মামুনুল হকের বিরুদ্ধে বলাৎকারের অভিযোগ

S M Ashraful Azom
0
মামুনুল হকের বিরুদ্ধে বলাৎকারের অভিযোগ


সেবা ডেস্ক: `বড় হুজুর আমাকে ১৫ দিন ধরে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে বলাৎকার (ধর্ষণ) করতো। অনেক সময় বাসায় চলে যেতে চাইলে ভয়ভীতি দেখাতো। এই বিষয়ে কাউকে কিছু বলতে মানাও করতো।’ ঢাকার জামেয়া রাহমানিয়া মাদ্রাসার শায়খুল হাদিসের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ তুলে ১১ বছর বয়সের এক ছাত্র আদালতে জবানবন্দি দিয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১২ নভেম্বর ) বিকালে ঢাকার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. কাউছার আলমের আদালতে সেই ছাত্রের ২২ ধারায় জবানবন্দি রেকর্ড করা হয়।

আদালতে পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) আজমল হোসেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, জবানবন্দি গ্রহণের পাশাপাশি একই দিন অভিযুক্ত শায়খুল হাদিসের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে। 

অভিযুক্ত ওই শায়খুল হাদিসের নাম মুফতি মামুনুল হক  (৪৫)। তিনি জামেয়া রহমানিয়ার সাবেক মোহতামিম শায়খুল হাদিস আজিজুল হকের পুত্র ও হেফাজতে ইসলামের প্রভাবশালী নেতা। (উনার মরহুম  পিতার বিরুদ্ধেও একাধিক ধর্ষণের অভিযোগ ছিল এবং ১৯৯২ সালে বিএনপি সরকার ধর্ষনের অভিযোগে মাওলানা আজিজুল হককে  ৩ মাসের কারাদণ্ড প্রধান করে)

এর আগে বলাৎকারের শিকার শিশু ছাত্রের পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে ১২ নভেম্বর রাতে মোহাম্মদপুর জামেয়া রহমানীয়া অভিযান পরিচালনা করলে আসামী মামুনুল হক পলায়ন করে আত্মগোপনে চলে যায়। 

এ ঘটনায় মোহাম্মদপুর থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের একটি মামলা দায়ের করেছেন শিশুটির ফুফু।

বলাৎকারের শিকার ১১ বছরের মাদ্রাসা ছাত্রের পরিবার জানায়, গত ১৫ দিন ধরে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে ওই মাদ্রাসার শায়খুল হাদিস মুফতি মামুনুল হক  ছাত্রটিকে বলাৎকার করে আসছে। ব্যথা কমাতে ছাত্রটিকে ব্যথানাশক ওষুধও সেবন করাতেন ওই হেফাজত নেতা। ছাত্রটি মাদ্রাসা থেকে বাসায় চলে যেতে চাইলে তাকে নানাভাবে ভয়ভীতি দেখাতো। এবং এইসব কাউকে জানালে দোযখে চলে যাবে বলে আখেরাতের ভয় দেখাত। শেষবার শিশুটি বলাৎকারের শিকার হয় গত ৩ নভেম্বর রাত সাড়ে ১ টার সময়। পরে সুযোগ পেয়ে ওই শিশু ছাত্র মাদ্রাসা থেকে পালিয়ে বাসায় গিয়ে অভিভাবকদের বিষয়টি জানালে থানায় লিখিত অভিযোগ দেওয়া হয়।

এ ব্যাপারে মোহাম্মদপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আব্দুল লতিফ দৈনিক ইনকিলাবকে বলেন, ছাত্রের পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ পেয়ে আমরা অভিযুক্ত শিক্ষককে গ্রেফতার  অভিযান পরিচালনা করি জামেয়া রাহমানিয়া মাদ্রাসায় কিন্ত আসামী মামুনুল হক আত্মগোপন থাকায় গ্রেপ্তার সম্ভব হয়নি। তবে উনার বড় ভাই মাওলানা মাহফুজুল হককে জিজ্ঞাসাবাদে বলাৎকারের অভিযোগ স্বীকার করেছেন অকপটে । তিনি বলেন আমার মরহুম পিতা শায়খুল হাদিস আজিজুল হক এমন কুলাঙ্গার সন্তান রেখে গেছেন যার জন্য আজ আমরা মুখ দেখাতে লজ্জা পাই।

ওসি আরও জানান, আমরা মামুনুল হকের বিরুদ্ধে মামলা গ্রহণ করে আদালতে পাঠিয়েছিলাম। পরে আদালতের নির্দেশে তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে । পাশাপাশি আদালতে ওই ছাত্রের জবানবন্দিও রেকর্ড করা হয়েছে।

এখানে উল্লেখ যে হেফাজত নেতা শায়খুল হাদিস মুফতি মামুনুল হক ২০০৩ সালেও  বলাৎকারের অভিযোগে ১৫ দিন কারাবরন করেছিলেন।

সূত্র: প্রথম আলোর ব্লগ

শেয়ার করুন

-সেবা হট নিউজ: সত্য প্রকাশে আপোষহীন
ট্যাগস

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0মন্তব্যসমূহ

খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন (0)

#buttons=(Ok, Go it!) #days=(20)

Our website uses cookies to enhance your experience. Know about Cookies
Ok, Go it!
To Top