স্টাফ রিপোর্টার: ডিজিটালাইজড এবং বেকারমুক্ত পৌরসভা গঠনের ঘোষণা দিয়ে পৌরবাসির দোয়া কামনা করেছেন যুবলীগ নেতা ও ব্যবসায়ী আল আমিন সরকার। আসন্ন পৌরসভা নির্বাচনে এবার তিনি নৌকা প্রতীক কামনা করে পৌরসভার বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানে ব্যানার, ফেস্টুন টানিয়ে সবার নজর কাড়ছেন। পৌরসভার ৮ নং ওয়ার্ডের বিয়ারা চরপাড়া গ্রামের এনামুল হক সরকারের ছেলে আল আমিন স্নাতক ও ডিপ্লোমা শেষ করে রাজনীতি এবং ব্যবসায় মন দিয়েছেন। তার প্রতিষ্ঠিত সরকার কনস্ট্রাকশন এর তিনি প্রধান। পারিবারিক ভাবেই আল আমিন মানুষের কল্যাণে কাজ করতে স্বাচ্ছন্দ বোধ করেন। তার চাচা ইঞ্জিনিয়ার এমদাদুল হক এলাকার বহু মানুষকে নিজের প্রতিষ্ঠানে চাকুরি দিয়েছেন। অন্য জায়গায় চাকুরির সুপারিশ করেছেন। এভাবে চাকুরি পাওয়া অনেকেই এখন প্রতিষ্ঠিত। আল আমিন নিজেও মানুষের উপকারে কাজ করে যাচ্ছেন।
সোমবার(৩০) নভেম্বর দুপুরে এই প্রতিনিধির সাথে একান্ত আলাপচারিতায় তিনি বলেছেন নিজের স্বপ্নের কথা। তিনি জানান, ‘পৌরবাসী এবং দল যদি আমাকে মনোনয়ন দেয় তাহলে আমি সত্যিকারের জনপ্রতিনিধি হিসেবে নিজেকে নিয়োজিত রাখবো। পৌরবাসির উন্নয়নে নানা পদক্ষেপ গ্রহণ করে নির্বাচনের একশ দিনের একটি প্রকল্প হাতে নেবার ইচ্ছে আছে। একেবারে বেশি গুরুত্বপূর্ণ কাজগুলো নির্বাচন করে তা বাস্তবায়নের চেষ্টা করবো। এক্ষেত্রে এলাকার মুরুব্বী, সুশীল সমাজের প্রতিনিধি, ছাত্র সমাজের প্রতিনিধি, জনপ্রতিনিধি, দলের প্রতিনিধি, মসজিদের ইমাম, মন্দিরের সদস্য সবাইকে সম্পৃক্ত করে কাজ করবো। এতে করে কাজের স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার বিষয়টি নিশ্চিত হবে। আর এভাবে কাজ করলে এলাকার মানুষের উন্নয়ন দ্রুত ত্বরান্বিত হবে।
আল আমি জানান, শুধুমাত্র কতিপয় এলাকার উন্নয়ন নয়, পুরো পৌরবাসির উন্নয়নেই তিনি কাজ করবেন।বেকার সমস্য সমাধানে তিনি কাজ করে যাবেন। শিক্ষার্থীদের জন্যে তিনি বেস্ট এ্যাওয়ার্ড ঘোষণা দেবেন বলে জানান। পৌরসভা এলাকাকার বিদ্যালয়গুলোর সকল শ্রেণির এক থেকে দশ রোল পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের তিনি বিশেষ প্রণোদনার ব্যবস্থা করবেন। মাধ্যমিক এবং উচ্চ মাধ্যমিকে ভালো ফলাফলকারী শিক্ষার্থীদের জন্যে শিক্ষাবৃত্তি চালুর ঘোষণা দেন। এতে করে শিক্ষার্থীদের মধ্যে প্রতিযোগিতার মনোভাব তৈরি হবে এবং পড়ালেখার মান বৃদ্ধি পাবে।
আল আমিন জানান, পৌরসভার প্রতিটি ওয়ার্ডে তিনি গণপাঠাগার প্রতিষ্ঠা করবেন। যেখানে বই পড়ার ব্যবস্থা থাকবে। এতে করে সৃজনশীল মানুষ তৈরি হবে। এছাড়া ড্রেনেজ ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা, এলাকার গুরুত্বপূর্ণ স্থানসমূহে বাতির ব্যবস্থা, রাস্তাঘাটের উন্নয়ন করা হবে। যে সব বাড়িতে যাবার কোন রাস্তা নাই সেখানে জমিপ্রাপ্তি সাপেক্ষে প্রয়োজনে রাস্তা করে দেওয়া হবে।
মাদক ও সন্ত্রাসমুক্ত কাজিপুর পৌরসভার স্বপ্ন বাস্তবায়নে কাজ করে যাবার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন আল আমিন। তিনি জানান, যুব সমাজ পতনের দ্বারপ্রান্তে চলে গেছে শুধুমাত্র মাদকের নীল ছোবলে। পৌরসভাকে মাকমুক্ত করতে প্রথম দিন থেকেই জেহাদ ঘোষণা করবো ইনশা আলাহ।
আল আমিন বলেন, আমরা পারিবারিকভাবেই ইনশা আলাহ স্বচ্ছল। তাই পৌরসভার উন্নয়নে নিজের কোন পিছুটান থাকবে না। সরকারী বরাদ্দের সবটুকু উজাড় করে প্রয়াত নেতা মোহাম্মদ নাসিম এবং বর্তমানের এমপি কাজিপুরের উন্নয়নের অহংকার প্রকৌশলী তানভীর শাকিল জয় সাহেবের স্বপ্নের পৌরসভা উপহার দিতে প্রাণপণ চেষ্টা চালিয়ে যাবো। পৌরসভার অবৈধ টোল আদায় তিনি বন্ধ করার ঘোষণা দিয়ে বলেন, ‘ সাধারণ জনগণের জন্যে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা অনেক কিছু করছেন। পর্যাপ্ত বরাদ্দ দিচ্ছেন। এরপরেও গবিরের গাড়ি থেকে চাঁদা তোলার দরকার কি?
পৌরসভার সামনে তিনি প্রয়াত নেতা মোহাম্মদ নাসিমের একটি ভাস্কর্য নির্মাণ করবেন বলে জানান আল আমিন। তিনি বলেন, যে নেতা আমাদের জন্যে জীবন বাজী রেখে কাজ করে গেছেন তাকে সম্মান জানানো আমাদের কর্তব্য। এছাড়া পৌরসভার মসজিদ-মন্দিরের উন্নয়ন করে ধর্মকর্ম পালনের পথকে সুগম করে দেবার ঘোষণা দেন তিনি।
সবশেষে তিনি জানান, সব কিছুই সম্ভব দল এবং নেতা আমাকে পৌরসভার প্রার্থী হিসেবে মনোনীত করলে সত্যিকারের জনপ্রতিনিধির দৃষ্টান্ত স্থাপনে কাজ করে যেতাম। আশাবাদ ব্যক্ত করে তিনি জানান, আমার কর্মপরিকল্পনা, দক্ষতা, যোগ্যতা সবকিছু বিবেচনা করে আশা করি দল আমাকে মনোনয়ন দেবেন। আর মনোনয়ন পেলেই আমি আমার স্বপ্নের পথে যাত্রা শুরু করবো সকলের স্নেহ-ভালোবাসাকে উপজীব্য করে। #
খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।