
কাকে দিব ভোটঃ
গণতন্ত্র মাথা গোনে, মস্তক অর্থ্যাৎ খোঁজ নেয় না। এর উৎসবের প্রধান আকর্ষণ হচ্ছে এর নির্বাচন। ইদানীং লক্ষ্য করছি এলাকায় নির্বাচনের মৃদু হাওয়া বয়ে যাচ্ছে। কারো গায়ে ভাল ভাবে লেগেছে, কেউ বা সেই বাতাসে একটু দোল খেতে ইচ্ছে প্রকাশ করছেন। সবাই কে সাধুবাদ। কারণ গণতন্ত্রে সমান অধিকার। জাতীয় নির্বাচন আর স্থানীয় নির্বাচন অনেকটাই পার্থক্য। যা আমরা সহজেই ভুলে যাই। বিগত দিন গুলোতে যারা প্রতিনিধিত্ব করেছেন, এবং আগামীতে যারা করবেন বলে মনে মনে ভাবছেন, তারা কি একবারও ভেবে দেখেছেন বা দেখবেন, যারা আপনাকে গোটা ইউনিয়ন বাসীর পক্ষে চালকের আসনে বসালেন বা বসবেন, তাদের কি প্রাপ্যতা, প্রাপ্তি। স্কুল কলেজ, রাস্তা ঘাট, কি করেছেন। আজও এলাকায় গেলে হেঁটে হেঁটে বাসায় যেতে হয়। আশা করি সদ্ব উত্তর দিতে পারবেন না। বলবেন হয় তো চাহিদার তুলনায় প্রাপ্যতা কম। তার পরেও যতটুকু অনুদান পেয়েছেন, তার সব টুকু সদ্ব্যবহার করতে পেরেছেন বা করবেন? তাই অতীত কে পিছনে ফেলে, সব না পাওয়ার যন্ত্রনা কে ভুলে নতুন করে বাঁচতে চাই। আমরা সাধারণ জনগন আর মুখে বিশ্বাসী নই। আমুল পরিবর্তন চাই। যিনি এই পরিবর্তনে অঙ্গীকারাবদ্ধ যে কোন পরিবর্তন কে সাহসের সাথে মোকাবিলা করতে প্রস্তুত এমন একজন জনদরদী চাই। সেই আমলের ঘুনে ধরা সমাজ, আর আজকের সমাজ অনেক বৈশ্যম্ময়। মানুষ এখন নিজের অধিকারে অনেকটাই সচেতন। এলাকায় সদ্ব, জ্ঞানী, উচ্চ শিক্ষিত বিবেকবান মানুষ আছেন। তারা একবার সাহস করে এগিয়ে আসলেই আমরা যুব সমাজ সঠিক পথের দিশা পাই। কিন্তু আমাদের ভুল এক জায়গায়। আমরা সাহস করে কিছু বলি না। আমরা তো একটা বিশেষ দলে বন্দি। অনেক সংঘাত, ঘাত প্রতিঘাত সহ্য করে সে দলের প্রতিক পেলেই আর ঠেকায় কে। কিন্তু তিনি কেমন, কেমন তার ব্যবহার, কতটুকু জনবান্ধব, তার তোয়াক্কা না করেই চলে যান মহা সিংহাসনে। আমরা সাধারণ জনগন সামান্য মতামত প্রকাশের স্বাধীনতাটুকুও হারিয়ে ফেলি। আমার মতে নতুন প্রজন্ম তথা যুব সমাজ কে এগিয়ে আসতে হবে। তাদের কে বলতে হবে, দেখাতে হবে, পরিবর্তনের অঙ্গীকার নিয়ে। সামাজিক অবক্ষয় কে দুর করে নতুন, সুন্দর সমাজ গঠনে পদক্ষেপ নিতে হবে। এলাকায় হাজারও যুবকের মাঝে এমন কেউ কি নেই? অবশ্য অবশ্যই আছে। আপনি এগিয়ে আসুন। কারণ গুনী লোকের কদর লুকানো যায় না। কোন না কোন সময় প্রকাশ পাবেই। দল না করেও জনগনের ভালবাসা নিয়ে চালকের আসনে বসা যায়। কারণ এটা স্থানীয় নির্বাচন। সাধারণ জনগন যাকে ভালবাসে, আর যদি ভোট প্রদানের স্বাধীনতা থাকে তাহলে সত্যের জয় হবে। ইনশাল্লাহ। বিগত দিনের দিকে তাকিয়ে বর্তমান কে আর বিষাদময় না করে আসুন আমরা সকলে মিলে এমন একজন চালক কে সামনে নিয়ে আসি, যে পুরো চর আম খাওয়া ইউনিয়ন বাসীর ভাগ্য সহ গোটা ইউনিয়ন কে মডেল হিসাবে দ্বার করাতে পারেন। সর্বশেষে গ্রেগরির একটি উক্তি দিয়ে শেষ করতে চাইঃ পৃথিবীতে এত ধন সম্পদ নাই যার পরির্বতে একটি সৎ লোকের ভোট কেনা যায়।
-সেবা হট নিউজ: সত্য প্রকাশে আপোষহীন
খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।