে। এলাকাটি কৃষিতে সমৃদ্ধ হওয়ায় দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে ব্যবসায়ীরা এসে গ্রামগুলো থেকে কৃষিপণ্য কিনে নিয়ে যান। সড়কটি ভেঙে গিয়ে যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। তাই ব্যবসায়ীরা এই সড়ক দিয়ে যাতায়াত করতে পারছেন না। ফলে এখন সবচেয়ে বিপাকে পড়েছেন এলাকার কৃষকেরা। তাই দ্রুত সড়কটি সংস্কার করা দরকার।
সড়কটির নির্মান কাজ দেখভালের দায়িত্বে ছিলেন এলজিইডির ধুনট উপজেলা সার্ভেয়ার সুলভ কুমার ঘোষ। তিনি বলেন, সড়কটি নির্মান কাজে কোন প্রকার ত্রুটি ছিল না। স্থানীয়রা সড়কের পাশে খাল থেকে বালু উত্তোলনের ফলে সড়কটি টিকসই হয়নি। অতি বর্ষণের কারণে খালে ধসে পড়েছে সড়কের কিছু অংশ। তবে সড়কের ক্ষতিগ্রস্থ স্থানটি মেরামতের উদ্যেগ নেওয়া হয়েছে।
ধুনট উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল হাই বলেন, খালের পেটে সড়ক ধসে পড়ার খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে। এই সড়ক পথে স্থানীয় লোকজনের চলাচলে সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে। ফলে এলজিইডির প্রকৌশলীকে সড়কটি দ্রুত সংস্কার করতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য বলা বয়েছে।
-সেবা হট নিউজ: সত্য প্রকাশে আপোষহীন
খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।