সেবা ডেস্ক: জামালপুরের বকশীগঞ্জে উপজেলা নির্বাহী অফিসার কর্তৃক পন্ড হয়েছে বাল্য বিয়ে। এ সময় বাল্য বিয়ে পড়ানোর চেষ্টা করার অপরাধে কাজী রফিকুল ইসলামকে ৬ মাসের জেল দিয়েছে ভ্রাম্যমান আদালত। এছাড়াও বরকে ১৫ শত ও কন্যার বাবাকে ১৫ শত টাকা জরিমানা করে ৩শ টাকার স্ট্যাম্পে মুচলেকা দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয় বর ও কনের অভিভাবকদের।
-সেবা হট নিউজ: সত্য প্রকাশে আপোষহীন
বকশীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মুন মুন জাহান লিজা এই দন্ডাদেশ দেন।
বৃহস্পতিবার রাত ১১টার সময় বকশীগঞ্জ পৌর শহরের মাষ্টারবাড়ী এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। কাজী রফিকুল ইসলাম মাষ্টারবাড়ী এলাকায় মরহুম ইন্তাজ আলীর ছেলে।
ভ্রাম্যমান আদালত সুত্রে জানা যায়, বকশীগঞ্জ পৌরসভার মেষেচর গ্রামের রাজু আহাম্মেদের ছেলে রাসেল মিয়া ও নিলক্ষিয়া ইউনিয়নের ভাটিয়াপাড়া গ্রামের ইয়াছিন মিয়ার মেয়ে অষ্টম শ্রেনীর ছাত্রী ইতি বেগমের বিবাহের আয়োজন করে কাজীর বাড়ী পৌর শহরের মাষ্টার বাড়ীতে।
গোপন সংবাদের ভিত্তিতে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মুন মুন জাহান লিজা ও বকশীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শফিকুল ইসলাম বিয়ে বাড়ীতে হানা দিয়ে বাল্য বিয়ে পন্ড করে দেন। এ সময়ে বিয়ের পড়ানোর সময় কাজী রফিকুল ইসলামকে আটক করে ৬ মাসের বিনাশ্রম কারাদন্ড দেয় ভ্রাম্যমান আদালত।
বকশীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শফিকুল ইসলাম জানান, দন্ডাদেশ প্রাপ্ত কাজী রফিকুল ইসলামকে আগামীকাল শুক্রবার জামালপুর কারাগারে প্রেরণ করা হবে।
খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।