আশরাফুল ইসলাম গাইবান্ধা : গাইবান্ধায় মামলার বিবাদীকে ফাসাতে গিয়ে পলাশবাড়ী উপজেলার নিকাহ রেজিষ্টার কাজী শহিদুল ইসলামের সীল ও ভলিয়ম বই চুড়ি অপরাধে গোলাপি (৫০) নামে এক মহিলাকে আটক করে স্থানীয় জনতা। ঘটনাটি ঘটেছে ৪ নভেম্বর বুধবার সন্ধায় উপজেলার ঢোলভাঙ্গা বাজার এলাকায়।
রেজিষ্টার কাজী শহিদুল ইসলাম সাংবাদিকদের জানান, সাদুল্যাপুর উপজেলার কুঞ্জমহিপুর গ্রামের আব্দুল আজিজ ওরফে শুকটুর স্ত্রী গোলাপী বেগমও অজ্ঞাত ২ জন ব্যাক্তি গত ২ নভেম্বর কাজী শহিদুলকে খোজ করতে তার বাড়ী পলাশবাড়ী উপজেলার পবনাপুর ইউপির গোপিনাথপুর গ্রামে যায়। এসময় কাজী তার ব্যাক্তিগত চেম্বারে তাদের বসতে দিয়ে বাসার ভীতরে গেলে গোলাপি ও তার লোকজন কৌশলে কাজীর একটি রেজিস্ট্রি ভলিউম বই ও ২ টি সিল চুরি করে ঘটনাস্থল থেকে সটকে পরে। অনেক খোজাখুজির এক পর্যায়ে গোলাপি বেগম ও তার সহযোগী আসাদ (৫০) কে ৪ নভেম্বর ঢোলভাঙ্গা বাজার এলাকার ফজলুল হক বিদ্যানিকতনে আটক করে রাখে এলাকাবাসী। আটকের পর চুড়ির দায়ে অভিযুক্ত গোলাপি বেগম স্বীকার করেন তার মেয়েকে দিয়ে তিনি কাজী শহিদুল সহ ৬ জনকে আসামী করে বিজ্ঞ আদালতে একটি মামলা দায়ের করেছেন যাহার মামলা নং সিআর ৩৮/২০০০। মামলাটি তদন্ত করে সত্যতা না পাওয়ায় তদন্তকারী সংস্থা পিবিআই পুলিশ কর্তৃক আসামীদের অব্যাহতি দিয়ে তদন্ত প্রতিবেদন বিজ্ঞ আদালতে জমা দেয়। এরপর গোলাপী বেগম তার মেয়েকে দিয়ে আদালতে মামলাটি না রাজি করার লক্ষে কাজী শহিদুলের স্বাক্ষর সীল জাল করে একটি ভূয়া প্রত্যায়নপত্র তৈরী করে আদালতে দাখিল করায় বিজ্ঞ আদালত পূর্নরায় মামলাটি চলমান রাখে। এদিকে গোলাপি বেগম আরো জানান কাজি ও মামলায় বিবাদীকে ফাসাতে কিছু কাগজপত্রের প্রত্যায়ন তৈরী করতেই তিনি কাজীর বাড়ী গিয়ে মুল ভলিয়ম বই ও সিল গুলো চুরি করেন। তনি সীল দুটি স্থানীয়দের দিলে ও এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত রেজিষ্ট্রেশন মুল বহি উদ্ধার করা সম্ভব হয় নি। এ বিষয়ে কাজী শহিদুল ইসলাম আরো বলেন রেজিস্ট্রি বই ও সিল গুলো চুরি যাওয়ার তিনি থানায় জিডি করবেন।
এ ব্যাপারে জেলা সাবরেজিস্টার জানান,তিনি বিষয়টি অবগত আছেন।তার জানামতে ইতোমধ্যেই শহিদুল কাজীর বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যাবস্থা গ্রহণ করেছে উর্ধতন কর্তৃপক্ষ।
খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।