
কাজিপুর প্রতিনিধি: সিরাজগঞ্জের কাজিপুর উপজেলার ১২ টি ইউনিয়নের ৬ টিই যমুনার চরাঞ্চলে অবস্থিত। আবাদী জমির অর্ধেক এই অঞ্চলে অবস্থিত। প্রতি বছর বর্ষা আর বন্যায় এখানকার কৃষকের স্বপ্নে নানা রং ছড়ায়। এবারও গত দুই মাসে প্রায় পাঁচবার যমুনার পানি বৃদ্ধির ফলে বন্যায় রোপা আমন ধানের জমি চাষের জন্যে প্রস্তুত করতে পারেনি কৃষক। জমি থেকে বন্যার পানি নেমে যেতে না যেতেই আবারো যমুনা ফুঁসে উঠছে ক্রমান্বয়ে। এর ফলে বন্যা পরবর্তী কৃষকের রোপা আমনের চারা সংকট কাটাতে উপজেলা কৃষি অফিস বিশেষ ব্যবস্থা নিয়েছে। তারই ধারাবাহিকতায় গত ৬ সেপ্টেম্বর বিকেলে কৃষকদের মাঝে ধানের চারা বিতরণ করা হয়েছে।
কৃষি অফিসের তথ্যমতে, কাজিপুরে এবার ১১ হাজার ৪শ ৬৫ হেক্টর জমিতে আমন ধান লাগানো হবে। এরমধ্যে হাইব্রিড- ২০ হেক্টর, উফসী জাতের-৯ হাজার ৫শ হেক্টর, এবং স্থানীয়জাতের চারা লাগানো হবে ১ হাজার ৯শ ৪৫ হেক্টর জমিতে।
সম্ভাব্য উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে হাইব্রিড ৭৮ মে.টন, উফসী ২৬ হাজার ৭শ ৯০ মে.টন এবং স্থানীয় জাতের ২ হাজার ৮শ ৭৯ মে.টনসহ মোট ২৯ হাজার ৭শ ৪৭ মে.টন চাল।
এলক্ষ্যে উপজেলা কৃষি অফিস কৃষকদের বন্যা পরবর্তী ৮০ হেক্টর জমিতে রোপা আমনের চারা বিতরণের জন্যে ১০ একর বীজতলায় চারার চাষ করেছে। উপজেলার সোনামুখী ইউনিয়নের এই বীজতলা থেকে কৃষকদের চারা প্রদান করা হয়। বিতরণ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন কাজিপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জাহিদ হাসান সিদ্দিকী।
এসময় তিনি বলেন, ‘ বর্তমান সরকার কৃষির উন্নয়নে যথেষ্ট আন্তরিক। তারই ধারাবাহিকতায় বন্যায় ধানের চারা সহায়তা নিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের পাশে দাড়িঁয়েছে। ’
এসময় উপস্থিত ছিলেন কৃষি অফিসার রেজাউল করিম, কৃষি সম্প্রসারণ অফিসার হোমায়রা ফাহমিদা, উপ সহকারি কৃষি অফিসার মাহমুদুল হাসান, রফিকুল ইসলাম, শাহিন আলম।
কাজিপুর উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ রেজাউল করিম জানান, “চরাঞ্চলের কয়েক হাজার কৃষকের বন্যা পরবর্তী সময়ে এই চারা সহায়তা পেয়ে উপকৃত হবে। আশা করছি এতে করে চরবিড়ার উৎপাদন মিলে রোপা আমন উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হবে।”
-সেবা হট নিউজ: সত্য প্রকাশে আপোষহীন
খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।